Tuesday, March 31, 2015

শিশুর পেটে ব্যথা হলে কি করবেন



আপনার শিশু আপনার কাছে পৃথিবীর সবচাইতে বড় সম্পদ। তার কোন রোগব্যাধি হলে আপনি হাশপাস করতে থাকেন। শিশুদের অনেক সময় পেটে ব্যাথা হয়। এই ব্যাপারটাকে গুরুত্ব দিয়ে এর সমাধান খোঁজেন। নানান জনের কাছে পরামর্শ নেন। প্রায়ই পেটব্যথা হলে অনেক লোক ই ভাবেন—ও কিছু নয়, মনে হয় কৃমি হয়েছে। তবে পেটব্যথা হলেই যে কৃমি হবে এটা ভাবা ঠিক নয়। শিশুদের পেটব্যথার অনেক কারণ আছে, যেমন: চকলেট, জুস খেলে কিংবা বাইরের জীবাণু পেটে গেলে তার পেটে ব্যথা করে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ভারী খাবারও অনেক শিশুর সহ্য হয় না। পেটে সংক্রমণ বা গ্যাস
খাবারে অ্যালার্জি
ডায়রিয়া
কোষ্ঠকাঠিন্য
প্রস্রাবে সংক্রমণ
বয়ঃসন্ধিকালের সমস্যা
টিউমার, অ্যাপেন্ডিসাইটিস সহ বিভিন্ন রকমের সার্জিক্যাল সমস্যাতেও শিশুর পেটে ব্যথা হতে পারে। বিষয়টিকে তাই উড়িয়ে দেওয়া উচিত নয়।
পেটে গ্যাস অথবা সংক্রমণ হলে উপযুক্ত ওষুধে সেরে যায়, তবে শিশুকে এ ধরনের সমস্যা হতে বাঁচার উপায় শেখানো দরকার। খাওয়ার আগে-পরে এবং টয়লেট ব্যবহার করার পর সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া ও মুখে নোংরা হাত না দেওয়া ইত্যাদি প্রশিক্ষণ দিতে হবে। কৃমি হয়ে থাকলে পেটব্যথার সময়টিতে কৃমির ওষুধ না দিয়ে ব্যথা কমার দু-তিন দিন পরে ওষুধ খাওয়ানো ভালো। সার্জিক্যাল কারণ থাকলে শিশুবিষয়ক সার্জনের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
শিশুর পেটব্যথা অনেক সময় মানসিক কারণেও হয়। অবাক করা বিষয় হচ্ছে শিশু স্কুলে যেতে না চাইলে, পড়া ভালো না লাগলে, পরিবারে অশান্তি থাকলে, বন্ধুরা কোনো বিষয় নিয়ে উত্ত্যক্ত করলে, হঠাৎ বাসা পরিবর্তন বা বন্ধু পরিবর্তন ইত্যাদি কারণেও পেটব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এই ব্যথা কিন্তু ইচ্ছাকৃত নয় বরং তার মনের ভিতরে যে টানাপোড়েন চলে, সেটার ই বহিঃপ্রকাশ ঘটে পেটে ব্যথার মাধ্যমে। এসব ক্ষেত্রে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে কিছু পাওয়া যায় না। তবে সাধারণ কিছু লক্ষণ দেখে অনুমান করা যায়, তার ব্যথা মানসিক নাকি কোনো শারীরিক সমস্যার কারণেই হচ্ছে। লক্ষণগুলো হলো:
১. তিন বছরের নিচে শিশুর পেটে ব্যথা হলে তা সাধারণত রোগের কারণেই হয়ে থাকে।
২. রোগের কারণে ব্যথা হলে শিশুরা সুনির্দিষ্টভাবে ব্যথার জায়গাটা দেখাতে পারে আর যদি মানসিক কারণে হয় তবে সেভাবে দেখাতে পারে না অথবা একেকবার একেক স্থানে দেখায়।
৩. ব্যথার সঙ্গে জ্বর, র‍্যাশ, হাড়ে ব্যথা, ওজন কমে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা হলে বুঝে নিবেন, অবশ্যই সে ব্যথার নির্দিষ্ট কারণ রয়েছে।
৪. ব্যথার কারণে শিশুর ঘুম ভেঙে গেলে কখনোই তা মানসিক কারনে নয়।
মনোরোগের কারণে ব্যথা হলে শিশুকে মানসিক সমর্থন দিতে হবে। বকাঝকা না করে সঠিক কারণটা বের করতে হবে এবং অবশ্যই শিশু ও কিশোর মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সহায়তা নেওয়া প্রয়োজন।

ব্যথা যদি খুব তীব্র হয়, অনবরত বমি হয়, পেট শক্ত হয়ে যায়—তখন দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে। সুনির্দিষ্ট কারণ জানার আগে শিশুকে কোনো কিছুই খাওয়ানো উচিত নয়।

সূত্রঃ
ডা. আবু সাঈদ
শিশু বিভাগ,
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

tags: শিশুর পেটে ব্যাথা, বাচ্চাদের পেটে ব্যাথা হলে কি করবো, শিশুর পেটে সমস্যা, শিশুর পেটে ব্যাথার কারন, shishur pete betha, bacchader pete betha hole ki korbo, shishur pete shomossha, shishur pet bethar karon

