Monday, July 6, 2015

ডায়াবেটিস কি, ডায়াবেটিস হলে কি করনীয়


ডায়াবেটিস কিঃ-

ডায়াবেটিস একটি মেটাবলিক ডিজিজ। যেসব রোগীর রক্তে ব্লাড সুগার কিংবা গ্লুকোজ এর পরিমান বেশি পাওয়া যায় তাদের ডায়াবেটিস হয়।
হজম হওয়া খাদ্য শরীরের বল ও বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে, আর এই সিস্টেম টাকেই মেটাবলিজম বলে। আমরা যেসব খাবার গ্রহন করি তার বেশিরভাগই গ্লূকোজে রুপান্তরিত হয়। গ্লুকোজ রক্তের মধ্যে চিনি রুপে মিশে থাকে যা কিনা আমাদের শরীরের জ্বালানী বলা চলে।

ইনসুলিন কিঃ-

ইনসুলিন এক ধরনের হরমোন যা প্যানক্রিজ নামক অন্ত্র থেকে তৈরি হয়। খাবার গ্রহন করার পরে রক্তে গ্লুকোজের উপস্থিতি বেড়ে যায়। ইনসুলিনের কাজ হচ্ছে এই গ্লুকোজকে আমাদের দেহের কোষে কোষে পৌছে দেওয়া। যখন গ্লুকোজ কোষে পৌছে যায় তখন রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমে যায়।
ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীর রক্তে পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি হয় না অথবা শরীর ইনসুলিনের কার্যকারীতায় সাড়া দেয় না। ফলে দেহে বিদ্যমান অতিরিক্ত গ্লুকোজ কোনো কাজে আসে না। দরকারি গ্লুকোজ প্রস্রাবের সাথে বেরিয়ে যায়। সেহেতু শরীর তার দরকারি শক্তি পায় না।

 তিন ধরনের ডায়াবেটিস রোগ দেখতে পাওয়া যায়। নিম্নে বিস্তারিত বর্ণনা করা হলো।

১। টাইপ টু ডায়াবেটিসঃ

টাইপ টু ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীর শরীরে পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি হয়না অথবা দেহের কোষ গুলো ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স হয়ে পড়ে।

সারা বিশ্বে ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে শতকরা ৯০ জন রোগী টাইপ টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। মোটা মানুষের এই রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। শারীরিক ভাবে অক্ষম মানুষের ও এ ধরনের ডায়াবেটিস হতে পারে। আজে বাজে খাবার খেলে এই সমস্যা পেয়ে বসতে পারে। চিনিজাতীয় খাবারের প্রতি অনুরাগ কমাতে হবে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে ডায়াবেটিস আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বাড়ে। বৃদ্ধ বয়সে ডায়াবেটিস আক্রান্ত হবার নির্দিষ্ট কারন সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা সঠিক সমস্যাদি চিহ্নিত করতে না পারলেও কিছু জিনিস অনুমান করেন- বৃদ্ধ বয়সে শরীরের কার্যক্ষমতা কমে যায়, শরীর চর্চা হয়না, শরীর মোটা হয়ে যায়, যার দরুন অনেককে ডায়াবেটিস এ পেয়ে বসে। যেসব পুরুষের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা কম থাকে তাদের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। স্কটল্যান্ড এর এডিনবার্গ ইউনিভার্সিটির রিসার্সাররা বলেন, শরীরের ইনসুলিন প্রতিরোধ আর টেস্টোস্টেরন লেভেল একি সূত্রে গাঁথা।

টাইপ টু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনের উপায়ঃ

১। দেহের ওজন কমাতে হবে।
২। সুষম খাবার খেতে হবে।
৩। পর্যাপ্ত শরীরচর্চা করতে হবে।
৪। প্রায়শ রক্তের গ্লুকোজ লেভেল মেপে দেখতে হবে।
৫। যেহেতু টাইপ টু ডায়াবেটিস একটি প্রগ্রেসিভ ডিজিজ সেহেতু ধীরে ধীরে এটি প্রকট হয়ে যায়। তাই শেষমেশ ইন্সুলিন ইনজেকশন কিংবা ইন্সুলিন ট্যাবলেট গ্রহন করতে হবে।
৬। বিশেষজ্ঞরা দেখেছেন, গ্যাস্ট্রিক বাইপাস সার্জারি করলে তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে ডায়াবেটিসের মাত্রা প্রায় ২১% এ কমে আসে।

২। টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিসঃ

শরীরে পর্যাপ্ত ইনসুলিন উতপন্ন না হলে টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস হয়। সাধারণত কিশোর বয়সে অথবা চল্লিশ বছর বয়সের আগেই এই টাইপ ডায়াবেটিস হতে পারে। ডায়াবেটিস আক্রান্ত শতকরা ১০ জন রোগী টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস এ সংক্রমিত হয়।

এই ধরনের রোগীদের বাকি জীবন ইঞ্জেকশন নিতে হয়। ব্লাড গ্লুকোজ লেভেল নিয়ন্ত্রণের জন্য রেগুলার ব্লাড টেস্ট করতে হয়। এছাড়া সবসময় স্পেশাল ডায়েট অনুসরন করতে হয়।

৩। গ্যাস্টেসেনাল ডায়াবেটিসঃ

মহিলাদের গর্ভকালীন সময়ে এই রোগ হতে পারে। এসময় কিছু কিছু মহিলাদের রক্তে গ্লুকোজ লেভেল বেড়ে যায়, পর্যাপ্ত ইনসুলিন উতপন্ন না হওয়ার কারনে দেহের কোষে কোষে গ্লুকোজ পৌছে না, যার দরুন রক্তে অতিরিক্ত গ্লুকোজের উপস্থিতিতে এ ধরনের ডায়াবেটিস হয়ে থাকে। শরীরচর্চা এবং ডায়েট করে গ্যাস্টেসেনাল ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ১০%-২০% রোগী কে ওষুধ সেবন করার প্রয়োজন পড়ে। এ ধরনের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন করা না হলে জন্ম নেওয়া শিশুর ক্ষতি হয়। শিশুর আকৃতি ও ওজন বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, গর্ভাবস্থায় বেশি বেশি এনিমেল ফ্যাট ও কোলোস্টেরল গ্রহন করলে এর উপস্থিতিতে গ্যাস্টেসেনাল ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

প্রি ডায়াবেটিসঃ

বেশির ভাগ টাইপ টু ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীর প্রাথমিক অবস্থায় প্রিডায়াবেটিস হয়ে থাকে। এ সময় রক্তের গ্লুকোজ লেভেল বেশী থাকে কিন্তু এর মাত্রা ততটা বেশি হয় না যাতে করে পরীক্ষা করলে ডায়াবেটিস ধরা পড়বে। দেহের কোষ তখন ও ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স থাকে। রোগের প্রাথমিক এই দশাতেও কিন্তু শরীরের ক্ষতি হয়ে থাকে।

সূত্রঃ ওয়েব এম ডি।
        মায়োক্লিনিক।
        ডায়াবেটিকস.অর্গ।


search tags: ডায়াবেটিসের চিকিৎসা, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনের উপায়, ডায়াবেটিস কমানোর উপায়, ডায়াবেটিস কিভাবে ও কেনো হয়, ডায়াবেটিস হলে কি কি খেতে হবে, diabetis er chikitsha, diabetis er medicine, diabetes control er upay, dayabetis komanor upay, diabetis keno hoy, diabetis kivabe hoy, diabetis hole ki ki khete hobe, type one diabetis ki, type two diabetis ki, prediabetis ki, insulin kivabe nebo, insulin ki

Saturday, July 4, 2015

ফোড়া হলে করনীয়


মানুষের শরীরে নানা কারণে ফোড়া হয়। শরীরের কোথাও ফোড়া হলে কখনো নিজে নিজে ফাটাবেন না। এতে সংক্রমণ ছড়িয়ে যেতে পারে। সাবধান।
সংক্রমণের কারণে যদি শরীরের কোনো নির্দিষ্ট জায়গায় পুঁজ জমা হয়, তখন একে ফোড়া বলে। ফোড়ার চারপাশের ত্বক গোলাপি বা লালচে হয়ে ওঠে। ফোড়া খুবই ব্যথাদায়ক। শরীরের বিভিন্ন অংশে, বিশেষ করে ত্বকের উপরিভাগে ফোড়া হয়। এ ছাড়া বগলে, কুচকিতে, যোনিপথের বাইরেও ফোড়া হতে দেখা যায়। মাথার ত্বক, যকৃৎ, পাকস্থলী, কিডনি, দাঁত এবং টনসিলেও ফোড়া হতে পারে। তবে ডায়াবেটিস, ক্যানসার, লিউকেমিয়া, রক্তনালির সমস্যা যেমন পেরিফেরাল ভাসকুলার ডিজিজ, এইডস এবং স্টেরয়েড থেরাপি, কেমোথেরাপি ইত্যাদি চিকিৎসা গ্রহণকারী রোগীর শরীরে ফোড়া বেশি হতে পারে।

