Tuesday, September 1, 2015

মেছতার চিকিৎসা


ত্বকের রঙ পরিবর্তনের পিছনে মেলানিন নামক এক ধরনের কেমিকেল দায়ী। কোনো নির্দিষ্ট স্থানে অতিরিক্ত মেলানিন উৎপাদিত হলে ছুলি, লিভার স্পট এবং অন্যান্য প্রকারের দাগ তৈরি হয়।এ সমস্যা গুলো কে হাইপার পিগমেন্টেশন বলে।

রোদের তাপ, হরমোনের তারতম্য ও কিছু ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারনে  ডার্ক স্পট বা মেছতা তৈরি হয়।

মেছতা দূরীকরণঃ

★ মেছতাক্রান্ত ত্বক পরিস্কার করুন।
মেছতা হবার এক থেকে দুই মাস মেছতাক্রান্ত ত্বকে স্তরের পরিমান কম থাকে। এই সময়ের মধ্যে আপনি চাইলে সহজ উপায়ে মেছতা আক্রান্ত ত্বকের স্তর তুলে ফেলতে পারেন। এক্সফলিয়েটিং ক্লিনজার ত্বকে স্ক্রাব করতে পারেন। এলমন্ড বা বাদামজাত তেল ও ওটমিল আপনার ক্লিনজারের সাথে মিশিয়ে ব্যাবহার করুন। কালো ছোপ ছোপ দাগের উপর বৃত্তাকার গতিতে স্ক্রাব করুন। আপনি চাইলে ইলেকট্রিক এক্সফলিয়েটর (electric exfoliator) ব্যাবহার করতে পারেন। এতে করে আরো ভালো ফলাফল পাবেন।


★ Topical acid treatment ও করতে পারেন। এক্ষেত্রে রেটিনয়েড ( retinoid)  তথা বেটা হাইড্রক্সি এসিড যুক্ত ক্রিম ব্যাবহার করতে পারেন।
এছাড়া এইরকম কেমিকেল পিল বা খাবারের বড়িও পাওয়া যায়।


★ মাইক্রোডারমাব্রেশন (microdermabrasion) চিকিৎসা পদ্ধতিতে সূক্ষ স্ফটিক দিয়ে কালো দাগ দূর করা হয়। প্রতিমাসে একবার করে এই চিকিৎসা করা হয়। ঘন ঘন এই চিকিৎসা টি করলে আপনার ত্বক সেরে উঠার সময় পাবে না। সেহেতু এক মাস অন্তর অন্তর মাইক্রোডারমাব্রেশন করা উচিত।

★ আমরা অনেকেই লেজার চিকিৎসার কথা শুনেছি। এ পদ্ধতিতে লেজার থেরাপি তে বিবর্ণ ত্বকের স্তর লেজার রশ্মি শোষন করে বাস্পে পরিনত হয়ে বিনষ্ট হয়ে যায়। অতঃপর ঐ স্থানে খোঁসের মতো হয়ে সতেজ ত্বকের নতুন স্তর সৃষ্টি হয়।
লেজার চিকিৎসা বেশী কার্যকর। কিন্তু এটা ব্যায়বহুল ও এতে বেদনাবোধ হয়।


তথ্যসূত্রঃ
http://www.wikihow.com


search tags: mechtar chikitsha, mesta protirodher upay, mecta theke muktir upai, mesta dur korbo kivabe, mechtar oushudh, mesta valo hoy kivabe.dark spot dur korar upay