Wednesday, March 25, 2015

পেটের কিছু সমস্যা নিয়ে আমাদের মধ্যে বিদ্যমান কুসংস্কার



আমাদের মধ্যে কুসংস্কার নামক মানবসৃষ্ট ভাইরাস টি সর্বদা প্রভাব বিস্তার করে। এমন কোনো মানুষ পাওয়া যাবে না যে কিনা জীবনে একবারও কুসংস্কারের বলি হন নি। পেটের নানান সমস্যা নিয়ে আমাদের মধ্যে রয়েছে কিছু বিভ্রান্তি বা কুসংস্কার। যেমন-

বেশি মসলাযুক্ত খাবার খেলে আলসার হয়ঃ

চিকিৎসকেরা বলছেন, মসলা কিংবা মসলাদার খাবার খাওয়ার সাথে পাকস্থলীতে আলসার হওয়ার তেমন কোনো সম্পর্ক নাই। কেননা, পাকস্থলীর আলসারের সৃষ্টি করে হ্যালিকোব্যাকটার পাইলোরি নামের জীবাণু—এ কথা কয়েকদিন আগে প্রমাণিত হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ব্যথানাশক ওষুধ বা অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধও আলসার হওয়ার কারণ হতে পারে। অধিক মসলাযুক্ত খাবার গ্যাস্ট্রিক-আলসারের রোগীর উপসর্গ হয়তো কিছুটা বাড়িয়ে দেয়, কিন্তু এটি রোগটির মূল কারন নয়।

ধূমপান করলে পেট ক্লিয়ার হয়ঃ

ধূমপান কারীরা প্রায়ই বলেন, ধূমপান না করলে তাঁদের পেট পরিষ্কার হয় না, সিগারেটে এক টানেই নাকি পেটের গ্যাস কমে যায়। কিন্তু ব্যাপারটা একেবারেই উল্টো। সিগারেটের ক্ষতিকর উপাদান নিকোটিন মানুষের খাদ্যনালির স্ফিংটার বা দরজাকে অকার্যকর করে ফেলে। ফলে অ্যাসিডিটির পরিমান আরও বেড়ে যায়। তার ওপর ধূমপান করলে খাদ্যনালির প্রদাহ তৈরি হয়। তাই পরিপাকতন্ত্রের উপর ধূমপানের প্রভাব কোনোমতেই ভালো নয়।

দৈনিক পায়খানা না হওয়া খারাপ?

প্রতিদিন পায়খানা হতেই হবে—এমন কোনো কথা নেই। মানুষের মলত্যাগের হার একেক সময় একেক রকম হতে পারে। এতে নির্দিষ্ট কোনো বিষয় নেই। কারও দিনে দুই তিনবার, কারও পুরো সপ্তাহে তিন চারবার মলত্যাগ করতে হয়—দুটোই ব্যাপারই স্বাভাবিক। তাই একদিন কোষ্ঠ পরিষ্কার না হলেই চিন্তিত হবার কিছু নেই।

 খাবার সময় বেশি পানি পান করাঃ

খাবার সময় বা এর আগে কিংবা পরে বেশি করে পানি পান করলে হজম ভালো হয়—এই ধারণাটাও ভুল। সারা দিনে আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমান পানি পান করতে হবে ঠিক, তার মানে এটা ঠিক নয় যে খাওয়া দাওয়ার সময় বারবার পানি খেতেই থাকবেন। বরং যাঁদের অ্যাসিডিটি হয়ে পেট ফুলে যায়, তাঁদের খাওয়ার মধ্যে বেশি পানি পান না করাই ভালো।

টেনশন করলে আলসার হয়ঃ

অনেকেই বলেন, দুশ্চিন্তা আর টেনশনের কারণেই পেটে আলসার হয়েছে। এখানেও সেই বিভ্রান্তি—পাকস্থলীর আলসারের সুনির্দিষ্ট কারণ মূলত জীবাণুঘটিত। তবে উদ্বেগ বা টেনশনের সাথে বদহজম, আইবিএস ইত্যাদি রোগের সম্পর্ক থাকতে পারে।

সূত্রঃ
মেডিসিন বিভাগ,
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ

tags: পেটের সমস্যা, গ্যাস্ট্রিক, এসিডিটি, তরকারীতে মসলা বেশি খেলে কি পেটে গ্যাস্ট্রিক হয়, ধুমপান সিগেরেট খেলে কি পেট পরিস্কার হয়, দৈনিক কয়বার পায়খানা হওয়া ভাল, খাওয়ার সময় পানি বেশি খাওয়া ভাল, টেনশন দুশ্চিন্তা করলে কি গ্যাস্ট্রিক আলসার হয়, peter shomossha problem, moshola beshi khele ki gastric hoy, daily koybar paykhana howa valo, khaoar somoy pani beshi khaoa ki valo, tension korle ki gastric ulcer hoy

