Thursday, April 23, 2015

ঘরোয়া পদ্ধতিতে লেবু অথবা এলোভেরা জেল ব্যাবহার করে চুল খুসকি মুক্ত করুন


খুশকি দূর করার জন্য আমরা নানান ধরনের শ্যাম্পু ব্যবহার করি। কিন্তু হয়তো তেমন একটা ফলাফল পাইনা। সে জন্য আমরা বিকল্প পদ্ধতি খুঁজতে থাকি। ঘরোয়া পদ্ধতিতে লেবু অথবা এলোভেরা জেল ব্যবহার করে খুশকি সমস্যা সমাধান করা যায়।

★ মাথার খুশকি দূর করার জন্য তাজা লেবুর রস ব্যাবহার করা যায়। লেবুর রসের এসিডে ছত্রাক বিরোধী গুনাগুন রয়েছে যা খুশকির প্রাদুর্ভাব দূর করে। সতেজ সুঘ্রাণযুক্ত লেবুর রসে ক্ষতিকারক কেমিকেলের প্রভাব নেই। তাই খুশকি মুক্ত চুলের লক্ষ্যে লেবু ব্যাবহার করতে পারেন।
দুই টেবিল চামচ লেবুর রস নিয়ে এক মিনিট  মাথায় মেসেজ করুন। এর পর এক কাপ পানিতে এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন। এটা প্রতিদিন ব্যাবহার কর‍তে পারবেন কাংখিত ফলাফল না পাওয়া পর্যন্ত।

★ ঘৃতকুমারী বা এলোভেরা জেল খুসকি প্রতিরোধে আরেকটি কার্যকরী উপাদান। যখন আপনার মাথার ত্বকে নতুন কোষ উতপন্ন হওয়ার হারের চেয়ে মৃত কোষের হার বেড়ে যায় তখন সেগুলো খুশকি আকারে বিস্তার লাভ করে। এলোভেরা জেল কোষে পুস্টি যুগিয়ে কোষ গুলোকে স্বাভাবিক রেখে ডেড সেলের পরিমান কমিয়ে আনে।
এলোভেরা জেল মাথায় মেখে ১৫ মিনিট রেখে দিন। এর পর শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন।

সূত্রঃ
http://everydayroots.com/dandruff-remedies

tags: খুসকি দূর করার উপায়, খুশকি সমস্যা সমাধানের উপায়, কিভাবে চুলের খুষ্কি দূর করবো, মাথায় চুলে খুশকি হলে কি করবো, কিভাবে খুশকি বন্ধ হবে, khushki dur korar upay, khushki somossa shomadhaner upay, kivabe culer khushki dur korbo, mathay chule khushki hole ki korbo, kivabe khushki bondho hobe, dandruff dur korar upay

মাউথওয়াশ, এসপিরিন কিংবা লবন ব্যাবহার করে খুসকি নিধন !


★ মাউথওয়াশ দিয়ে খুশকি নিধন ! ব্যাপারটা অদ্ভুত হলেও সত্যি। বাজারে লিস্টারিন নামে একটি মাউথওয়াশ পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে রংগহীন লিস্টারিন মাউথওয়াশ লাগবে। নীল কিংবা সবুজ রংগের হলে চলবেনা। কারন ওই জাতীয় লিস্টারিন মাউথওয়াশ আপনার চুলের সাথে আঠার মত লেগে থাকতে পারে। দুই ভাগ পানির সাথে একভাগ পরিমান মত লিস্টারিন নিয়ে একটি স্প্রে বোতলে ঢুকান। মাথায় শ্যাম্পু করার পর দ্রবন টি চুলে স্প্রে করুন। ভালো মত মেসেজ করে ৩০ মিনিট পর চুল ধুয়ে ফেলুন।

★ এসপিরিন টেবলেট মাথা ব্যাথার জন্য ব্যাবহারিত হয়, এটা অনেকেই জানেন। কিন্তু এসপিরিন টেবলেট ব্যাবহার করে মাথার খুশকি দূর করা যায় এ ব্যাপারটা না জানারই কথা। তাহলে অজানা ব্যাপারটা খুলে বলা যাক। এসপিরিন স্যালিসাইলিক এসিড নামের এক ধরনের কার্যকরী উপাদান দিয়ে তৈরি।  অনেক বাণিজ্যিক শ্যাম্পুতে স্যালিসাইলিক এসিড ব্যাবহার করা হয়। কারন এটি ছত্রাক এবং জীবানু প্রতিরোধী। অনেক ক্ষেত্রে ছত্রাক ও নানান জীবাণুঘটিত কারনে খুশকি হয়ে থাকে। তাই পরোক্ষ ভাবে এসপিরিনকে খুসকি রোধক হিসেবে ব্যাবহার করা যায়।
দুইটি সাদা এসপিরিন টেবলেট নিয়ে ভালো মত গুড়ো করুন। আপনার ব্যাবহৃত শ্যাম্পুর সাথে পাউডারের মত গুড়ো করা এসপিরিন টেবলেট মিশিয়ে নিন। এরপর মাথায় কমপক্ষে ২ মিনিট মেসেজ করুন। অবশেষে পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

★ মাথার মৃত ত্বক বা বিবর্ন ডেড স্কিন তুলে ফেলার জন্য লবন ব্যাবহার করা যায়। শ্যাম্পু করার আগে মাথায় লবন স্ক্রাব করলে মাথার ত্বক পরিস্কার হয়ে যায়। ফলে এর পর শ্যাম্পু ব্যাবহার করার সময় শ্যাম্পু পরিপূর্ণ কাজ করে।
মাথার ত্বক সামান্য আদ্র করুন। এর পর দুই টেবিল চামচ গুড়া লবন দিয়ে মাথায় আস্তে আস্তে মেসেজ করুন। রেগুলার লবনের চেয়ে এপসাম সল্ট ব্যাবহার করলে ভালো হয়।

সূত্রঃ
http://everydayroots.com/dandruff-remedies

tags: খুসকি দূর করার উপায়, খুশকি সমস্যা সমাধানের উপায়, কিভাবে চুলের খুষ্কি দূর করবো, মাথায় চুলে খুশকি হলে কি করবো, কিভাবে খুশকি বন্ধ হবে, khushki dur korar upay, khushki somossa shomadhaner upay, kivabe culer khushki dur korbo, mathay chule khushki hole ki korbo, kivabe khushki bondho hobe, dandruff dur korar upay