মুখের মেছতা দূর করার ভেষজ পদ্ধতি


প্রত্যেক মেয়েই চায় তার সৌন্দর্য ধরে রাখতে। আর সৌন্দর্য ধরে রাখা মানেই কিন্তু চিরকাল যুবতী থাকা নয়। সৌন্দর্যের প্রথম শর্তই হচ্ছে ত্বক পরিষ্কার ও দাগ মুক্ত রাখা। আর একটু বয়স বাড়লেই সাধারণত এই চর্চাটায় বাধা পড়ে। কারণ অনেক সময় ৩০ এর উর্দ্ধে মেয়েদের মুখে মেছতা দেখা যায়। এই মেছতাই হচ্ছে চেহারায় বয়সের ছাপ পড়ার প্রথম লক্ষন। আবার মুখে ক্রমাগত অতিরিক্ত মেকাপ লাগানোর ফলেও মুখে মেছতা পরতে পারে। বিশেষ করে যাদের প্রতিদিন বাইরে বের হওয়ার সময় মেকাআপ করতে হয় তাদের এই সমস্যাটি বেশী দেখা যায়। অনেকে মুখে বয়সের ছাপ কমানোর জন্য অনেক দামী দামী ক্রীম ও ব্যাবহার করে থাকেন। কিন্তু বেশীরভাগ সময়ই এগুলো ব্যাবহারের পর অনেক ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। কিন্তু এগুলো ছাড়াও আমরা খুব কম খরচে এবং কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই প্রাকৃতিক উপাদান ব্যাবহার করে এই সমস্যার সমাধান করতে পারি। তাই আজ আমরা কয়েকটি প্রাকৃতিক উপাদানের তৈরী মাস্ক নিয়ে আলোচনা করব যা ব্যাবহারে নিয়িমিত আপনার ত্বকের মেছতার সমস্যা দূর করা সম্ভব।

দারুচিনি ও দুধের সরঃ

এক চিমটি দারুচিনি গুড়ো এবং সামান্য দুধের সর হাতের তালুতে আঙুল নিয়ে ভালো করে মেশান। এরপর এই মিশ্রণটি মেছতার দাগের ওপর লাগান। এরপর ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে শুকিয়ে এলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে আলতো ঘষে তুলে ফেলুন। এটি প্রতদিন ঘুমানোর আগে ব্যাবহার করলে দ্রুত মেছতা দূর হয়।

ছোলার ডালঃ

যাদের মুখে বয়সের জন্য মেছতা পড়ে তারা ছোলার ডাল ব্যাবহার করে অনেক উপকার পেতে পারেন। এজন্য প্রথমে ছোলার ডাল সারাদিন ভিজিয়ে রেখে দিন। এরপর আধা কাপ ছোলার ডালের সাথে ১ চামুচ মধু মিশিয়ে পানির পরিবর্তে কাচা দুধ দিয়ে মিহি করে ব্লেন্ড করে নিন। এবার এটি সম্পুর্ন মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি মেছতার সাথে সাথে ত্বকের রিঙ্কেলস দূর করতেও সাহায্য করে।

লেবুর রস ও চিনিঃ

প্রথমে একটা লেবু চিপে নিয়ে তা পরিষ্কার তুলা দিয়ে সরাসরি মেছতার উপর লাগিয়ে নিন। এরপর ১৫ মিনিট পর আরেক টুকরা লেবুর উপর আধা চামুচ চিনি ছড়িয়ে নিয়ে মেছতার উপর হালকা করে ৫ মিনিট ঘষে নিন। এরপর ঠান্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে নিন। এটি প্রতিদিন ব্যাবহারে দ্রুত মেছতা দূর হয়।

টক দইঃ

মুখের মেছতা দূর করতে টকদই এর বিকল্প নেই। ২ চামুচ টকদই এর সাথে আধা চামুচ মধু মিশিয়ে পেষ্ট তৈরী করে নিন। এবার এটি মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ঠান্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে নিন। এটি সপ্তাহে ৪ দিন ব্যাবহারে খুব দ্রুত ফলাফল পাওয়া যায়।

টমেটোঃ

টমেটোর ভিটামিন সি মেছতা দূর করতে অনেক উপকারী। একটা টমেটো কেটে মেছতার অংশটুকু প্রতিদিন ৫ থেকে ৮ মিনিট ম্যাসাজ করুন। এতে মেছাতা খুব দ্রুত হালকা হয়।

এলোভেরাঃ

এলোভেরার পাল্প ত্বকের দাগ দূর করতে অনেক উপকারী। একটি এলোভেরা কেটে এর জেলো এক চামুচ মধুর সাথে মিশিয়ে মেছতার উপর লাগিয়ে নিন। এবার ২০ মিনিট পর হালকা আঙ্গুল দিয়ে ঘষে কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে নিন।

তথ্যসূত্রঃ
www.style24.com.bd

search tags: mesta dur korar upay, mechta dur korar upai, mecta valo korar upay, mukhe mechta dur korte ki korbo, mechtar oushudh, mestar oshudh, mechta dur korar harbal poddhoti.