Tuesday, March 24, 2015

মোটা শরীর রোগের কারখানা

er shomossha

মেদবহুল শরীর, স্থূলতা বা অতিরিক্ত ওজন স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ সমস্যা। উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস, রক্তের মধ্যে চর্বির আধিক্য বা হৃদরোগ ইত্যাদি সমস্যার কারণ এই অতিরিক্ত ওজন। এটি আরও বিবিধ রোগব্যাধির জন্য দায়ী।
শরীরের ওজন যদি উচ্চতা অনুযায়ী যতটুকু থাকা দরকার তার মাত্রা ছাড়িয়ে যায়, তখন মানুষের সুস্থতা এবং সৌন্দর্য বিনষ্ট হয়। মানসিক ও শারীরিকসহ নানা রোগে প্রাত্যহিক কাজেও তখন অনেক রকমের ব্যাঘাত ঘটে। অল্প পরিশ্রমে ক্লান্তি পেয়ে বসে, সক্ষমতাও কমে যায়। যে কোনো কাজ নির্বিঘ্নে করা কঠিন হয়ে পড়ে। আর তখনই দেখা দেয় নানারকম শারীরিক সমস্যা। যেমন:

অস্টিওআর্থ্রাইটিস অথবা গেঁটে বাত: অস্থিসন্ধি আমাদের দেহের ভার বহন করে। দীর্ঘদিন অতিরিক্ত ওজন বহন করার ফলে অস্থিসন্ধিতে পরিবর্তন দেখা দেয়। যার কারনে নানা ধরনের বাত ব্যথা হয়। মেরুদণ্ড, কোমর ও হাঁটুতে ব্যথা কিংবা প্রদাহ হতে পারে। গেঁটে বাতের ফলে রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এ ব্যাপারটিও স্থূলতার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।

যকৃতের অকার্যকারিতা: যকৃতের একটি  প্রধান সমস্যা হলো যকৃতে চর্বি জমে যাওয়া বা ফ্যাটি লিভার। এ থেকে যকৃতের নানাবিধ সমস্যা, এমনকি লিভার সিরোসিস রোগ পর্যন্ত হতে পারে।

পিত্তথলির সমস্যা: মোটা মানুষের পিত্তথলির মধ্যে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বেশি। সাধারণ দেহের মানুষের তুলনায় তাদের, বিশেষ করে যদি ৪০ বছরের অধিক বয়সী নারী হন, পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।

ক্যানসার: স্থূলতার সাথে ইদানীং বিভিন্ন রকমের ক্যানসারের সম্পৃক্ততাও মিলেছে। খাদ্যনালি, অন্ত্র, যকৃৎ, স্তন এবং লসিকা গ্রন্থির ক্যানসারের সাথেও স্থূলতার সম্পর্ক আছে।

পায়ের শিরায় সমস্যা: স্থূলকায় লোকের পায়ের শিরা অনেক সময় ফুলে ওঠে। একে বলা হয় ভ্যারিকোস ভেইন। জটিলতা বেড়ে গেলে এ থেকে মুক্তির জন্য অস্ত্রোপচারেরও প্রয়োজন হয়।

শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা: নাক ডাকা ও ঘুমের মধ্যে শ্বাসপ্রশ্বাস  বন্ধ হয়ে যাওয়ার (স্লিপ এপনিয়ার) বড় কারণ হচ্ছে স্থূলতা। স্লিপ এপনিয়ায় রোগীর হৃদ রোগ, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

বন্ধ্যাত্ব: স্থূলতার কারণে অনেক সময দেখা যায়় সন্তান ধারণে সমস্যা হয়। স্থূল কিশোরী ও যুবতীদের ডিম্বাশয়ে সিস্ট ও অনিয়মিত মাসিক থেকে শুরু করে বন্ধ্যাত্ব এবং দেহে অবাঞ্ছিত লোম ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে।
তাই শুধু হৃদরোগ, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বা স্ট্রোক, ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপই নয়, বাড়তি ওজন কমিয়ে আপনি নানাবিধ জটিল সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পারেন।

সূত্রঃ
ডিন,
মেডিসিন অনুষদ,
বিএসএসএমইউ

tags: মোটা শরীরের সমস্যা, মোটা হলে কি রোগ, স্বাস্থ্য বাড়লে কি কি সমস্যা হয়, স্বাস্থ্য বেশি হলে কি সমস্যা হয়, মেদ সমস্যা, ওজন বেশি হলে কি হয়, fat body, mota hole ki ki problem hoy, shastho barle ki rog hoy, mota shorir

দক্ষিণ আফ্রিকা এতই দূর্ভাগা !



বরাবরের মত এবারো চোকার্স দক্ষিণ আফ্রিকার ভাগ্য তাদের সংগ ত্যাগ করলো। জয় পরাজয় নির্ধারনের সময় দক্ষ ফিল্ডার হার্শেল গিবসের সহজ ক্যাচ ড্রপ করার মত অনেক উদাহরন পুর্বে দেখেছিল বিশ্ববাসী। এবার দক্ষিন আফ্রিকা দলটি পূর্বের চেয়ে অনেক ব্যালেন্সড ছিলো। র‍্যাংকিং এ হাশিম আমলা, ডি ভিলিয়ার্স, ডুমিনি, স্টেইন, মর্কেল এর মত প্রথম সারির বোলার কিংবা ব্যাটসম্যান থাকা সত্তেও সেই দুর্ভাগ্য বরন করতে হল। 