সাধারণ লক্ষণ ও উপসর্গঃ
ফোড়া সাধারণত লালচে রঙের পিণ্ডের মতো ঠেসে থাকে, স্পর্শ করলে গরম মনে হয় এবং অল্পতেই ব্যথা লাগে। ফোড়া হলে এর মাথা ফোঁটা আকারে দেখা দেয়। অনেক সময় এটা ব্রণের মতো হয় এবং ফেটে যেতে পারে।
সঠিকভাবে কাটা অথবা পরিষ্কার করতে না পারলে এর অবস্থা আরও খারাপ হয়। এমনকি এর সংক্রমণ ত্বকের ভেতরের কোষে এবং রক্তপ্রবাহে ছড়িয়ে যেতে পারে। ফোড়ার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে জ্বর, বমি বমি ভাব, বমি করা, ব্যথা এবং ত্বক লাল বর্ণ হওয়া ইত্যাদি বেড়ে যেতে পারে।

চিকিৎসাঃ
ফোড়া কখনোই নিজে নিজে ফাটানো যাবে না। ফাটালে সংক্রমণ ছড়িয়ে যেতে পারে। ফোড়ার মধ্যে সুচ অথবা ধারালো কিছু দিয়ে পুঁজ বের করা যাবে না। চিকিৎসকের পরামর্শে সঠিক চিকিৎসা করানো হলে ফোড়া দ্রুত ভালো হয়। ফোড়া কেটে পুঁজ বের করে দিলেও দ্রুত ভালো হয়। ফোড়া ভালো হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রতিদিন আক্রান্ত স্থান পরিষ্কার করতে হবে।

প্রতিরোধঃ
পরিষ্কার পানি ব্যবহার করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন দাড়ি কামানোর সময় ত্বকের কোনো অংশ কেটে না যায়। কোনো ক্ষতের সৃষ্টি হলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। ডায়াবেটিস থাকলে তা অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

সূত্রঃ প্রথম আলো

search tags: ফোড়ার চিকিৎসা, forar chikitsha, fora hole ki korbo, forar bethay ki korbo, forar oushudh, fora keno hoy

প্রানখুলে হাসার উপকারিতা

upokar
প্রাণখোলা হাসির চেয়ে ভালো কোনো ওষুধ মানুষের জন্য আর নেই—এ কথা সবাই শুনেছেন। তবে এটা শুধু কথার কথা নয়, বরং যথেষ্ট বিজ্ঞানসম্মত। ভালো কৌতুক করা এবং হাসার সামর্থ্য একজন মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে হাসির সুফল পাওয়া যায়। এই ওষুধ একেবারে বিনা মূল্যের এবং অধিকতর কার্যকর। পাশাপাশি চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার ঝঞ্ঝাটও নেই। তাই চেষ্টা কেন করবেন না? হাসির পক্ষে কয়েকটি কারণ:
রক্তনালির সুষ্ঠু কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পর্ক
রক্তনালির ভেতরে যেসব টিস্যু সংযোগ স্থাপনের কাজ করে, হাসির সময় তা প্রসারিত হয়। এতে রক্ত সরবরাহ বেড়ে যায়। হৃদ্রোগের ঝুঁকিও কমে।
সামাজিকতা ও বন্ধন
সামাজিক বিভিন্ন পরিস্থিতিতে হাসি দিয়ে অনেক কিছু নিয়ন্ত্রণ করা যায়। মানুষে মানুষে যোগাযোগের মধ্যে হাস্যরসের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এমনকি দাম্পত্য সুখের নেপথ্যেও হাসির ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে।
মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি
মস্তিষ্কে ডোপামিন নামের হরমোনের নিঃসরণ বৃদ্ধি পায়। ফলে সেখানকার আবেগ নিয়ন্ত্রণকেন্দ্রের কার্যক্রমে বাড়তি গতির সঞ্চার হয়। সেরোটোনিন ও এন্ড্রোফিন নামের হরমোনের প্রভাবে মানুষের মেজাজ ভালো থাকে এবং মানসিক চাপ ও যন্ত্রণা কমে।

উদ্বেগ কমায়
সমস্যাজর্জরিত জীবনের চাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনাকে বিভিন্ন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপারটা শিখে নিতে হবে। হাসি আপনাকে বিভিন্ন নেতিবাচক আবেগ প্রকাশ করা থেকে বিরত রাখে। প্রাণখোলা হাসি দিয়ে আপনি অন্যের মনও ভালো করে দিতে পারেন।

