Friday, June 19, 2015

নাক ডাকা বন্ধের উপায়


ঘুমের মধ্যে নাক ডাকা নিঃসন্দেহে বিব্রতকর। নাক ডাকা কোনো অসুখ নয়, তবে রোগের লক্ষণ হতে পারে। যিনি নাক ডাকেন, তাঁর জন্য এটি ঝুঁকিপূর্ণও। আর অবশ্যই পাশের মানুষটির জন্য এটি বিরক্তির উদ্রেক করে। সাধারণ কতগুলো নিয়ম মেনে চললে নাক ডাকার এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, মধ্যবয়স্ক ৪০ শতাংশ পুরুষ ও ২০ শতাংশ নারী ঘুমের মধ্যে নাক ডাকেন। নাক ডাকা বড় কোনো সমস্যা মনে না হলেও শ্বাসযন্ত্র ও অন্য কিছু শারীরিক সমস্যার কারণে মানুষের নাক ডাকতে পারে।

নাক ডাকার কারণ
-ঘুমের মধ্যে শ্বাস-প্রশ্বাসের গতিপথে কোনো বাধা এলে বাতাস শ্বাসযন্ত্রে কাঁপুনির সৃষ্টি করে। ফলে নাক ডাকার শব্দ হয়।
-ওজন বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে গলার চারপাশে চর্বি জমা হয়। এতে ঘুমের মধ্যে নাক ডাকে।
-জন্মগত কারণে শ্বাসযন্ত্র সরু হলে বা চোয়ালে কোনো সমস্যা থাকলে। এতে ঘুমের মধ্যে নাকে শব্দ হয়। গলার পেশির নমনীয়তা কমে গেলেও ঘুমের মধ্যে নাক ডাকে।
-ধূমপান, অতিরিক্ত অ্যালকোহল ও ঘুমের ওষুধ সেবন করলে এই সমস্যা বাড়ে।
-থাইরয়েডের সমস্যা ও গ্রোথ হরমোনের আধিক্যজনিত রোগের ফলে নাক ডাকে।
-অনেক সময় চিত হয়ে ঘুমালে জিব পেছনে চলে গিয়ে শ্বাসনালি বন্ধ করে দেয়। ফলে নাক ডাকার আওয়াজ হয়।

নাক ডাকা কমানোর উপায়
যাদের নাক বন্ধ থাকে বা সর্দি লেগে থাকে তাদের নাক পরিষ্কার করে ঘুমাতে যাওয়া উচিত। ঘুমের দুই ঘণ্টা আগে থেকে চা-কফি পান করবেন না, মসলা ও তেলযুক্ত খাবার খাবেন না। কাত হয়ে শোয়ার অভ্যাস করুন। যারা স্থূলতার কারণে গলার পথ সরু হয়ে যাওয়ার কারণে নাক ডাকার সমস্যায় আক্রান্ত, তাদের ওজন কমানো উচিত। নেশাজাতীয় দ্রব্য ও ঘুমের ওষুধ পরিহার করতে হবে। বুকের চেয়ে মাথা ওপরে থাকলে নাক ডাকার আশঙ্কা অনেকটা কমে যায় বলে বালিশটা উঁচু করে নিতে পারেন। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করলে নাসারন্ধ্রে লেগে থাকা আঠার মতো দ্রব্যগুলো দূর হবে, নাক ডাকাও কমবে। নাক ডাকার সঙ্গে সারা দিন ঘুম ঘুম ভাব ও যত্রতত্র ঘুমিয়ে পড়ার সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

সূত্রঃ প্রথম আলো


search tags : nak daka bondho korar upay, nak dakar karon, nak daka bondhe kornio, nak daka shomossha, nak daka komanor upay, kivabe nak daka komano jay