এবার অবশ্য প্রব্লেমটা ছিলো প্রকৃতি গত। বৃষ্টি হানা না দিলে হয়তো এই দুর্ভাগ্য তাদের বরন করতে হতো না। এতো সুন্দর ভাবে ব্যাটিং চলছিলো। শেষ দিকে বৃষ্টি এসে হিসাব নিকাশ দিলো পালটে। নিউজিল্যান্ড এর আনবিটেন পারফরমেন্স এর সাথে বৃষ্টিজল আশীর্বাদ হয়ে দেখা দিলো। ফাইনালে নিউজিল্যান্ড।

এ পর্যন্ত ৭ বার সেমিফাইনাল খেলেছে নিউজিল্যান্ড, সাউথ আফ্রিকা ৩ বার। এ হিসেবে নিউজিল্যান্ডকেও চোকার্স বলা যায়। তবে এবার তাদের অনেক বড় মওকা। 

বাংলাদেশি ক্রিকেট ফ্যানরা বোধ করি আজকে দুই দলকেই সমান ভাবে সমর্থন করেছে। ২৬ তারিখে অস্ট্রেলিয়ার সাথে ভারত পরাজিত হোক, এটাও অনেকেই চাইছেন। কারন কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের পক্ষে যাওয়া একাধিক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সম্ভাব্য জয়কে থামিয়ে দিয়েছিলো। সম্ভবত বেশিরভাগ বাংলাদেশি ই চাইবেন এবারে ফাইনালে দুই হোস্ট নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া মুখোমুখি হোক। আর এটা তারা ডিজার্ভ ও করে।

ডায়াবেটিসে ত্বকের যত্ন



ডায়াবেটিস রোগীর সর্বদা বাড়তি যত্নের প্রয়োজন । শুধু মাত্র খাদ্যাভাস বা শরীর চর্চাই নয়, এ রকমের রোগীর ত্বকের ক্ষেত্রেও আলাদাভাবে যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। এই সময়টাতে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়।
শুষ্ক ত্বকের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যকর খাবার ও ব্লাডের সুগার নিয়ন্ত্রণই শেষ কথা নয়। সুবাসবিহীন সাবান ও শ্যাম্পু মেখে গোসল, শুষ্ক ত্বক প্রতিরোধের একমাত্র উপায়ও নয়। চাই ত্বকের আরাম ও ফ্রেশ লুকের জন্য আরও ব্যবস্থা।
১.
খাবারে যেন থাকে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যকর চর্বি, ওমেগা-৩ তো বটেই। তৈলাক্ত মাছ, টফু, ওয়ালনাট, ফ্ল্যাক্সিড, পালংশাক ইত্যাদি।
২.
ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করার বেস্ট সময় স্নানের পর, যখন ত্বক ভেজা থাকে। রয়েছে নানা ধরনের লোশন, যেমন লুব্রিডার্ম, কেটাফিল, গোল্ড বন্ড, কিউরেল ইত্যাদি। খুব শুষ্ক ত্বকের জন্য ঘন তেলতেলে উপশমক কার্যক্র, এগুলোর মাঝে আছে অ্যাকোয়াফর, ভেসেরিন, ক্রিমকো। যেসকল ময়েশ্চারাইজার ল্যাকটিক অ্যাসিডসমৃদ্ধ, যেমন এমলাকটিন, ল্যাকহাইড্রিন এবং ইউরিয়াসমৃদ্ধ ইউবিক্স, সিয়ারমল—সেগুলো খারাপ না।
৩.
জলপাইয়ের তেল শুষ্ক ত্বককে নরম করে, আর্দ্র করে। ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করার আগে জলপাই তেলের পাতলা একটি প্রলেপ লাগাতে পারেন। গোসল করার পূর্বে জলপাই তেল দিয়ে শরীর ম্যাসেজ করতে পারেন ৩০ মিনিট। গোসলের পর ব্যবহার করবেন ময়েশ্চারাইজার। জলপাই তেলের পরিবর্তে বাদাম তেলও ব্যবহার করা যায়।
৪.
দুধের রয়েছে প্রদাহরোধ করার গুণ। দুধে রয়েছে ল্যাকটিক অ্যাসিড, যা ত্বককে আর্দ্র রাখবে এবং মৃত কোষও ঝরাবে। ঠান্ডা দুধে ভিজিয়ে নিয়ে একটি ছোট ও নরম তোয়ালে শুষ্ক ত্বকের উপর রাখুন ৫-১০ মিনিট। এরপর অল্প গরমজলে ভেজা তোয়ালে দিয়ে ধুয়ে ফেলুন জায়গাটি।
৫.
চার টেবিল চামচ দুধে কয়েক ফোটা লেবুর রস ও গোলাপজল মিশান। ত্বকে আলতোভাবে ঘষুন। এরপর ১০ মিনিট ধরে অপেক্ষা করুন, ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। দিনে দুইবার করুন।
৬.
গোসলের পর ভেজা ত্বকে ব্যবহার করুন বাদাম তেল বা নারকেল তেল। প্রতিদিন ব্যবহার করুন, বেশ কার্যকর। ঘুমাতে যাওয়ার আগে শরীরে গরম নারকেল তেল মেখে নিলেও ভালো, সকালে ধুয়ে ফেলুন।
৭.
অ্যাভোকাডো স্মুদি খেতে পারেন প্রতিদিন। এর স্বাস্থ্যকর চর্বি ত্বককে রাখে ভেজা ও সজল। অ্যাভোকাডো পেস্ট মাখতে পারেন শরীরে, ধুয়ে ফেলুন। ১৫ মিনিট পর।
৮.
ডায়াবেটিসের রোগীকে দীর্ঘ সময় ধরে স্নান করতে বারণ করা হয়। হালকা গরমজলে বাদাম তেল, জলপাই, নারকেল বা এসেনশিয়াল তেল মিশিয়ে গোসল করলে ত্বক শুষ্ক হবে না।
৯.
ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক চামচ বাদাম তেল এক গ্লাস গরম দুধে দিয়ে পান করুন। এতে সতেজ অনুভব করবেন।