রঙ ফর্সা করার ৫ টি ফেইসপ্যাক


গায়ের রঙটা একটু ফর্সা করতে আমাদের সকলেরই যেন চেষ্টার কমতি নেই। আর কেনই বা হবে না? প্রতিদিন রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে ক্রমশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সৌন্দর্য, নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ত্বকের স্বাভাবিক রঙ। আজ রইলো ত্বকের রঙ ফর্সা করার শতভাগ প্রাকৃতিক, কিন্তু অব্যর্থ কিছু উপায় যা আপনি অবলম্বন করতে পারবেন বাড়িতে বসেই। যেতে হবে না পার্লারে, করতে হবে না ব্যয়বহুল কোন কসমেটিক সার্জারি।

বিউটি পার্লারে স্কিন পলিশ বা ফেয়ার পলিশ নামক ব্যয় বহুল বিউটি ট্রিটমেনট অনেকেই করিয়ে থাকেন, এটা না জেনেই যে কী ভীষণ ক্ষতিকর এই কাজ। কারণ সকলের ত্বকে সবকিছু মানানসই নয়, অনেকেরই হতে পারে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। অন্যদিকে মেলানিন সার্জারি করে রঙ ফর্সা করাটাও কিন্তু নিরাপদ নয়। তাহলে উপায়? উপায় হচ্ছে ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করা।

আজ রইলো প্রাকৃতিকভাবেই ত্বকের রঙ ফর্সা করার ৫টি দারুণ ফেসপ্যাকের কথা। এগুলোর কিছু ব্যবহারেই আপনার ত্বকে ফুটে উঠবে অন্যরকম এক সৌন্দর্য। না, রাতারাতি দুধে আলতা হয়ে যাবেন না। তবে ত্বকের রঙ কয়েক শেড পর্যন্ত ফর্সা হবে, যা কিনা যে কোন ফেয়ারনেস ক্রিমের চাইতে অনেক অংশে ভালো। ফুটে উঠবে আপনার ত্বকের আসল সৌন্দর্য। সাথে দূর হবে ব্রণ এবং অন্যান্য ত্বকের সমস্যাও। মাত্র দুই সপ্তাহেই দেখতে পাবেন পার্থক্য!

ফেসপ্যাক-১

মসুর ডাল গুঁড়ো করে নিন মিহি করে। তার মধ্যে ডিমের হলুদ অংশটা মেশান। রোদের মধ্যে এই পেস্টটা শুকিয়ে নিন ভালো করে।একদম মচমচে হয়ে গেলে গুঁড়ো করে শিশির মধ্যে ভরে রেখে দিন। প্রতিদিন রাতে শোবার আগে ২ ফোটা লেবুর রসের সঙ্গে ১ চামচ দুধ ও এই গুঁড়ো খানিকটা মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগান। আধ ঘন্টা রাখার পরে মুখটা ধুয়ে ফেলুন। মুখ ধোয়ার পর কাঁচা দুধ খানিকটা তুলোতে নিয়ে মুখে বুলিয়ে নিন। আরও ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।

ফেসপ্যাক-২

তিল বেটে নিন অথবা গুঁড়ো করে নিন। এতে সামান্য পানি মিশিয়ে ভালো করে চটকে নিন। এবার ছেঁকে নিন। ছাঁকার পর একটা সাদা রঙের তরল পাবেন সেটা মুখে লাগান, বিশেষ করে রোদে পোড়া জায়গায়। আধা ঘণ্টা পর ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। অচিরেই ত্বকের রঙ ফিরে পাবেন।

