upokar
প্রাণখোলা হাসির চেয়ে ভালো কোনো ওষুধ মানুষের জন্য আর নেই—এ কথা সবাই শুনেছেন। তবে এটা শুধু কথার কথা নয়, বরং যথেষ্ট বিজ্ঞানসম্মত। ভালো কৌতুক করা এবং হাসার সামর্থ্য একজন মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে হাসির সুফল পাওয়া যায়। এই ওষুধ একেবারে বিনা মূল্যের এবং অধিকতর কার্যকর। পাশাপাশি চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার ঝঞ্ঝাটও নেই। তাই চেষ্টা কেন করবেন না? হাসির পক্ষে কয়েকটি কারণ:
রক্তনালির সুষ্ঠু কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পর্ক
রক্তনালির ভেতরে যেসব টিস্যু সংযোগ স্থাপনের কাজ করে, হাসির সময় তা প্রসারিত হয়। এতে রক্ত সরবরাহ বেড়ে যায়। হৃদ্রোগের ঝুঁকিও কমে।
সামাজিকতা ও বন্ধন
সামাজিক বিভিন্ন পরিস্থিতিতে হাসি দিয়ে অনেক কিছু নিয়ন্ত্রণ করা যায়। মানুষে মানুষে যোগাযোগের মধ্যে হাস্যরসের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এমনকি দাম্পত্য সুখের নেপথ্যেও হাসির ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে।
মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি
মস্তিষ্কে ডোপামিন নামের হরমোনের নিঃসরণ বৃদ্ধি পায়। ফলে সেখানকার আবেগ নিয়ন্ত্রণকেন্দ্রের কার্যক্রমে বাড়তি গতির সঞ্চার হয়। সেরোটোনিন ও এন্ড্রোফিন নামের হরমোনের প্রভাবে মানুষের মেজাজ ভালো থাকে এবং মানসিক চাপ ও যন্ত্রণা কমে।
উদ্বেগ কমায়
সমস্যাজর্জরিত জীবনের চাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনাকে বিভিন্ন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপারটা শিখে নিতে হবে। হাসি আপনাকে বিভিন্ন নেতিবাচক আবেগ প্রকাশ করা থেকে বিরত রাখে। প্রাণখোলা হাসি দিয়ে আপনি অন্যের মনও ভালো করে দিতে পারেন।
শ্বাসতন্ত্রের জন্য উপকারী
হাসির সময় মানুষ সবচেয়ে দ্রুত ও সবচেয়ে সহজে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারে। এতে ফুসফুসের কার্যক্রম বেড়ে যাওয়ার ফলে হৃৎস্পন্দনে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার হার এবং অক্সিজেন গ্রহণের হারও বাড়ে। তাই শ্বাসকষ্টের মতো রোগ থেকে মুক্ত থাকার জন্য হাসির ভূমিকা রয়েছে।
রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়
এখনকার যুগে যে রকম মানসিক চাপে পূর্ণ জীবন যাপন করতে হয়, তার প্রভাবে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে হৃদ্রোগসহ নানা ধরনের অসুস্থতা বেড়ে যায়। হাসির মাধ্যমে মানুষের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ে।
হাসি আপনাকে আকর্ষণীয় করে
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, হাসিমুখ এবং কৌতুকবোধ একজন মানুষকে অন্যদের মধ্যে আকর্ষণীয় করে তোলে। পুরুষেরা সেই নারীদের প্রতি আকৃষ্ট হয় যারা তাদের কৌতুক শুনে হাসতে পারে। পরিবার ও সমাজের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হাসি দিয়ে আপনি সহজেই স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতি তৈরি করে নিতে পারেন। চাকরির সাক্ষাৎকারেও কৌতুকবোধের প্রকাশ দেখাতে পারলে আপনার সুযোগ অনেক বেড়ে যেতে পারে।
সূত্র: ওয়েবএমডি/ প্রথম আলো
search tags: hasir upokarita, হাঁসির উপকারিতা, hashle ki upokar hoy, hashir shufol, beshi hashle ki ki upokar hoy, hasle shasther