সূত্রঃ পরিচালক, ল্যাবরেটরি সার্ভিসেস বিভাগ, বারডেম জেনারেল হাসপাতাল।­

tags: ডায়াবেটিস, ডায়াবেটিকস, ডায়াবেটিস স্কিন, ডায়াবেটিসে করনীয়, ডায়াবেটিস হলে ত্বকের জন্য কি করবো, diabetes patient skin care, diabetes hole toker jotno, diabetes e toker jotne koronio

Saturday, March 7, 2015

ব্রন কেনো এবং কিভাবে হয়




ত্বকের ঠিক নিম্নাংশে তৈলাক্ত গ্রন্থি অবস্থিত। এই গ্রন্থিগুলো ত্বককে কোমল ও মসৃণ রাখার জন্যে ত্বকে তৈলাক্ত রস সরবরাহ করে। ত্বকের উপরিভাগের লোমকূপের সূক্ষ্ম ছিদ্র দিয়ে এই তৈলাক্ত রস নিঃসরিত হয়। কিশোর বয়সে এর নিঃসরণ বেশি হয়। বয়ঃসন্ধি কালে হরমোনাল চেঞ্জের কারনে তৈলাক্ত গ্রন্থিগুলো বেশি উদ্দীপিত হয় যার ফলে ত্বক অধিক তৈলাক্ত হয়। অতিরিক্ত তৈলাক্ত ত্বকে ব্রনের পরিমান বেশি হয়ে থাকে। গ্রন্থি গুলো ব্লক হয়ে গেলে লোমকুপ ফুলে উঠে এবং ব্রন দেখা দেয়।

সূত্রঃ patient.co.uk
        nhs.uk
        mayoclinic.org


★ ব্রন কাদের বেশি হয়
ব্রনে জ্বালাপোড়া কেনো হয়
কি কি পরিস্থিতি ব্রনের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়
ব্রন নিয়ে আমাদের কিছু ভুল ধারনা
ব্রন হলে করনীয়

tags: ব্রন, একনি, পিম্পল, ব্রন কেনো হয়, ব্রন কিভাবে হয়, বরন,  acne, pimple, how acne develops, bron keno hoy, bron kivabe hoy, bron problem

ব্রনে জ্বালাপোড়া কেনো হয়



p.acnes ব্যাকটেরিয়া ব্রনকে আক্রান্ত করতে পারে। এই জীবানু বংশবৃদ্ধি করে ব্রনে জ্বালাপোড়া বাড়িয়ে দেয় এবং বিস্তার লাভ করে। ব্যাকটেরিয়ার স্বল্পকায় হলে ব্রনাক্রান্ত ত্বকের ক্ষতি করে না। আর ব্যাকটেরিয়ার পরিমান বেশি হলে আঁটকে থাকা সেবামে আক্রমণ বাড়িয়ে দেয়। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাধাগ্রস্ত হয় যাতে জ্বালাপোড়া অনুভূত হয়। ফলে চতুর্পাশে ত্বক লাল হয়ে যায়, স্পট বড় হয়ে যায় এবং ব্রনের মধ্যে পুঁজ হয়। ধীরে ধীরে ব্রন ভালো হয়ে যায়। কিছু কিছু সময় দেখা যায় ব্রনাক্রান্ত জায়গা কয়েক মাস যাবত বিবর্ন থেকে যায়। এই সমস্যাটা কালো বর্ণের মানুষের ত্বকে হয়ে থাকে। ক্ষতচিহ্ন অর্থাত ব্রনের এই দাগ বয়স বাড়লেও থেকে যায়। অনেক ক্ষেত্রে বয়স্ক মানুষকে এরকম দাগ দেখে চিহ্নিত করা হয়। গুটিকতক ব্যাতিক্রমি রোগ রয়েছে যার কারনে কিছু কিছু লোকের ব্রন হতে পারে। তবে এর পরিমান অনেক কম।

সূত্রঃ patient.co.uk
        nhs.uk
        mayoclinic.org

★ ব্রন কেনো এবং কিভাবে হয়
★ ব্রন কাদের বেশি হয়
★ কি কি পরিস্থিতি ব্রনের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়
★ ব্রন নিয়ে আমাদের কিছু ভুল ধারনা
★ ব্রন হলে করনীয়

tags: ব্রন, পিম্পল, একনি, ব্রনে জ্বালাপোড়া, ব্রনে ব্যাথা, bron, acne, pimple, acne inflammation, brone jalapora, brone betha, bron fule jay, brone jalapora betha korle ki korbo

