দাদ বলেন আর দাউদ বলেন এই চর্মরোগটি শতকরা ১০-২০% মানুষেরই কোন না কোন সময় হয়ে থাকে। সব বয়সের মানুষের দাউদ হতে পারে, তবে শিশু কিশোরদের এই সমস্যা তুলনামূলক বেশি হয়।
রিংওয়ার্ম বা দাদের চিকিৎসায় করনীয়ঃ
নিম্নে উল্লেখিত টিপস গুলো নিজে নিজে চেষ্টা করুন-
১। দাদ আক্রান্ত জায়গা ধৌত করুন। এর পর জায়গাটা যেনো শুকিয়ে যায় সেদিকে লক্ষ করবেন। বিশেষ করে ত্বকের যে অংশে ভাঁজ পড়ে আর আংগুলের ফাঁকে ফাঁকে।
২। দুই রানের কুঁচকিতে দাদ হলে প্রতিদিন আন্ডারওয়্যার পাল্টিয়ে পরতে হবে এবং ভালোমত ধুয়ে নিয়ে পরতে হবে। পায়ের পাতায় দাদ হলে অনুরুপ ভাবে মৌজা পরিবর্তন করতে হবে। একি আন্ডারওয়্যার কিংবা মৌজা অধৌত অবস্থায় পরবেন না।
৩। মাথার ত্বকে দাদ হলে আপনার চিরুনি, চুলেরব্রাশ, টুপি অন্যের সাথে শেয়ার করবেন না।
৪। আপনার কাপড় চোপড়, তোয়ালে, বিছানার চাদর নিয়মিত ধৌত করবেন।
৫। লুজ ফিটিং জামাকাপড় পরবেন। কটনের তৈরি জামা কাপড় পরুন।
ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। সাধারনত চিকিৎসকেরা এন্টি ফাংগাল ক্রিম, এন্টি ফাংগাল টেবলেট এবং মাথার স্কাল্পের জন্য এন্টিফাংগাল শ্যাম্পু প্রেসক্রাইব করেন। একসময় আমার দাদ হয়েছিলো। গ্রাইসভিন ট্যাবলেট খাওয়ার পর দাদ সংক্রমণ কমে গিয়েছিলো। যেহেতু এই রোগটি ছত্রাক বাহিত রোগ সেহেতু এটি শুকিয়ে গিয়ে আবার আক্রমন করে। সাবানের সংস্পর্শ পেলে দাদ বেড়ে যায়। তাই খর সাবানের পরিবর্তে কোমল সাবান ব্যাবহার করুন। বাজারে ক্যানভাসাররা পাগলা মলম, বিচ্ছু মলম জাতীয় কিছু ফালতু মলম বিক্রয় করে। ভুলেও সস্তা এ জাতীয় মলম কিনবেন না। এগুলো সামান্য কাজ করে ঠিকই কিন্তু এতে আপনার সমাধান হবে না। পেভিসন ক্রিম আমাদের দেশে অনেক জনপ্রিয় একটি ওষুধ। আপনি পেভিসন ব্যাবহার করতে পারেন। নিয়মিত ব্যাবহার করলে দাদ সেরে যায়। তবে আমার নির্দেশনা হলো ২-৩ দিন পরপর এই ক্রিমটি লাগান। দাদ আক্রান্ত স্থান ভালো হয়ে যাবার পরও ব্যবহার করে যাবেন। ফলাফল পাবেন নিশ্চিত।
সুত্রঃ
nhs.uk
tags: দাদ হলে কি করবো, দাউদের চিকিৎসা, দাদ ভালো করার উপায়, dad hole ki korbo, douder chikitsha, dad valo korar upay
No comments:
Post a Comment