ঘরোয়া পদ্ধতিতে মেথি অথবা নিমপাতা ব্যাবহার করে মাথার খুশকি দূর করুন



খুশকি দূর করার জন্য আমরা নানান ধরনের শ্যাম্পু ব্যবহার করি। কিন্তু হয়তো তেমন একটা ফলাফল পাইনা। সে জন্য আমরা বিকল্প পদ্ধতি খুঁজতে থাকি। ঘরোয়া পদ্ধতিতে মেথি অথবা নিমপাতা ব্যবহার করে খুশকি সমস্যা সমাধান করা যায়।

★ মেথি হচ্ছে নানারকম ভেষজগুণ সম্পন্ন আয়ুর্বেদিক উপাদান। বিশেষ করে আমাদের উপমহাদেশে এই উদ্ভিদ টি জন্মে থাকে। মেথি ব্যবহার করে খুশকি দূর করা যায়।
বাজার থেকে মেথি কিনে আনুন। দুই কাপ পানিতে দুই টেবিল চামচ মেথির বীজ সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। সকাল বেলা ভিজানো মেথির বীজগুলো কে পিষে ফেলুন এবং পেস্ট তৈরি করুন। এর পর মাথায় দিয়ে রাখুন ৩০-৪০ মিনিট। মেথি পেস্ট শুকিয়ে যাবার পর শ্যাম্পু করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

★ চার কাপ গরম পানিতে দুই মুঠো নিম পাতা দিয়ে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। সকাল বেলা নিম পাতার পানি দিয়ে মাথা ভিজিয়ে নিন। মেসেজ করুন। কিছুক্ষন পর মাথা ধুয়ে ফেলুন। আপনি নিম পাতার পেস্ট তৈরি করেও মাথায় দিতে পারেন। নিম পাতার গুনাগুন সম্পর্কে আমরা সবাই ভালো জানি। এতে রয়েছে ছত্রাক প্রতিরোধী গুন।

সূত্রঃ
http://everydayroots.com/dandruff-remedies

tags: খুসকি দূর করার উপায়, খুশকি সমস্যা সমাধানের উপায়, কিভাবে চুলের খুষ্কি দূর করবো, মাথায় চুলে খুশকি হলে কি করবো, কিভাবে খুশকি বন্ধ হবে, khushki dur korar upay, khushki somossa shomadhaner upay, kivabe culer khushki dur korbo, mathay chule khushki hole ki korbo, kivabe khushki bondho hobe, dandruff dur korar upay

ঘরোয়া পদ্ধতিতে ভিনেগার কিংবা বেকিং সোডা ব্যবহার করে খুশকি দূর করুন


খুশকি দূর করার জন্য আমরা নানান ধরনের শ্যাম্পু ব্যবহার করি। কিন্তু হয়তো তেমন একটা ফলাফল পাইনা। সে জন্য আমরা বিকল্প পদ্ধতি খুঁজতে থাকি। ঘরোয়া পদ্ধতিতে ভিনেগার অথবা বেকিং সোডা ব্যবহার করে খুশকি সমস্যা সমাধান করা যায়।

★ আপনি ভিনেগার ব্যবহার করে মাথার খুশকি দূর করতে পারেন। আপেল সাইডার ভিনেগার বা সাদা ভিনেগার দিয়ে মাথার চুল ধুলে খুশকি সমস্যা কমে। ব্যাপারটা যদিও অদ্ভুতুড়ে কিন্তু এটি কার্যকর।  মাথার ত্বক শুস্ক হয়ে খুশকি আকারে উঠে গেলে জ্বালা অনুভূত হয়। ভিনেগার মাথার ত্বকের ভিতরে প্রবেশ করে শুষ্কপ্রায় বিবর্ন ত্বকে প্রান ফিরিয়ে দেয় এবং খুশকি হওয়াকে প্রতিরোধ করে। এছাড়া ইহা আপনার চুলের পোরস গুলো বন্ধ করে দেয় না। ভিনেগার ত্বকের ছত্রাকের বিরুদ্ধেও কাজ করে। আধা কাপ গরম পানিতে আধা কাপ আপেল সাইডার ভিনেগার বা সাদা ভিনেগার মেশান। কয়েক মিনিটের জন্য মাথায় দিয়ে চুলে স্ক্রাব করুন। এর পর শ্যাম্পু করে মাথা ধুয়ে ফেলুন। গোসলের আট দশ ঘন্টা আগে এই পদ্ধতি টি অনুসরন করুন। সপ্তাহে এক বার করে এই মিক্সারটি ব্যবহার করুন।

★ বেকিং সোডা ব্যবহার করেও আপনি খুসকি দূর করতে পারেন। ভিনেগারের মত বেকিং সোডা ও ফাংগিসাইড বা ফাংগাস প্রতিকারক। এটি ব্যবহার করলে অতিরিক্ত মৃত চামড়া উঠে যায়।  এক কাপ গরম পানিতে এক টেবিল চামচ বেকিং সোডা মিশান। এর সাথে কয়েক ফোটা রোজমেরী তেল দিন।  ভালো করে মিশিয়ে অথবা একটা বোতলে ঢুকিয়ে ঝাকিয়ে নিন। এর পর মাথায় স্ক্রাব করুন। কিছুক্ষন পর ধুয়ে ফেলুন। এই পদ্ধতিটিও বেশ কার্যকরী।

সূত্রঃ
http://everydayroots.com/dandruff-remedies

tags: খুসকি দূর করার উপায়, খুশকি সমস্যা সমাধানের উপায়, কিভাবে চুলের খুষ্কি দূর করবো, মাথায় চুলে খুশকি হলে কি করবো, কিভাবে খুশকি বন্ধ হবে, khushki dur korar upay, khushki somossa shomadhaner upay, kivabe culer khushki dur korbo, mathay chule khushki hole ki korbo, kivabe khushki bondho hobe, dandruff dur korar upay

Tuesday, April 21, 2015

ওষুধ বিহীন ৯ টি পদ্ধতিতে উচ্চ রক্তচাপ কমান


উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন বর্তমানে পৃথিবী ব্যাপি একটি কমন স্বাস্থ্য সমস্যা। বেশিরভাগ মানুষই উচ্চরক্তচাপ স্বাভাবিক করতে ওষুধ খেয়ে থাকে। ওষুধপাতির ঝামেলা এড়িয়ে নিম্নলিখিত ৯ টি ধাপে উচ্চ রক্তচাপ কমান।