কি কি পরিস্থিতি ব্রনের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়



★ প্রজেস্টেরন যুক্ত জন্মনিরোধক বড়ি ব্রন সমস্যা বাড়িয়ে দেয়।
★ মহিলাদের মাসিকের সময় হরমোনাল চেঞ্জের কারনে ব্রন বেড়ে যায়।
★ তেলতেলে মেকাপ ব্রন বৃদ্ধি করে। তাই মহিলাদের যথাসম্ভব অয়েল ফ্রি মেকাপ ব্যাবহার করা উচিৎ। যদিও বেশির ভাগ ব্র‍্যান্ডের পরীক্ষিত মেকাপ ব্রন বৃদ্ধি করে না।
★ ব্রন নিয়ে গুঁতোগুঁতি করা কিংবা টিপাটিপি করা মোটেই উচিত নয়। এটা এমনিতেই সেরে যায়। ব্রন নিয়ে খোঁচাখুঁচি করলে প্রদাহ বাড়ে এবং ইনফেকশন হয়।
★ আদ্র ও উষ্ণ আবহাওয়ায় অতিরিক্ত ঘামের ফলে লোমকূপ বন্ধ হয়ে যায়। এতে ব্রন উদ্দীপ্ত হয়। রান্নাঘরে গরম পরিবেশে বেশিক্ষণ থাকা উচিত নয়। শক্ত কাপড় আবৃত থাকলে ব্রন বৃদ্ধি পায় যেমন হেডব্যান্ড, ব্রা এর স্ট্র‍্যাপ, টাইট কলার এগুলোর কারনে লোমকুপ খিঁচে থাকে। কিছু কিছু ঔষধ, অয়েন্টমেন্ট, ক্রীম ব্যাবহারে ব্রন হয়। বিশেষজ্ঞ দের মতে চিনি ও দুগ্ধজাত খাবার ব্রন বৃদ্ধি করে।

সূত্রঃ patient.co.uk
        nhs.uk
        mayoclinic.org

★ ব্রন কেনো এবং কিভাবে হয়
★ ব্রন কাদের বেশি হয়
★ ব্রনে জ্বালাপোড়া কেনো হয়
★ ব্রন নিয়ে আমাদের কিছু ভুল ধারনা
★ ব্রন হলে করনীয়

tags: ব্রন, একনি, পিম্পল, ব্রন কিভাবে বাড়ে, bron, acne, pimple, why acne increases, bron bere gele ki korbo, bron beshi houar karon

ব্রন হলে করনীয়



★ বেশি বেশি মুখ ধুবেন না। দিনে দুইবার মুখ ধোয়া ভালো। মাইল্ড সাবান এবং হালকা গরম পানি ব্যাবহার করুন। বেশি গরম কিংবা ঠান্ডা পানি ব্রনের সমস্যা বাড়ায়। ব্রনাক্রান্ত ত্বক জোরে জোরে ঘষে ধুবেন না। এতে করে ব্রনে প্রদাহ বাড়বে। ত্বক পরিস্কার করতে ক্ষরজাতীয় সাবান, দানাদার, কসকসে, আঁশ নিবারক উপাদান ব্যাবহার করবেন না। নরম কাপড় অথবা শুধু আংগুল দিয়ে হালকা ঘষে মুখ ধুবেন।
★ এন্টিসেপ্টিক দিয়ে মুখ ধুলে কাজ হয়।
★ ব্রন চিকিৎসায় বিভিন্ন ক্রিম, জেল, লোশন ব্যাবহার করা যায়। ব্যাবহারের আগে অবশ্যই লিফলেট পড়ে নিবেন। কারন ঔষধ গুলো কিভাবে ব্যাবহার করতে হবে তা লিফলেটে লেখা থাকে। প্রত্যেকটি স্পটে নাকি সম্পুর্ন মুখমন্ডলে এগুলো ব্যাবহার করতে হবে সেটা লিফলেট পড়ে জেনে নিবেন। সর্বোপরি চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ধরনের ঔষধ ব্যাবহার না করাই ভালো।

সূত্রঃ patient.co.uk
        nhs.uk
        mayoclinic.org

★ ব্রন কেনো এবং কিভাবে হয়
★ ব্রন কাদের বেশি হয়
★ ব্রনে জ্বালাপোড়া কেনো হয়
★ কি কি পরিস্থিতি ব্রনের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়
★ ব্রন নিয়ে আমাদের কিছু ভুল ধারনা

tags: ব্রন, একনি, পিম্পল, ব্রন হলে কি করবো, ব্রনের চিকিৎসা, bron, acne, pimple, bron hole ki korbo, bron valo korar upay, broner chikitsha,