শ্বাসতন্ত্রের জন্য উপকারী
হাসির সময় মানুষ সবচেয়ে দ্রুত ও সবচেয়ে সহজে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারে। এতে ফুসফুসের কার্যক্রম বেড়ে যাওয়ার ফলে হৃৎস্পন্দনে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার হার এবং অক্সিজেন গ্রহণের হারও বাড়ে। তাই শ্বাসকষ্টের মতো রোগ থেকে মুক্ত থাকার জন্য হাসির ভূমিকা রয়েছে।

রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়
এখনকার যুগে যে রকম মানসিক চাপে পূর্ণ জীবন যাপন করতে হয়, তার প্রভাবে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে হৃদ্রোগসহ নানা ধরনের অসুস্থতা বেড়ে যায়। হাসির মাধ্যমে মানুষের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ে।

হাসি আপনাকে আকর্ষণীয় করে
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, হাসিমুখ এবং কৌতুকবোধ একজন মানুষকে অন্যদের মধ্যে আকর্ষণীয় করে তোলে। পুরুষেরা সেই নারীদের প্রতি আকৃষ্ট হয় যারা তাদের কৌতুক শুনে হাসতে পারে। পরিবার ও সমাজের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হাসি দিয়ে আপনি সহজেই স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতি তৈরি করে নিতে পারেন। চাকরির সাক্ষাৎকারেও কৌতুকবোধের প্রকাশ দেখাতে পারলে আপনার সুযোগ অনেক বেড়ে যেতে পারে।

সূত্র: ওয়েবএমডি/ প্রথম আলো

search tags: hasir upokarita, হাঁসির উপকারিতা, hashle ki upokar hoy, hashir shufol, beshi hashle ki ki upokar hoy, hasle shasther 

চোখে এলার্জি হলে করনীয়


চোখে অ্যালার্জি বেশ সাধারণ একটা সমস্যা। এটা অনেকেরই হয় এবং প্রায়ই হয়ে থাকে। বসন্তের শেষে, গরমের দিনে ও শরৎকালেই বেশি দেখা যায় এই সমস্যা। আর গুরুতর কোনো বিষয় না হলেও এটি বেশ বিরক্তিকর আর যন্ত্রণাদায়কও।
অ্যালার্জি হলে চোখ চুলকায়, লাল হয়ে যায়, কখনো জ্বালা করে। অনেক সময় চোখ দিয়ে পানি পড়ে। এর সঙ্গে থাকতে পারে হাঁচি, কাশি, নাক দিয়ে পানি পড়া ইত্যাদি উপসর্গও।
বাইরের ধুলাবালি, ধোঁয়া, উড়ন্ত ময়লা, ফুলের রেণু ইত্যাদি থেকে অ্যালার্জি হতে পারে। আবার ঘরে কার্পেট বা পর্দার ধুলো, পোষা প্রাণীর লোম ইত্যাদি থেকেও অ্যালার্জি হয়। এমনকি অনেকের প্রসাধনী বা পারফিউম থেকেও চোখ লাল হয়ে যেতে পারে। সবার অ্যালার্জি সমস্যা হয় না। যাদের অন্যান্য অ্যালার্জির ইতিহাস আছে, যেমন ঘন ঘন সর্দি বা নাক বন্ধ, হাঁপানি বা ত্বকে অ্যালার্জি; বা যাদের পরিবারের কারও এ ধরনের সমস্যা আছে, তাদেরই ঝুঁকি বেশি।
চোখে বারবার অ্যালার্জি হলে কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি। যেমন ঘরের কার্পেট সরিয়ে দিন, ধুলাবালি ঝাড়া-মোছা থেকে বিরত থাকুন। পোষা প্রাণী থেকে দূরে থাকুন। কোনো প্রসাধনী দায়ী হলে তা ব্যবহার করা বাদ দিন। চোখের লেন্সও কখনো কখনো অ্যালার্জির কারণ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে তা-ও বর্জন করতে হবে। বাইরে বেরোনোর সময় চোখে সানগ্লাস পরুন। হাঁচি-কাশি হলে চোখে হাত দেওয়ার আগে অবশ্যই হাত ধোবেন।
হঠাৎ চোখ লাল হয়ে চুলকাতে শুরু করলে সাধারণ অ্যালার্জির ওষুধ শুরু করতে পারেন। চোখের ড্রপ বা মুখে খাবার ওষুধ। তবে ডিকনজেসটেন্ট ড্রপ এক সপ্তাহের বেশি ব্যবহার করা উচিত নয়। চোখের জ্বালা বা অস্বস্তি কমাতে কৃত্রিম চোখের পানিও ব্যবহার করা যায়। চোখ রগড়ানো ভালো নয়, এতে সমস্যা আরও জটিল রূপ নিতে পারে। সাধারণ এসব চিকিৎসায় ভালো না হলে কিংবা চোখ বেশি লাল হয়ে ব্যথা করলে বা জ্বর হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