১। আপনার দৈনন্দিন খাবারে লবনের মাত্রা কমিয়ে আনুন। লবনের সোডিয়ামের কাজ হলো নার্ভ এবং মাংশপেশিতে তড়িত প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা। বেশি লবন গ্রহনের ফলে সোডিয়ামের আধিক্যে শরীরে পানির মাত্রা বেড়ে যায়। যখন রক্তে তরলের আধিক্য হয় তখন দেহে রক্তের প্রবাহ ঠিক রাখতে হৃদযন্ত্রকে দ্রুত পাম্প করতে হয়। ফলে রক্তচাপ বেড়ে যায়। তাই লবন খাওয়ার ব্যাপারে আপনাকে সচেতন হতে হবে। অনেকে বলে রান্না করা খাদ্যে লবন বেশি হলে সমস্যা নেই। খাওয়ার সময় কাঁচা লবন না খেলেই হয়। ধারনাটা ঠিক নয়। রান্না করা তরকারীর লবন বলেন আর কাঁচা লবনই বলেন মুদ্দাকথা- লবন কম খেতে হবে।

২। যে কোনো ধরনের খাবারেই লবন কম খেতে হবে অথবা অল্প লবন যুক্ত বা লবন বিহীন খাবার খেতে হবে হোক সেটা সস কিংবা আচার। মেডিকেল প্রফেশনালিস্টরা 'লো সোডিয়াম ডায়েট' অর্থাৎ দৈনিক ১১০০-১৫০০ মিলিগ্রাম খাওয়ার পরামর্শ দেন।

৩। চিনি জাতীয় খাবার কম খান কিংবা বর্জন করুন। ডিম, দুধ, মাংস বাদ দিয়ে সবজি খান।

৪। কফি খাবেন না। ক্যাফেইন জাতীয় কোনো খাবার খাবেন না। ক্যাফেইন নার্ভাস সিস্টেমকে উত্তেজিত করে। ফলে হার্টবিট বেড়ে যায়। সাথে সাথে ব্লাড প্রেসারও। দিনে ১ থেকে ২ কাপ কফি পান করাটাও ঠিক হবে না।

৫। ফাইবার জাতীয় খাবার খাবেন। ফাইবার আপনার পরিপাক অন্ত্রকে পরিস্কার রাখে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে রাখে। বেশিরভাগ ফলমূলাদিতেই ফাইবার থাকে।

৬। কিছু কিছু ভেষজ উপাদান রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন করে। রসুন, হলুদ, আদা, গোলমরিচ, অলিভ অয়েল, বাদাম ইত্যাদি কার্যকরী। প্রতিদিন এক কোয়া রসুন চিবিয়ে খেলে ভালো কাজ হবে।

৭। ধুমপান, মদপান বর্জন করুন। শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমান। পর্যাপ্ত বিশ্রাম করুন। মানুষিক টেনশন করবেন না। মেডিটেশন করলে অনেক রিলাক্স লাগবে। ব্লাডপ্রেসার বেড়ে গেলে গভীর ভাবে শাঁস নিন। আস্তে আস্তে শাঁস ছাড়ুন। এই কাজটি দৈনিক ৫-১৫ মিনিট যাবত করুন। এছাড়া কায়িক পরিশ্রম কিংবা শরীরচর্চা করুন নিয়মিত।

৮। রাতে ঘুমোতে যাবার পূর্বে ১৫ মিনিট যাবত কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করুন। দেখা গেছে এতে কয়েকঘন্টা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে থাকে। এমনকি সারারাতে।

৯। নিজে নিজেই ব্লাড প্রেসার মনিটর করতে পারেন। sphygmomanometer ও স্টেথোস্কোপ দিয়ে রক্তচাপ মাপতে পারেন। প্রেসারের রেঞ্জ দেওয়া হলো-

★Normal blood pressure - 120/80 and below
★Pre-Hypertension blood pressure : 120-139/80-89
★First stage hypertension : 140-159/90-99
★Second stage hypertension - : 160/100 and above

সূত্রঃ
wikihow.com

tags: ব্লাডপ্রেসার কমানোর উপায়, হাইপারটেনশন কমানোর উপায়, উচ রক্তচাপ কমানোর উপায়, ব্লাডপ্রেসারের ওষুধ, উচ্চরক্তচাপের চিকিতসা, কিভাবে রক্তচাপ কমে, রক্তচাপ বেড়ে গেলে করনীয়, ব্লাডপ্রেসার মাপার পদ্ধতি, উচ্চ রক্তচাপে কি খাবো, blood pressure komanor upay, hypertension komanor upay, uccho roktochap komanor upay, blood pressure er oushudh, uccho roktochaper chikitsha, kivabe roktochap kome, roktochap bere gele koronio, blood pressure mapar system, uccho roktochape ki khabo

এলার্জির লক্ষণ ও প্রতিকার


আপনার ইমিউন সিস্টেম এক ধরনের পদার্থ তৈরি করে যাকে এন্টিবডি বলে। আপনার শরীরে যাতে অনাকাঙ্ক্ষিত জীবানু প্রবেশ করে রোগ বিস্তার না করতে পারে এন্টিবডি সে ধরনের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। আপনি যখন এলার্জিতে আক্রান্ত হন তখন আপনার শরীরে এলার্জেন নামক এক ধরনের এন্টিবডি তৈরি হয় যেটি আপনার ক্ষতি করে। যাতে ত্বকে জ্বালাপোড়া হয়, সাইনাস এবং পরিপাক ক্রিয়া অস্বাভাবিক হয়।

এলার্জির উপসর্গঃ

এলার্জির কারনে হে ফেভার হলে যে সমস্যাগুলো হয়-
★ হাঁচি
★ নাক, কান ও মুখের উপরিভাগে চুলকানি
★ নাক দিয়ে পানি পড়ে, নাক বন্ধ হয়ে যায়
★ চোখ দিয়ে পানি পড়ে, চোখ লাল হয়ে যায়, চোখ ফুলে যায়

খাবারের কারনে এলার্জি হলে যেই সমস্যাদি হয়-

★ মুখে প্রদাহ হয়
★ ঠোট, জিহ্বা, মুখমণ্ডল ও গলা ফুলে যায়।
★ আমবাত
★ এনাফিলেক্সিস- এটি অনেক জটিল প্রানঘাতি সমস্যা। এ সমস্যা হলে উদ্বিগ্নতা বাড়ে, ব্লাড প্রেসার কমে যায়, শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা, চামড়ায় ফুসকুড়ি, মাথা ঘুরানো, পালস এর উঠানামা, বমি বমি ভাব ও বমি হতে পারে।