ব্রন নিয়ে আমাদের কিছু ভুল ধারনা



★ স্বাস্থ্য দুর্বল হলে ব্রন হয়, এটা ভুল ধারনা।
★ ব্রন কোনো একটি নির্দিষ্ট কারনে হয় না। বিভিন্ন কারনে হয়।
★ বেশি বেশি মুখ ধুলে ব্রন কম হবে। এটা ভুল ধারনা।
★ আমাদের সবচেয়ে বড় একটি ভুল ধারনা আছে। সেটা হচ্ছে টেনশনের কারনে নাকি ব্রন হয়। এটার কোনো বৈজ্ঞানিক  ভিত্তি নেই। তবে ব্রন হয়ে গেলে মানুষিক চাপ ব্রন সমস্যা বাড়িয়ে দেয়।
★ বেশি পানি পান করা ভালো। তবে এতে ব্রন হবে না এটা সঠিক নয়।
★ অনেকে মনে করেন চিকিৎসা করলেও ব্রন ভালো হয় না। এটা ভ্রান্ত ধারনা। সব রোগের ই চিকিৎসা রয়েছে হোক সেটা ব্রন কিংবা হাঁচি কাশি।

সূত্রঃ patient.co.uk
        nhs.uk
        mayoclinic.org

★ ব্রন কেনো এবং কিভাবে হয়
★ ব্রন কাদের বেশি হয়
★ ব্রনে জ্বালাপোড়া কেনো হয়
★ কি কি পরিস্থিতি ব্রনের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়
★ ব্রন হলে করনীয়

tags: ব্রন, একনি, পিম্পল, bron, acne, pimple, acne myth, beshi beshi mukh dhule ki bron kome, tension korle ki bron hoy

ব্রন কাদের বেশি হয়

tags: ব্রন, একনি, পিম্পল, bron, acne, pimple, who gets acne mostly, kader bron beshi hoy, cheleder bron beshi hoy, bron shomossha


১২ থেকে ২৫ বছর বয়স্কদের ব্রন বেশি হয়ে থাকে। ছেলেরা মেয়েদের তুলনায় ব্রনে বেশি আক্রান্ত হয়। ব্রন সাধারণত মুখমণ্ডলে বেশি হয়। তাছাড়া গলায়, ঘাড়ে, বুকে এবং শরীরের পিছনের দিকেও হতে পারে। ১০ জনের মধ্যে ৯ জন কিশোর কিশোরীদের ই ব্রন কমবেশি হয়ে থাকে। দেখা গেছে ১০ জনের মধ্যে ৩ জন ব্যাক্তি অধিক ব্রনে আক্রান্ত হয়। এদের মুখে ব্রনের দাগ পড়ে যায়, তাই চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। ব্রনের এবং ব্রনের দাগের চিকিৎসা না করলে ক্ষতচিহ্ন ৪-৫ বছর কিংবা তারো অধিক সময় থেকে যায়।

সূত্রঃ www.patient.co.uk
        www.nhs.uk
        www.mayoclinic.org

★ ব্রন কেনো এবং কিভাবে হয়
★ ব্রনে জ্বালাপোড়া কেনো হয়
★ কি কি পরিস্থিতি ব্রনের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়
★ ব্রন নিয়ে আমাদের কিছু ভুল ধারনা
★ ব্রন হলে করনীয় 

Friday, March 6, 2015

ফেসবুকের বিস্ময়কর ২২ টি অজানা তথ্য



বর্তমানে ফেসবুক সারা পৃথীবির ইন্টারনেট ব্যাবহারকারীদের জন্য অন্ন বস্ত্রের মত প্রাত্যহিক চাহিদায় পরিনত হয়েছে। আপনি হয়তো অনেক কিছুই জানেন না যা কিনা ফেসবুকের দুনিয়ায় রীতিমত অবাক করা বিষয় হয়ে আছে। তাহলে এবার বিস্ময়কর ফ্যাক্ট গুলো জেনে নেই।