ফেসপ্যাক-৩

ত্বকের রং আরও ফর্সা করার জন্য টক দই লাগান মুখে। যাদের ত্বক শুষ্ক তাঁরা মধু ও দই মিশিয়ে নিন। মিনিট বিশেক রাখুন মুখে, তারপরে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত তিন দিন এরকম লাগাতে হবে।

ফেসপ্যাক-৪


তৈলাক্ত ত্বক উজ্জ্বল করতে মুলতানি মাটি, থেঁতো করা পদ্মপাপড়ি ও নিমপাতা বাটা এবং চালের গুঁড়ো মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করুন। মুখে-গলায় লাগিয়ে রাখুন। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। ধুয়ে ফেলার পর মুখে কাঁচা দুধ লাগিয়ে রাখুন আরও আধা ঘণ্টা।

ফেসপ্যাক-৫

আলুর রস ও কাঁচা দুধ মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করুন। সাথে দিন চন্দনের গুঁড়ো। দিনে ২বার এই মিশ্রণ মুখে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট করে। দ্রুত রঙ উজ্জল হবে। চন্দন না দিলেও সমস্যা নেই।

এগুলো থেকে যে কোন একটি উপায় বেছে নিন। এবং অবলম্বন করুন। নাম্বার ৫ ছাড়া বাকি যে কোন প্যাক ব্যবহার করলে দিনে দুবার কাঁচা দুধ মুখে লাগিয়ে রাখবেন। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলবেন। এতে জলদি কাজ করবে।

তথ্যসূত্রঃ
http://hello-today.com

search tags: gaer rong forsha korar face pack, tok forsa korar facepack, shundor hobar upay, forsha houar upai, mukh forsha korar upay, kivabe forsha hobo, kivabe shundor hobo.

রুপচর্চায় যা যা করবেন


অনেকেরই আক্ষেপ থাকে গায়ের রং নিয়ে। দিন যাপনের নানান আয়োজনে আমাদের প্রায় সবারই গায়ের রঙটা ময়লা হয়ে যায়। রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে, শারীরিক অসুস্থতা, দীর্ঘসময় রান্নাঘরে কাজ করা ইত্যাদি নানান কারণে ত্বক হারিয়ে ফেলে স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা। হয়ে যায় কালচে ও বিবর্ণ। রং ফর্সাকারী ক্রিমের কদর তাই কমে না কখনোই। কিন্তু আসলে সত্যিই কি এসব ক্রিমে গায়ের রং ফর্সা হয়?

মুখের রং হয়তো একটুখানি উজ্জ্বল হয়, কিন্তু পুরো শরীরের ত্বক? সেটা কিন্তু আসলে হয়ে ওঠে না। পার্লারগুলোতে আছে রঙ ফর্সা করার নানান আয়োজন। যেমন স্কিন ব্লিচ, ফেয়ার পলিশসহ আরও কত কী। কিন্তু জেনে রাখুন, এই সবই আপনার ত্বকের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাহলে কী করবেন? ঘরোয়া পদ্ধতিতে গায়ের রং ফর্সা করার রয়েছে সহজ উপায়। শুধু তাই নয়, এভাবে যে ফর্সা রঙটা আপনি পাবেন সেটা হবে স্থায়ী। সৌন্দর্য সেটাই, যা ভেতর থেকে আসে। আসুন জানি প্রাকৃতিকভাবে রঙ ফর্সা করার দুটি পদ্ধতি।

ভেতর থেকে রঙ করুন উজ্জ্বল-

রূপচর্চায় দুধ ও কাঁচা হলুদের ব্যবহার যুগ যুগ ধরে হয়ে আসছে। প্রতিদিন এক গ্লাস উষ্ণ গরম দুধে আধা চা চামচ কাঁচা হলুদ বাটা মিশিয়ে পান করুন। এভাবে পান করতে না পারলে এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে নিন। নিয়মিত হলুদ মেশানো দুধ পান করলে আপনার রং হয়ে উঠবে ভেতর থেকে ফর্সা। দুধে কাঁচা হলুদ বাটা না মিশিয়ে করতে পারেন আরেকটি কাজ। দেড় ইঞ্চি সাইজের এক টুকরো হলুদ নিন। তারপর টুকরো করে কেটে এক গ্লাস দুধে দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। দুধে গাঢ় হলুদ রঙ ধরলে পান করুন। এভাবে প্রতিদিন একবার পান করবেন।