এছাড়াও ওষুধের প্বার্শপ্রতিক্রিয়ায় এলার্জি হতে পারে। কীটপতঙ্গের দংশনের কারনেও এলার্জি হতে পারে। এক ধরনের এলার্জি আছে যাকে একজিমা বলে। একজিমা হলে ত্বক লালচে হয়ে যায়, চুলকানি হয় এ চামড়া উঠে যায়।

এলার্জির চিকিৎসাঃ

★ এন্টিহিস্টামিন টেবলেট, নাকের স্প্রে, চোখের ড্রপ, স্কিন ক্রিম, ইঞ্জেকশন ব্যাবহারে এলার্জি ভালো হয়।
★ দ্রুত সাইনাস ও বন্ধ নাসারন্ধ্র পরিস্কার করার জন্য Decongestants টেবলেট, নাকের স্প্রে, ড্রপ ব্যাবহার করা হয়।
★ এলার্জির জনিত চর্ম প্রদাহের জন্য Corticosteroids পিল, নাকের ড্রপ, ইনহেলার, চোখের ড্রপ, স্কিন ক্রিম ব্যাবহার করা হয়।
★ এছাড়াও অন্যান্য চিকিৎসা রয়েছে। অবশ্যই  চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ গ্রহন করুন।

সূত্রঃ
mayoclinic.org

tags: এলার্জির লক্ষন, উপসর্গ, এলার্জির চিকিতসা, এলার্জি হয় কেনো, এলার্জি হলে কি করবো, এলার্জির ওষুধ, এলার্জি কি, এলার্জি হলে কি ওষুধ খাবো, চামড়া চুলকানি, স্কিন র‍্যাশ, allergir lokkhon, elargir cikitsha, alargi hole ki korbo, allargyr oushudh, allargy ki, elargy hole ki oshudh khabo, chamra chulkani

Monday, April 20, 2015

দাদের চিকিৎসায় করনীয়


দাদ বলেন আর দাউদ বলেন এই চর্মরোগটি শতকরা ১০-২০% মানুষেরই কোন না কোন সময় হয়ে থাকে। সব বয়সের মানুষের দাউদ হতে পারে, তবে শিশু কিশোরদের এই সমস্যা তুলনামূলক বেশি হয়।

রিংওয়ার্ম বা দাদের চিকিৎসায় করনীয়ঃ

নিম্নে উল্লেখিত টিপস গুলো নিজে নিজে চেষ্টা করুন-
১। দাদ আক্রান্ত জায়গা ধৌত করুন। এর পর জায়গাটা যেনো শুকিয়ে যায় সেদিকে লক্ষ করবেন। বিশেষ করে ত্বকের যে অংশে ভাঁজ পড়ে আর আংগুলের ফাঁকে ফাঁকে।

২। দুই রানের কুঁচকিতে দাদ হলে প্রতিদিন আন্ডারওয়্যার পাল্টিয়ে পরতে হবে এবং ভালোমত ধুয়ে নিয়ে পরতে হবে। পায়ের পাতায় দাদ হলে অনুরুপ ভাবে মৌজা পরিবর্তন করতে হবে। একি আন্ডারওয়্যার কিংবা মৌজা অধৌত অবস্থায় পরবেন না।

৩। মাথার ত্বকে দাদ হলে আপনার চিরুনি, চুলেরব্রাশ, টুপি অন্যের সাথে শেয়ার করবেন না।

৪। আপনার কাপড় চোপড়, তোয়ালে, বিছানার চাদর নিয়মিত ধৌত করবেন।

৫। লুজ ফিটিং জামাকাপড় পরবেন। কটনের তৈরি জামা কাপড় পরুন।

ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। সাধারনত চিকিৎসকেরা এন্টি ফাংগাল ক্রিম, এন্টি ফাংগাল টেবলেট এবং মাথার স্কাল্পের জন্য এন্টিফাংগাল শ্যাম্পু প্রেসক্রাইব করেন। একসময় আমার দাদ হয়েছিলো। গ্রাইসভিন ট্যাবলেট খাওয়ার পর দাদ সংক্রমণ কমে গিয়েছিলো। যেহেতু এই রোগটি ছত্রাক বাহিত রোগ সেহেতু এটি শুকিয়ে গিয়ে আবার আক্রমন করে। সাবানের সংস্পর্শ পেলে দাদ বেড়ে যায়। তাই খর সাবানের পরিবর্তে কোমল সাবান ব্যাবহার করুন। বাজারে ক্যানভাসাররা পাগলা মলম, বিচ্ছু মলম জাতীয় কিছু ফালতু মলম বিক্রয় করে। ভুলেও সস্তা এ জাতীয় মলম কিনবেন না। এগুলো সামান্য কাজ করে ঠিকই কিন্তু এতে আপনার সমাধান হবে না। পেভিসন ক্রিম আমাদের দেশে অনেক জনপ্রিয় একটি ওষুধ। আপনি পেভিসন ব্যাবহার করতে পারেন। নিয়মিত ব্যাবহার করলে দাদ সেরে যায়। তবে আমার নির্দেশনা হলো ২-৩ দিন পরপর এই ক্রিমটি লাগান। দাদ আক্রান্ত স্থান ভালো হয়ে যাবার পরও ব্যবহার করে যাবেন। ফলাফল পাবেন নিশ্চিত।

সুত্রঃ
nhs.uk

tags: দাদ হলে কি করবো, দাউদের চিকিৎসা, দাদ ভালো করার উপায়, dad hole ki korbo, douder chikitsha, dad valo korar upay

Thursday, April 16, 2015

মুখের রুচি বাড়ানোর উপায়


অনেক সময় মুখে তিতা তিতা লাগে। আবার বিস্বাদ লাগে। এ সময় প্রিয় খাবার গুলোও খেতে ইচ্ছে করে না। কোনো খাবারেই রুচি লাগে না। তখন কি করবেন।

১। দাঁত ব্রাশ করার সময় মাড়ি এবং জিহ্বা ও ব্রাশ করুন। তারপর মাউথওয়াশ দিয়ে ভালো মত কুলি করুন। দিনে কমপক্ষে দুইবার এটা করবেন। দাঁতের ফাঁকে ফাঁকে ফ্লস বা সুতো দিয়ে প্রতিদিন দাঁত পরিস্কার করবেন।

২। টুথপেস্টের উপর সামান্য বেকিং সোডা আর অল্প একটু লবন দিয়ে দাঁত ব্রাশ করুন। এতে করে দাঁতের ইনফেকশন ও প্লাক দূর হবে। দিনে দুবার এই কাজটি করলে ভালো হয়।