সূত্রঃ প্রথম আলো


search tags: চোখে এলার্জি হলে কি করবো, chokhe alergy hole ki korbo, eye allergyr chikitsha, cockhe elargy hole ki korbo, chokh diye pani porle ki korbo, chokh lal hoye pani jhorle ki korbo,

অতিরিক্ত ঘাম হলে কি করণীয়


এই গরম আর রোদে ঘাম হওয়ারই কথা। ঘাম-গ্রন্থিগুলো আসলে খুব গরমে ঘামের পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়ে শরীরকে শীতল করে। শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে এটি একটি কার্যকর প্রক্রিয়া। কিন্তু কেউ কেউ খুব বেশি ঘামেন। কোনো শারীরিক সমস্যার কারণে অস্বাভাবিক বেশি ঘাম হতে পারে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে বিষয়টিকে হাইপার হাইড্রোসিস বলে।
—কেউ কেউ অন্যদের তুলনায় একটু বেশিই ঘামেন। অল্প গরমেই একেবারে অস্থির হয়ে নেয়ে ওঠেন। প্রতি ১০০ জনে তিনজন মানুষের এ সমস্যা হয়ে থাকে। বিশেষ করে, হাত-পা বা বগল প্রভৃতি জায়গায় ঘাম বেশি হয়। সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ নেই, তাই এর নাম ইডিওপ্যাথিক হাইপার হাইড্রোসিস। অতিরিক্ত গরম, আবেগ, উত্তেজনা এবং গরম মসলাদার খাবার তাঁদের ঘাম বাড়িয়ে দেয়। আবার মেরুদণ্ডের কোনো রোগ বা আঘাতে কোনো একটা স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হলে এক হাত বা এক পা অথবা শরীরের বিশেষ কোনো দিক বা অংশ বেশি ঘামতে পারে।
—হাত-পা নয়, এমনিতেই সারা শরীর বেশি ঘামে—এমনটা হতে পারে কোনো অসুখ-বিসুখেও। যেমন: থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যায় বা নারীদের মেনোপজের পর হরমোনের তারতম্যের কারণে। লসিকা গ্রন্থির ক্যানসার বা কিছু ওষুধের প্রভাবেও এটা হতে পারে। অতি উদ্বেগজনিত মানসিক সমস্যা আছে যাঁদের, তাঁরাও এতে ভোগেন।
—খাওয়ার পরে বা খেতে বসলে ঘেমে যান অনেকে। এমনটা হয় ডায়াবেটিসজনিত স্নায়ুরোগে। ফেসিয়াল নার্ভে সমস্যা হলেও এ সমস্যা দেখা দেয়।
এমনিতে জ্বর, আকস্মিক শারীরিক পরিশ্রম, গরম ও আর্দ্র আবহাওয়ায় বেশি ঘাম হওয়া স্বাভাবিক। এতে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। বরং অতিরিক্ত ঘাম এড়ানোর জন্য এই সময়ে ঠান্ডা ও প্রচুর পানিযুক্ত খাবার, ফলমূল ও সবজি খান। বেশি ঝাল-মসলাদার ও চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। রোদ ও গরম থেকে বাঁচতে পাতলা সুতি হালকা রঙের জামা-কাপড় পরুন, ছাতা বা হ্যাট ব্যবহার করুন। পা ঘামলে জুতো না পরে এ সময় খোলা স্যান্ডেল পরুন, মোজা এড়িয়ে চলুন। ঘামের দুর্গন্ধ এড়াতে অ্যান্টিপারস্পিরেন্ট ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো নিঃসরণ কমায়, কিন্তু ডিওডোরেন্ট কেবল ঘামের গন্ধ আড়াল করে। খুব বেশি যাঁরা ঘামেন, তাঁরা অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইডযুক্ত অ্যান্টিপারস্পিরেন্ট ব্যবহার করতে পারেন। তবে এগুলো বেশি ব্যবহার করলে অ্যালার্জি হতে পারে।

সূত্রঃ প্রথম আলো


search tags: বেশী ঘাম হলে কি করবো, beshi gham hole ki korbi, otirikto gham hole ki korbo, gham beshi hole ki korbo, shorir beshi ghamay keno, prochur gham hoy, otirikto gham dur korar upay