প্রাণখোলা হাসির চেয়ে ভালো কোনো ওষুধ মানুষের জন্য আর নেই—এ কথা সবাই শুনেছেন। তবে এটা শুধু কথার কথা নয়, বরং যথেষ্ট বিজ্ঞানসম্মত। ভালো কৌতুক করা এবং হাসার সামর্থ্য একজন মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে হাসির সুফল পাওয়া যায়। এই ওষুধ একেবারে বিনা মূল্যের এবং অধিকতর কার্যকর। পাশাপাশি চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার ঝঞ্ঝাটও নেই। তাই চেষ্টা কেন করবেন না? হাসির পক্ষে কয়েকটি কারণ:
রক্তনালির সুষ্ঠু কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পর্ক
রক্তনালির ভেতরে যেসব টিস্যু সংযোগ স্থাপনের কাজ করে, হাসির সময় তা প্রসারিত হয়। এতে রক্ত সরবরাহ বেড়ে যায়। হৃদ্রোগের ঝুঁকিও কমে।
সামাজিকতা ও বন্ধন
সামাজিক বিভিন্ন পরিস্থিতিতে হাসি দিয়ে অনেক কিছু নিয়ন্ত্রণ করা যায়। মানুষে মানুষে যোগাযোগের মধ্যে হাস্যরসের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এমনকি দাম্পত্য সুখের নেপথ্যেও হাসির ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে।
মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি
মস্তিষ্কে ডোপামিন নামের হরমোনের নিঃসরণ বৃদ্ধি পায়। ফলে সেখানকার আবেগ নিয়ন্ত্রণকেন্দ্রের কার্যক্রমে বাড়তি গতির সঞ্চার হয়। সেরোটোনিন ও এন্ড্রোফিন নামের হরমোনের প্রভাবে মানুষের মেজাজ ভালো থাকে এবং মানসিক চাপ ও যন্ত্রণা কমে।
উদ্বেগ কমায়
সমস্যাজর্জরিত জীবনের চাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনাকে বিভিন্ন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপারটা শিখে নিতে হবে। হাসি আপনাকে বিভিন্ন নেতিবাচক আবেগ প্রকাশ করা থেকে বিরত রাখে। প্রাণখোলা হাসি দিয়ে আপনি অন্যের মনও ভালো করে দিতে পারেন।
শ্বাসতন্ত্রের জন্য উপকারী
হাসির সময় মানুষ সবচেয়ে দ্রুত ও সবচেয়ে সহজে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারে। এতে ফুসফুসের কার্যক্রম বেড়ে যাওয়ার ফলে হৃৎস্পন্দনে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার হার এবং অক্সিজেন গ্রহণের হারও বাড়ে। তাই শ্বাসকষ্টের মতো রোগ থেকে মুক্ত থাকার জন্য হাসির ভূমিকা রয়েছে।
রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়
এখনকার যুগে যে রকম মানসিক চাপে পূর্ণ জীবন যাপন করতে হয়, তার প্রভাবে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে হৃদ্রোগসহ নানা ধরনের অসুস্থতা বেড়ে যায়। হাসির মাধ্যমে মানুষের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ে।
হাসি আপনাকে আকর্ষণীয় করে
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, হাসিমুখ এবং কৌতুকবোধ একজন মানুষকে অন্যদের মধ্যে আকর্ষণীয় করে তোলে। পুরুষেরা সেই নারীদের প্রতি আকৃষ্ট হয় যারা তাদের কৌতুক শুনে হাসতে পারে। পরিবার ও সমাজের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হাসি দিয়ে আপনি সহজেই স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতি তৈরি করে নিতে পারেন। চাকরির সাক্ষাৎকারেও কৌতুকবোধের প্রকাশ দেখাতে পারলে আপনার সুযোগ অনেক বেড়ে যেতে পারে।
সূত্র: ওয়েবএমডি/ প্রথম আলো
search tags: hasir upokarita, হাঁসির উপকারিতা, hashle ki upokar hoy, hashir shufol, beshi hashle ki ki upokar hoy, hasle shasther
No comments:
Post a Comment