৩। মুখের ভিতরে লালা উতপাদক খাদ্য গ্রহন করুন। যেমন আংগুর, কমলা ইত্যাদি।
মুখে লালা উতপাদন স্বাভাবিক থাকলে মুখে তিতা ও মেটালিক স্বাদ দূর হবে।

৪। অনেক সময় বদহজমের কারনে মুখের রুচি চলে যায়। সেক্ষেত্রে আপনি কি স্পাইসি অথবা জাংক ফুড খাচ্ছেন কিনা সেদিকে খেয়াল রাখবেন। যাই খাবেন ভালো, স্বাস্থ্যকর খাবার খাবেন। পরিমানমত খাবার খান আর ভালোমত চিবিয়ে খান।

৫। মুখে দুর্গন্ধ থাকলে দূর করতে হবে। পিপারমিন্ট বা পুদিনা পাতা চিবাতে পারেন। অথবা বিভিন্ন সাইট্রাস ফল, সাইট্রাস জাতীয় সুগন্ধি ক্যান্ডি খেতে পারেন।

৬। বেশি বেশি পানি পান করুন। পানি আপনার মুখের ভিতরকার টক্সিন পরিস্কার করে নিবে। পাকস্থলীর এসিড কমবে পানি পান করলে। মুখের টক্সিন আর পাকস্থলীর অতিরিক্ত এসিড এ দুটো আপনার খাবারের অরুচির জন্য দায়ী।

সূত্রঃ
www.newhealthguide.org

tags: মুখের অরুচি দূর করবার উপায়, খাবারে অরুচি দূর করবার উপায়, কি খেলে রুচি বাড়বে, মুখের রুচি কমে গেলে কি করবো, মুখ তিতা লাগলে কি করবো, রুচি বাড়ানোর উপায়, mukher oruchi dur korbar upay, khabare oruci dur korbar upay, ki khele ruci barbe, mukher ruchi kome gele ki korbo, mukh tita lagle ki korbo, ruchi baranor upay.

Friday, April 10, 2015

অতি দ্রুত সুস্থ চুল বেড়ে উঠার জন্য ৮ টি কার্যকরী টিপস


কে না চায় চুল সিল্কি, উজ্জ্বল, পরিপুষ্ট হয়ে বেড়ে উঠুক ! চুল মানুষের সৌন্দর্যের একটি অন্যতম ভিত। তাই চুলের পরিচর্যা করা উচিত। চুল বৃদ্ধির হার জেনেটিক ম্যাটারের উপর নির্ভর করে। প্রতি মাসে আধা ইঞ্চি হতে এক ইঞ্চি করে চুল বেড়ে উঠে। চুলের পরিচর্যা করলে পরিপুষ্ট ও মোটা হয়ে চুল বেড়ে উঠে। আপনি যদি আপনার দীর্ঘ ও সুন্দর চুল প্রত্যাশা করেন তাহলে নিচের টিপস গুলো অনুসরন করতে পারেন।

১। অনেক সময় চুলের আগা ফেটে যায়। এই সমস্যা থেকে উত্তরনের জন্য হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। কার্যকরী  হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করলে আপনার চুল দ্রুত বেড়ে উঠার সাথে সাথে উজ্জ্বল, কোমল, এবং আরো আকর্ষণীয় হবে। একটি ডিমের কুসুমের সাথে এক চা চামচ ভার্জিন অলিভ অয়েল মিশিয়ে চুলে ব্যাবহার করতে পারেন। অথবা নারিকেল তেল, মিষ্টি বাদামজাত তেল এবং মধু মিশিয়ে সামান্য গরম করে চুলে লাগিয়ে নিতে পারেন। মাথায় লাগানোর পর শাওয়ার ক্যাপ অথবা তোয়ালে দিয়ে মাথা ঢেকে নিন। আধাঘন্টা পর চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার কিংবা মাসে দুইবার করে এই পরিচর্যা চালিয়ে যান। এজাতীয় প্রাকৃতিক চুল পরিচর্যায় আপনার চুল দ্রুত বেড়ে উঠবে। সাথে সাথে লাবন্যময়, চকচকে ও উজ্জল হয়ে উঠবে।

২। শুধুমাত্র বাহ্যিক পরিচর্যাই নয়, খাবার দাবারে ও মনোযোগ দিন। কি খাবেন ? অবশ্যই প্রোটিনযুক্ত খাবার। যেমন মাছ, মুরগী, লাল মাংস, ডিম, বাদাম ইত্যাদি। আপনার প্রতিদিনকার খাবারের তালিকায় এই উপাদান গুলো রাখলে আপনার চুল হবে সুস্বাস্থ্যময়।

৩। মাথায় তেল দেবার পর ফাঁকা দাঁতওয়ালা চিরুনি দিয়ে দুই মিনিট ধরে চুল আঁচড়াবেন। এতে করে চুলের সর্বাংশে তেল পৌছে যাবে। আর চিরুনি বা ব্রাশ দিয়ে আঁচড়ানোর ফলে একটা হালকা মেসেজ তো হয়েই যাচ্ছে। এতে করে আপনার মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে। চুলের সুরক্ষায় চুলের নিম্নাংশে যে ফলিকল গুলো আছে, রক্তসঞ্চালনের ফলে সেগুলোর চুল আঁকড়ে ধরার ক্ষমতা বাড়ে।

৪। শ্যাম্পু করার সময় ২-৩ মিনিট ধরে আংগুল দিয়ে কোমল ভাবে মাথায় চক্রাকারে মেসেজ করুন। চুল ধোয়াটা তো হলই সাথে ব্লাড ফ্লো ও বাড়লো।

৫। আরেকটি হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। পেঁয়াজের রস অথবা দুইটা আলু পিষা রসের সাথে এক টেবিলচামচ মধু ও একটা ডিম মিশান। এটাও কার্যকরী।

৬। চুলের কন্ডিশনার ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সতর্ক হোন। কন্ডিশনার ব্যবহার করার সময় চুলের গোড়ায় যেনো না লাগে সে দিকে লক্ষ রাখবেন। কারণ কিছু কিছু হেয়ার কন্ডিশনারে ওয়াক্স এবং সিলিকন জাতীয় তৈলাক্ত উপাদান থাকে। মাথাভর্তি হেয়ার কন্ডিশনার লাগালে স্কাল্প তৈলাক্ত হয়ে যায়। ফলে ত্বকে বাতাস পরিশোষনে বিঘ্ন ঘটে এবং চুলের গোড়া আবৃত হয়ে যায়। অতএব চুলের মূল ছেড়ে বাকি অংশে হেয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।