রূপচর্চায় হলুদ-

শুধু দুধের সাথে নয়, বাহ্যিক রূপচর্চাতেও হলুদ আপনার রঙ পরিষ্কার করতে সহায়তা করবে। বিশেষ করে কালচে ছোপ দূর করতে এই পদ্ধতি খুব কার্যকর।

উপকরণ

দুধ তিন টেবিল চামচ, লেবুর রস এক টেবিল চামচ, এবং কাঁচা হলুদ বাটা এক চা চামচ

কীভাবে ব্যবহার করবেন?

দুধ, লেবুর রস ও হলুদ গুঁড়ো একসঙ্গে মিশিয়ে একটি মিশ্রন বা পেস্ট তৈরি করুন। সারা মুখে এই পেস্ট ভালভাবে লাগিয়ে প্যাকটি শুকনো হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা জল দিয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়ে নরম তোয়ালে দিয়ে আলতো করে মুছে নিন। গরম জলে মুখ ধোবেন না এবং অন্তত ১২ ঘণ্টা রোদে যাবেন না।

তথ্যসূত্রঃ
http://bangla.mtnews24.com

search tags: rup chorchay koronio, forsha hobar upay, tok forsha korar upay, holud use kore tok forsha, forsha houar upai

ত্বক ফর্সা করার ৬ টি টিপস্


টিপস -১

মসুর ডাল গুঁড়ো করে নিন মিহি করে। তার মধ্যে ডিমের হলুদ অংশটা মেশান। রোদের মধ্যে এই পেস্টটা শুকিয়ে নিন ভালো করে। একদম মচমচে হয়ে গেলে গুঁড়ো করে শিশির মধ্যে ভরে রেখে দিন। প্রতিদিন রাতে শোবার আগে ২ ফোটা লেবুর রসের সঙ্গে ১ চামচ দুধ ও এই গুঁড়ো খানিকটা মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগান। আধ ঘন্টা রাখার পরে মুখটা ধুয়ে ফেলুন। মুখ ধোয়ার পর কাঁচা দুধ খানিকটা তুলোতে নিয়ে মুখে বুলিয়ে নিন। আরও ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।


টিপস -২

তিল বেটে নিন অথবা গুঁড়ো করে নিন। এতে সামান্য পানি মিশিয়ে ভালো করে চটকে নিন। এবার ছেঁকে নিন। ছাঁকার পর একটা সাদা রঙের তরল পাবেন সেটা মুখে লাগান, বিশেষ করে রোদে পোড়া জায়গায়। আধা ঘণ্টা পর ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। অচিরেই ত্বকের রঙ ফিরে পাবেন।

টিপস -৩

ত্বকের রং আরও ফর্সা করার জন্য টক দই লাগান মুখে। যাদের ত্বক শুষ্ক তাঁরা মধু ও দই মিশিয়ে নিন। মিনিট বিশেক রাখুন মুখে, তারপরে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত তিন দিন এরকম লাগাতে হবে।

টিপস -৪

তৈলাক্ত ত্বক উজ্জ্বল করতে মুলতানি মাটি, থেঁতো করা পদ্মপাপড়ি ও নিমপাতা বাটা এবং চালের গুঁড়ো মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করুন। মুখে-গলায় লাগিয়ে রাখুন। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। ধুয়ে ফেলার পর মুখে কাঁচা দুধ লাগিয়ে রাখুন আরও আধা ঘণ্টা।

টিপস -৫

আলুর রস ও কাঁচা দুধ মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করুন। সাথে দিন চন্দনের গুঁড়ো। দিনে ২বার এই মিশ্রণ মুখে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট করে। দ্রুত রঙ উজ্জল হবে। চন্দন না দিলেও সমস্যা নেই।