১। প্রতিদিন প্রায় ৬ লক্ষ লোক ফেসবুকে বিভিন্ন ইউজারের একাউন্ট হ্যাক করার চেষ্টা করে।
২। আপনি চাইলে ফেসবুকে 'pirate' অর্থাত জলদস্যু নামক ভাষা ব্যাবহার করতে পারবেন।
৩। আমেরিকান ফেসবুক ইউজাররা প্রতিদিন গড়ে ৪০ মিনিট সময় কাটায় ফেসবুকে।
৪। ফেসবুকের প্রথম ইউজার হচ্ছেন আল পাসিনো।
৫। স্মার্টফোন ব্যাবহারকারীরা গড়ে ১৪ বার ফেসবুকে প্রবেশ করে।
৬। ফ্রেন্ড কে আনফ্রেন্ড করার কারনে কিছু মানুষকে খুন পর্যন্ত হতে হয়েছে।
৭। আপনি কোন সাইটে প্রবেশ করছেন কিংবা সাইন আউট করছেন কিনা সেটাও ফেসবুক ট্র‍্যাক করে ফেলতে পারে।
৮। এক জরীপে দেখা যায়, ৩ জনের মধ্যে ১ জন ইউজার ফেসবুক নিয়ে অসন্তুষ্ট।
৯। ফেসবুকের থীম হচ্ছে নীল। কারন মার্ক জুকারবার্গ লাল-সবুজ কালার ব্লাইন্ড।
১০। ফেসবুকে ৩০ মিলিয়ন মৃত লোকের ইউজার একাউন্ট আছে।
১১। চীনে ২০০৯ সাল থেকে ফেসবুক, টুইটার, নিউইয়র্ক টাইমস নিষিদ্ধ।
১২। ২০১১ সালে আমেরিকার এক তৃতীয়াংশ ডিভোর্সের কারন ফেসবুক।
১৩। আপনি শত চেষ্টা করলেও ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ কে ব্লক করতে পারবেন না।
১৪। প্রতেক আমেরিকান ইউজারের কাছ থেকে গড়ে ৫.৮৫ ডলার আয় করেছে ফেসবুক।
১৫। পৃথীবির সবচেয়ে বেশি ফেসবুক ইউজার হচ্ছে আমেরিকান।
১৬। এক ফেসবুক আসক্ত ব্লগার একজন মহিলা ভাড়া করেছেন তাকে ততবার চড় মারার জন্য যতবার সে ফেসবুকে লগিন করবে।
১৭। ব্রিটেনে এক মহিলাকে ২০ বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছিলো। কারন তিনি ফেইক একাউন্ট খুলে নিজেই নিজেকে খারাপ খারাপ ভাষায় মেসেজ করতেন।
১৮। ৮.৭ শতাংশ ফেসবুক ইউজার ই ফেইক।
১৯। প্রতি মিনিটে গড়ে ১.৮ মিলিয়ন লাইক পড়ে ফেসবুকে।
২০। মার্ক জাকার বার্গ ফেসবুকের সি ই ও হিসেবে মাসে বেতন নেন মাত্র ১ ডলার বা প্রায় ৮০ টাকা।
২১। ২০১৪ সালে মিনেসোটা তে এক চোর ধরা পড়েছিলো, কারন সে যেখানে চুরি করতে গিয়েছিলো সেখানকার পিসি তে সে ফেসবুক একাউন্ট লগ ইন করে লগ আউট করতে ভুলে যায়। ফলে চোরকে চিহ্নিত করা গেলো।
২২। ফেসবুক একটি ফিচার তৈরী করেছে, মৃত্যুর পর ইউজারের একাউন্ট কোন ব্যাক্তি ব্যাবহার করবেন সে উদ্দেশ্যে।

tags: ফেসবুক, ফেইসবুক, ফেসবুকের মজার তথ্য, ফেসবুক ফ্যাক্টস, interesting fact about facebook, facebook facts, facebooker mojar tottho, facebook ki

Thursday, March 5, 2015

হার্ট এটাক হলে তৎক্ষণাৎ কি করবেন



হার্ট এটাক হলে তৎক্ষণাৎ যে কাজটি করতে হবে তা হলো ব্লক হওয়া ধমনীর কারনে হৃদযন্ত্রের ক্ষয়তা কমানোর প্রচেষ্টা । হার্ট এটাকের লক্ষন দেখা দেওয়া মাত্রই ইমারজেন্সি হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে কিংবা ভর্তি করাতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব এম্বুলেন্স ডাকতে হবে। এই কাজটি করতে হবে লক্ষন দেখা দেওয়ার এক থেকে দুই ঘন্টার ভিতর। এর বেশি সময় নিলে রোগী বাঁচানো সম্ভব না ও হতে পারে। মনে রাখবেন, বুক ব্যাথা শুরু হয়ে এটি চোয়াল, হাতের দিকে এবং পশ্চাৎ দিকে ধাবিত হয়। লক্ষন গুলো বুঝার সাথে সাথে ডাক্তারের সরনাপন্ন হওয়া উচিত। নচেৎ জীবন বিপন্ন হওয়ার আশংকা বাড়বে। এখন কথা হচ্ছে রোগী যদি একা থাকে এবং হার্ট এটাকের লক্ষন দেখা দেয় তখন কি করনীয়। সে ক্ষেত্রে আপনি যেটা করবেন তা হচ্ছে জোরে জোরে কাশি দিবেন। জোরে জোরে কাশি দিলে হৃদপিন্ডে রক্ত চলাচল কিঞ্চিত বেড়ে যায়। এসপিরিন খেলে উপকার হয়। এসপিরিন জাতীয় ঔষধ রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করে। এ সময় পাশের লোকটিকে আপনার সমস্যার কথা বলুন। কাছাকাছি অবস্থান করছে এমন কাউকে ফোন করুন এবং আসতে বলুন। অবস্থা খারা প হলে রোগীকে শুইয়ে বুকের উপর বারংবার চাপ দিতে হবে যাতে হার্টে পাম্প হয়। হাসপাতালে দ্রুত নিয়ে যাওয়াটাই সঠিক পদক্ষেপ।

সূত্রঃ ওয়েব এমডি

★★ হার্ট অ্যাটাক কিভাবে হয়

★★ হার্ট এটাকের লক্ষন সমূহ

tags: হার্ট এটাক, হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ব্লক, হার্টের রোগ, হৃদরোগ, হার্ট এটাক হলে তৎক্ষণাৎ কি করবো, heart attack, heart block, heart disease, what to do immediately during heart attack, heart attack hole ki korbo, heart attack hole shathe shathe ki korbo