৭। হাল্কা গরম করে মাথায় তেল দিবেন। এতে আপনি ভালো ফলাফল পাবেন।

৮। রাতে ঘুমানোর আগে ক্যাস্টর অয়েল চুলে মেখে মাথা আবৃত করে ঘুমিয়ে পড়ুন সারারাত ক্যাস্টর ওয়েল আপনার চুলকে পরিপুষ্ট করবে। সকালে কন্ডিশনার দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার কিংবা দুইবার এই পদ্ধতি চালিয়ে যান। কিছুদিন পর পার্থক্যটা নিজেই বুঝতে পারবেন।

সূত্রঃ
 www.beautyandtips.com

tags: কিভাবে চুল তাড়াতাড়ি বাড়বে, চুল বড় করার উপায়, চুলের যত্নে কি করবো, কি ধরনের হেয়ার মাস্ক ভালো, চুলের জন্য কি তেল ভালো, kivabe chul taratari barbe, chul boro korar upay, culer jotne ki korbo,ki dhoroner hair mask valo, culer jonno ki tel valo

Wednesday, April 8, 2015

কিভাবে চুল পড়া বন্ধ করবেন



মাথার চুল ঝরে যাওয়া আজকাল সবার ই একটি কমন সমস্যা। সকলেই প্রত্যাশা করে মাথা ভরা ঝাকড়া চুলের। মেয়েরা তো চুলের জন্য পারলে সব কিছুই করে। কিন্তু চুল পড়া বন্ধ হয় না। মাথায় আংগুল দিয়ে হাত বুলালে কিংবা চিরুনি দিয়ে আঁচড়ালে চুল উঠে আসে। কারো কারো মাথা টাক কিংবা টাক হওয়ার পথে। কয়েকটি পদক্ষেপ নিলে আশা করি সমস্যাটা কমে যাবে।

১। পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহন করুনঃ পুস্টিকর খাবার খান। এর সাথে সাথে মাথা এবং চুলের সুরক্ষার জন্য পুষ্টিবর্ধক সাপ্লিমেন্ট নিতে পারেন। পুস্টিকর খাবারের উপাদান সমূহ হচ্ছে-

(ক) ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডঃ ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড মাথার চামড়ার স্তর এবং চুলের গোড়াকে পরিপুষ্ট করে। এই এসিড চুলকে নমনীয় করে যাতে চুল ভেংগে না যায়।

(খ) জিংকঃ মাথার সুস্থ ত্বকের জন্য জিংক দরকারি উপাদান। চুলের গোড়ায় অবস্থিত তৈল নিঃসারক গ্রন্থিকে হরমোন উতপাদনের মাধ্যমে চুলে প্রান দান করে। অতিরিক্ত জিংক গ্রহন করলেও সমস্যা আছে। এতে অতিরিক্ত টেস্টস্টেরন নিঃসৃত হয়ে চুল পড়া বেড়ে যায়। তাই পরিমান মত জিংক গ্রহন করতে হবে। দিনে ১১ মিলিগ্রাম।

(গ) প্রোটিনঃ পরিমানের চেয়ে কম প্রোটিন যুক্ত খাবার গ্রহন করলে চুল দূর্বল ও বিবর্ণ হয়ে যায়। শাকসবজি খেলে প্রোটিনের অভাব দূর হয়।

(ঘ) এছাড়া আয়রন, ভিটামিন এ এবং সি, ম্যাগনেসিয়াম, সেলেনিয়াম চুলের পুস্টির জন্য প্রয়োজনীয়।

২। কার্যকরী তেলের ব্যবহারঃ এসেন্সিয়াল তেল যেমন তিলের তেল, বাদামের তেল, ল্যাভেন্ডারের তেল কয়েক ফোটা মাথায় দিয়ে মেসেজ করলে মাথার ত্বকে রক্তসঞ্চালন বাড়ে। ফলে চুলের গোড়া শক্ত হয়।

৩। গরম তেলের ব্যবহারঃ যেকোনো প্রাকৃতিক তেল যেমন নারিকেল তেল, সূর্যমুখী তেল, অলিভ ওয়েল, ইতাদি তেল মাথায় ব্যাবহার করতে পারেন। হালকা গরম করে তেল মাথায় দিয়ে রাখতে পারেন। মাথায় শাওয়ার ক্যাপ পরে নিলে ভালো হয়। পরে শ্যাম্পু করে নিবেন।

৪। চুলে হিট না দেওয়াঃ আমাদের অনেকে বিশেষ করে মেয়েরা চুল তাড়াতাড়ি শুকানোর জন্য চুলে হিট দেয়। চুল কার্লি করার জন্য কিংবা সোজা করার জন্য হেয়ার ড্রায়ার ব্যাবহার করলে চুলের মধ্যকার প্রোটিন দূর্বল হয়ে যায়। ফলে চুল পড়ে যায় এবং ভেংগে যায়। ইলেক্ট্রনিক ড্রায়ার দিয়ে চুল না শুকিয়ে স্বাভাবিক ভাবে চুল শুকিয়ে নিন।

৫। চুলে ঘন ঘন রঙ না করাঃ দেড় দুই মাস পরপর চুল কালার করুন প্রয়োজন হলে। সব চুল গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত কালার না করে আংশিক চুল কালার করুন যাতে অন্তত পাকা চুলগুলো ঢেকে যায়। তবে চুলে কালার না করাটাই শ্রেয়।

৬। চুলের স্টাইল সংশোধন করাঃ মেয়েরা ক্লিপ অথবা ইলাস্টিক দিয়ে বেশ শক্ত করে চুল বেঁধে রাখে। এতে করে চুল উঠে যায়। একটু ছেড়ে ছেড়ে চুল বাধুন। ওয়াইন্ডিং রোলার ব্যাবহার করতে পারেন।

৭। নিয়মিত চুল ধোয়াঃ নিয়মিত চুল ধুলে স্কাল্প পরস্কার হয়, খুশকি দূর হয়, কোনোরকম ইনফেকশন হয় না। চুল ধোয়ার জন্য কোমল শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। বাজারের রংগচংগা শ্যাম্পুর চেয়ে ক্লিনিকাল শ্যাম্পু ব্যাবহার করা উত্তম।