এগুলো থেকে যে কোন একটি উপায় বেছে নিন। এবং অবলম্বন করুন। নাম্বার ৫ ছাড়া বাকি যে কোন প্যাক ব্যবহার করলে দিনে দুবার কাঁচা দুধ মুখে লাগিয়ে রাখবেন। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলবেন। এতে জলদি কাজ করবে।

লাস্ট টিপস:

এক. এক টেবিল চামচ গুঁড়ো দুধ, এক টেবিল চামচ মধু, এক টেবিল চামচ লেবুর রস এবং ১/২ টেবিল চামচ বাদামের তেল ভালো ভাবে মিশিয়ে মুখে ১০-১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে তারপর পরিষ্কার করুন। এই প্যাকটি মুখের উজ্জ্বলতা বাড়াবে আর রোদে পোড়া ভাব দূর করবে।
দুই. বেশন, দুধ ২ চা চামচ এবং লেবুর রসের মিশ্রন মুখে, গলায় লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২বার লাগালে আপনার গায়ের রঙ অবশ্যই উজ্জ্বল হবে।

তিন. ঝকঝকে ত্বকের জন্য চন্দন গুঁড়োর অবদান অনস্বীকার্য। চন্দন গুঁড়োর সাথে দুধ মিশিয়ে প্রত্যেকদিন হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন। অল্প দিনের মধ্যে আপনার মুখে হাসি ফুটবেই।

চার. টমেটোতে অ্যালার্জি না থাকলে কয়েক ফোঁটা লেবুর রসের সাথে এর ক্লাথ মিশিয়ে মুখে এবং গলায় ব্যবহার করুন। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন আপনাকে অনেক ফর্সা দেখাবেই।

পাঁচ. ১/২ কাপ চায়ের লিকার(ঠাণ্ডা), ২ চামচ চালের গুঁড়ো, আধা চামচ মধু মিশিয়ে মুখে লাগান। চালের গুঁড়ো স্ক্রাবার হিসেবে কাজ করবে আর মধু মুখের আর্দ্রতা বজায় রাখবে।

ছয়. শশার রস আর মধু সমান পরিমাণ নিয়ে ১৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন। এটি শুষ্ক ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। তবে তৈলাক্ত ত্বকে মধুর বদলে লেবু ব্যবহার করতে হবে।

সাত. সপ্তাহে একবার পাকা কলা চটকিয়ে মুখে লাগান আর ৩/৪ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। মুখে লুকিয়ে থাকা সব ময়লা নিমিষে পালিয়ে যাবে আর আপনি হয়ে উঠবেন আরও আকর্ষণীয়।

আট. ২ টেবিল চামচ বেসন, ২ চিমটি কাঁচা হলুদ , ২-৩ ফোঁটা লেবুর রস আর এক চা চামচ দুধ দিয়ে প্যাক বানিয়ে মুখে ৫ মিনিট ভালো ভাবে ম্যাসাজ করুন। তারপর ২০ মিনিট পরে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তবে মনে রাখবেন, হলুদ সবার ত্বকের জন্য নয়। তাই আগে একটু টেস্ট করে নিবেন কাঁচা হলুদ আপনার বন্ধু না শত্রু।

নয়. কাঁচা আলুর রস অথবা আলু পাতলা করে কেটে অথবা আলুর পাল্প দিনে ২বার করে ব্যবহার করলেও ভালো ফল পাবেন।

টিপসগুলো মেনে চলার আগে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন উপাদানগুলোর সাথে আপনার ত্বক মানিয়ে নিতে পারে কিনা। আগে অল্প করে হাতে লাগিয়ে দেখবেন কোন ধরণের চুলকানি কিংবা জায়গাটা লাল হয়ে যাচ্ছে কিনা, তারপর পছন্দসই প্যাকটি বেছে নিন।

তথ্যসূত্রঃ
www.ruplabonno.com

search tags: gaer rong forsha korar tips, ki poddhotite gayer rong forsha kora jay, forsha hoar upay, forsha hobar upai, mukh shundor forsha korar upay, forsha hobo kivabe