৮। ভেজা চুল আঁচড়াবেন নাঃ ভেজা চুল আঁচড়ালে চিরুনির সাথে চুল উঠে আসে। যদি ভেজা চুল আঁচড়াতেই হয় তাহলে ফাঁকা দাতওয়ালা চিরুনি ব্যবহার করুন। চুল জঁট বাধা অবস্থায় থাকলে ব্রাশ কিংবা চিরুনি দিয়ে চুল না আঁচড়িয়ে আংগুল দিয়ে চুলের জঁট খুলুন। তারপর আঁচড়ান।

সূত্রঃ
med-health.net

tags: চুল পড়া বন্ধ, চুল পড়া রোধ, কিভাবে চুল পড়া বন্ধ করবো, চুল পড়লে কি করবো, চুল উঠে গেলে কি করবো, চুল পড়া বন্ধের টিপস, কি করলে চুল পড়বে না, চুল পড়ে কেনো, চুল পড়া বন্ধ করার উপায়, chul pora bondho, kivabe chul pora bondho korbo, chul porle ki korbo, chul uthe gele ki korbo, chul pora bondher tips, ki korle chul porbena, chul pore keno, chul pora bondho korar upay

Monday, April 6, 2015

পেটের গ্যাস কমাতে ৭ টি টিপস



১। যেসব খাবার খেলে পেটে গ্যাস হয় সেগুলো কম খাবেন। কিছু কিছু ফল আছে যেমন আপেল, নাশপাতি প্রভৃতি ; ব্রকলি, পেয়াজ ইত্যাদি সবজি ; শস্য দানা, দুগ্ধজাত খাবার, পনির, আইসক্রিম ইত্যাদি খাবার কম খাবেন। এসব খাবারে ফাইবার, চিনি, শ্বেতসার উপাদান থাকে যা কিনা সহজে শোষিত ও হজম হয় না। যার ফলে অন্ত্রে পরিশেষে গ্যাস উতপন্ন হয়। যদি দেখেন কার্বনেটেড সফট ড্রিংক্স, ফলের জুস খেলে গ্যাস হয়ে যায় তবে এগুলোকে খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে।

২। খাবারের পূর্বে পানি পান করুন। আপনি যদি খাবারের সময় বেশী পানি পান করেন তাহলে পাকস্থলীতে এসিড নিঃসরণ কম হবে, ফলে খাদ্য পরিপাকে সমস্যা হবে। চিকিৎসকেরা বলে থাকেন, খাবার গ্রহন করার ৩০ মিনিট পর পানি পান করা উচিত।

৩। ধীরে সুস্থে খাবার গ্রহন ও পানি পান  করুন। তাড়াতাড়ি খাবার খেলে খাবারের সাথে পেটে বাতাস ঢুকে পড়ে।

৪। যাদের খাবার খেলেই গ্যাস হয় তাদের খাবারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে  এসিড ব্লকার কিংবা এন্টাসিড জাতীয় ঔষধ খাওয়া উচিত। beano এক ধরনের ডাইজেস্টিভ এনজাইম। ফাইবার কিংবা ল্যাকটোজের কারনে গ্যাস হলে beano গ্যাস কমাতে সহায়তা করে।

৫। এক্টিভেটেড চারকোল বা কাঠকয়লা গ্যাস কমায়। ব্যাপারটা শুনতে অদ্ভুত মনে হলেও এক্টিভেটেড চারকোল অতিরিক্ত গ্যাস এবং পেটফুলা কমায়। এজাতীয় ঔষধ পাবেন ফার্মেসী তে।

৬। ধুমপান, চুইংগাম চিবানোর ফলে পেটে অতিরিক্ত বাতাস ঢুকে পড়ে। স্ট্র দিয়ে তরল পান করলেও বাতাস প্রবেশ করে যা কিনা পরবর্তীতে গ্যাস বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়। তাই এদিকে লক্ষ্য রাখবেন।

৭। সুগার ফ্রী জাতীয় খাবার, সফট ড্রিংস, গাম ইত্যাদি কৃত্রিম সরবিটল যুক্ত মিষ্টি জিনিসও গ্যাস হওয়ার জন্য দায়ী। এ ব্যাপারে খেয়াল রাখবেন।

সূত্রঃ
everydayhealth.com

tags: পেটে গ্যাস হলে করনীয়, পেট ফুলে গেলে কি করবো, গ্যাস্ট্রিক হলে করনীয়, গ্যাস্ট্রিক হলে কি করবো, পেটের গ্যাস কমানোর উপায়, pete gas hole ki korbo, pet fule gele ki korbo, peter gas komanor upay

Wednesday, April 1, 2015

দেহের ওজন বাড়ানোর ৮ টি কার্যকরী টিপস

kivabe

১। বেশি বেশি খাবার খান। দিনে তিন বেলার পরিবর্তে ছয় বার খাওয়া দাওয়া করার অভ্যাস করুন। চিকন কিংবা রোগা স্বাস্থের মানুষের জন্য এটা অনেক কঠিন বিষয়। কারন বার বার খাবার গ্রহনের দিকে মোটেই মনোযোগ আকর্ষন হবার কথা না। অনেক চাপ হবে তবু আস্তে আস্তে চেষ্টা চালিয়ে যান। কয়েক সপ্তাহ ধরে চেষ্টা করলে অভ্যস্ত হয়ে যাবেন। সপ্তাহে  অতিরিক্ত ৫০০ ক্যালরি = ১ পাউন্ড প্রাপ্ত অতিরিক্ত ওজন। সুতরাং সপ্তাহে ১০০০ ক্যালরি গ্রহন করতে পারলে ২ পাউন্ড বা প্রায় ১ কেজি ওজন বাড়াতে পারবেন।

২। ক্যালরি বাড়াতে গিয়ে সফ্ট ড্রিংকস কিংবা জাংক ফুড খাবেন না। পেশির ওজন বাড়ানোর জন্য ক্যালরি যুক্ত স্বাস্থ্যকর প্রোটিন, ফ্যাট খাবার খান।

৩। প্রোটিন যুক্ত খাবার আপনার মাসেল বাড়াতে এবং সুডৌল করতে সহায়তা করবে। মুরগী, মাছ, ডিম, দুধ, বাদাম, চীনাবাদাম ইত্যাদি প্রোটিন যুক্ত খাবার খান।

৪। বাদামী চাল, গমের রুটি, ওটমিল, পাস্তা ইত্যাদি খাবার গুলো আপনার ওজন ধরে রাখতে সাহায্য করবে, মাংসপেশি বাড়াবে না। প্রতি বেলায় শাকসবজি ও ফলমূলাদি খান। বেশি পরিমানে প্রোটিন খেলে আপনার শরীরে শক্তি বৃদ্ধি পাবে কিন্তু মাংসপেশি বৃদ্ধি পাবে না। সাথে সাথে আপনাকে তৈলাক্ত বা চর্বিযুক্ত খাবার খেতে হবে।

৫। ওয়েট লিফটিং এর মত ভারি ভারি ব্যায়াম করুন। ওয়েট লিফটিং করার জন্য প্রোটিন তো আপনাকে শক্তি যুগিয়ে দিচ্ছেই। ভারি জিনিস ওঠানামা করলে আপনার বুক, বাহু, ঘাড় প্রভৃতি দেহাংশ সুগঠিত হবে।

৬। প্রতিটি ব্যায়াম পদ্ধতি যেমন পুশ আপ, পুশ ডাউন, ডাম্বেল বহন ইত্যাদি ৬ থেকে ১২ বারের বেশি রিপিট করবেন না। প্রতিটি ব্যায়ামের মাঝখানে এক মিনিট সময় নিন।

৭। প্রতি রাতে ৮-৯ ঘন্টা যাবত ঘুমান। আপনি ডায়েট করলেন, ব্যায়াম করলেন কিন্তু ৬ ঘন্টা বা তারও কমসময় ঘুমালেন, আপনার সম্পূর্ণ প্রচেষ্টাই বৃথা যাবে। কারন রাতে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় আপনার শরীরের মাংসপেশি রিবিল্ড হতে থাকে।

৮। আপনার কাংখিত ওজন পেয়ে গেলে অতিরিক্ত ফ্যাট এবং কার্ব জাতীয় খাবারের পরিমান কমিয়ে দিন এবং ব্যায়াম চালিয়ে যান।

সূত্রঃ
nerdfitness.com

tags: ওজন বাড়ানোর উপায়, মোটা হওয়ার উপায়, ওয়েট বাড়াবো কিভাবে, মোটা স্বাস্থ্যের জন্য কি করবো, ojon baranor upay, moya hobar upay, weight barabo kivabe, mota shastho, shorirer ojon barbe kivabe, mota hobo 

দেহের ওজন কমানোর ১০ টি কার্যকরী টিপস



১। বিশেষজ্ঞরা দেখেছেন, স্থূলকায় লোকজন তাড়াতাড়ি সবেগে খাবার গ্রহন করে। খাবার যখন খাবেন ধীরেধীরে খান। ভালোমত চিবিয়ে খাবারের স্বাদ গ্রহন করুন। ম্যাক্রোবায়োটিক বিশেষজ্ঞরা বলেন, মুখভর্তি খাবার ৩০ বারের মত চিবালে মিশ্রিত লালার এনজাইম খাবার হজম করতে সহায়তা করে।

২। খাবার গ্রহনের সময় পেট ভর্তি হয়েছে মনে হলে খাওয়া বন্ধ করে দিন। আপনার পেট ভরে গেছে কি না সেই জিনিসটা মস্তিস্কের বুঝতে লাগে প্রায় ২০ মিনিট।

৩। প্রতি বেলায় খাবার খান। কোনো বেলায় খাওয়া বাদ দেবেন না। অনেকে মনে করেন দিনে একবেলা না খেলে ওজন হ্রাস হতে থাকবে। আসলে কিন্তু তা নয়। খাওয়া ড্রপ দিলে আপনার রক্তে সুগারের মাত্রা কমে যায়। আর সেকারনে আপনার ক্ষুধার পরিমান বৃদ্ধি পাবে। যে বেলায় না খাবেন ঠিক তার পরের বেলায় আপনি আপনার মনের অজান্তেই বেশি খেয়ে ফেলবেন।

৪। ওজন কমানো দীর্ঘ সময়ের বিষয়। আপনি ডায়েট কন্ট্রোল করা অবস্থায় প্রায়ই ওজন মেপে দেখেন ওজন কতটুকু কমলো। যখন দেখেন আপনার ওজন অতিসামান্য পরিমান হ্রাস হচ্ছে তখন আপনি হতাশ হয়ে পড়েন এবং চেষ্টা করা বন্ধ করে দেন। তাই নিয়মিত ওজন মাপবেন না। প্রতি সপ্তাহে একবার ওজন মাপতে পারেন। জানেনইতো তড়িঘড়ি করে দেহের ওজন কমানো সম্ভব না।

৫। ছোট প্লেটে খাবার নিয়ে খান। এতে করে আপনার খাবারের মাত্রা কমে আসবে।

৬। মদ্যপান করার অভ্যাস থাকলে পরিত্যাগ করতে হবে। এলকহলে এম্পটি ক্যালরি থাকে।

৭। যেসব খাবারে বেশি ফাইবার থাকে সেগুলো খান। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার দীর্ঘক্ষণ আপনার পাকস্থলী পরিপূর্ণ রাখবে আর পরিপাক ক্রিয়ায় সহায়তা করবে।

৮। দৈনিক কমপক্ষে ৭-৮ গ্লাস পানি পান করুন। অনেক সময় ক্ষুধাবোধের কারনে পানির তৃষ্ণা অনুভূত হয় না। দুপুর বেলায় বড় গ্লাসে করে পানি খেয়ে দেখুন আপনার ক্ষিধে লাগবে, তবে অন্তত দশ মিনিট পর।

৯। জাংকফুড, মিষ্টিজাতীয় খাবারের বদলে ফলমূল খাবার অভ্যাস করুন। লোভ সংবরন করতে হবে।
অল্প অল্প করে কয়েকবার খাবার গ্রহন করুন। এতে করে আধপেটা থাকার অভ্যাস গড়ে উঠবে।

১০। দেহের ওজন তখনি কমে যখন আপনার ক্যালরি গ্রহনের পরিমানের চেয়ে ক্যালরি অবমুক্ত করবার পরিমান বেশি হবে। তার জন্যে আপনাকে শরীরচর্চা করতে হবে। তবে যেকোনো প্রকারের শরীরচর্চার আগে আপনার মেডিকেল কন্ডিশন চেকআপ করে নিবেন।

সূত্রঃ
webmd.boots.com

tags: ওজন কমানোর উপায়, চিকন হবার উপায়, ওজন কমানোর টিপস, মেদ কমানোর উপায়, med komanor upay, ojon komanor upay, chikon hobar upay, ojon komanor tips, weight loss korbo kivabe