রক্তে কোলেস্টেরল কমানোর উপায়


রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে হৃদ্রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক ও ধমনিসংক্রান্ত রোগে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা বেড়ে যায়। তাই এটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস ও শারীরিক পরিশ্রম রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রাকে বশে রাখে। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে ওষুধের প্রয়োজন পড়ে। তবে এটি ব্যক্তির কোলেস্টেরলের মাত্রা ও রোগের ইতিহাসের ওপর অনেকটাই নির্ভর করে। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আ ফ ম হেলাল উদ্দিন বলেন, পারিবারিক ইতিহাস আছে কিংবা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা যাঁদের বেশি, তাঁদের খাওয়াদাওয়ায় খানিকটা বিধিনিষেধ আরোপ করতে হয়। এ ছাড়া শারীরিক পরিশ্রমকেও গুরুত্ব দিতে হবে। আর যদি ওষুধ খেতেই হয়, তবে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে খান। যে কোনো বয়সেই কোলেস্টেরলের সমস্যা হতে পারে।
ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল বশে রাখতে খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপনে কতটুক পরিবর্তন আনতে হবে, তা আজই জেনে নেওয়া যাক।
শারীরিক পরিশ্রম কিংবা ব্যায়াম করতে হবে নিয়মিত। এটি শুধু রক্তে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায় না, উপকারী কোলেস্টেরলের মাত্রাও ১০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়াতে সক্ষম। যাঁরা সময় করে উঠতে পারছেন না, তাঁরা জোরে হাঁটুন। কমপক্ষে ৪৫ মিনিট হাঁটার অভ্যাস গড়ুন। অফিসে লিফট ব্যবহার না করে সিঁড়ি বেয়ে ওঠা-নামায় অভ্যস্ত হন। আর যাঁদের দীর্ঘ সময় অফিসে বসে কাজ করতে হয়, প্রতি ঘণ্টা অন্তর অন্তত পাঁচ মিনিট হেঁটে আসুন।
মাংসের বদলে মাছে পেট ভরান। মাছ কোলেস্টেরল হ্রাস করতে সক্ষম। অধিকাংশ মাছেই ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এই উপাদান রক্ত থেকে কোলেস্টেরল ও অন্যান্য ক্ষতিকর চর্বি কমাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। আর যাঁরা একেবারেই মাছ খেতে পছন্দ করেন না, তাঁরা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডসমৃদ্ধ ক্যাপসুল খেতে পারেন। কিছু উদ্ভিদজাত খাবার, যেমন: সয়াবিন তেল, কাঠবাদামের তেলেও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়।
চর্বিজাতীয় খাবারে বিধিনিষেধ আরোপ করতে হবে। এ ছাড়া কোলেস্টেরল কমাতে কলিজা, মগজ, ডিমের কুসুম, চিংড়ি, গরুর মাংস, খাসির মাংস, ঘি, মাখন পরিহার করতে হবে।
আঁশযুক্ত খাবারে নজর দিন। বিভিন্ন সবজি ও ফলে থাকে প্রচুর পরিমাণে আঁশ। এগুলো রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। ডায়াটরি আঁশ পরিপাক নালি থেকে স্পঞ্জের মতো কোলেস্টেরল শুষে নিতে সক্ষম। এ ছাড়া গ্রিন টি, ইসবগুল, রসুনও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে বিশেষ কার্যকর।
অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ দ্রুত বাড়িয়ে দেয়। রক্তে কোলেস্টেরল মাত্রা কমাতে অবশ্যই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
শেষে ধূমপান কিংবা মদ্যপানে শরীরে কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়ে কি না, তা জানতে চাইলে আ ফ ম হেলাল উদ্দিন বলেন, অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। এ ছাড়া ধূমপান করলে রক্তে উপকারী কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়। তাই রক্তে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে অবশ্যই ধূমপান ছেড়ে দিতে হবে।

সূত্রঃ প্রথম আলো

search tags: rokte cholesterol komanor upay, blood e cholesterol bere gele ki hoy, kolesterol barle ki hoy, kolesterol barle ki korbo, blood e cholesterol niontron korar upay, ki khele cholesterol kombe

আপনার শিশুর অত্যধিক জ্বর হলে কি করবেন


শিশুদের প্রায়ই জ্বর হয়। দুনিয়াজুড়ে হাসপাতালে বা চিকিৎসকের কাছে যেসব শিশু আসে তার প্রায় ২০-৩০ শতাংশ শিশুকে আনা হয় জ্বর উপসর্গ নিয়ে। শিশুদের বেশির ভাগ জ্বরই নিরীহ ধরনের ভাইরাস-সংক্রমণজাত। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা প্রাণসংহারক ও মারাত্মক সংক্রমণের কারণেও হতে পারে। তাই জানা থাকা দরকার জ্বর কখন গুরুতর হয়ে ওঠে।
শিশু বয়সের জ্বর উপসর্গকে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে, শিশুর বয়স অনুযায়ী। খুব ছোট্ট শিশু—মানে এক বছরের কম বয়সী শিশু, ৩ থেকে ৩৬ মাস বয়সী শিশুর জ্বর এবং তিন বছরের বেশি বয়সী শিশুর জ্বরের ধরন-ধারণে আছে ভিন্নতা।
খুব ছোট্ট শিশুর জ্বর হলে সতর্ক থাকতে হবে। কেননা, এদের রোগ প্রতিরোধ শক্তি কম, তা ছাড়া তাকে টিকাদান সুরক্ষা ব্যবস্থাও দেওয়া হয়ে ওঠেনি। অন্যান্য অসুস্থতার লক্ষণও তেমন বোঝা যায় না। এ বয়সে জ্বরের জন্য জিবিএম, ই.কোলাই, এইচ ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো মারাত্মক রোগজীবাণু দায়ী হতে পারে।
৩-৩৬ মাস বয়সী শিশুরা সাধারণত স্ট্রেপটো নিউমোনিয়া, নাইসেরিয়া মেনিনজাইটিডিস, সালমোনেলা, স্টেফাইলো ইত্যাদি জীবাণুর মাধ্যমে আক্রান্ত হতে পারে।

শিশুদের হঠাৎ জ্বর যেসব রোগের কারণে হয়
শ্বাসতন্ত্রের অসুখ: ঠান্ডা-সর্দি, কান পাকা, সাইনোসাইটিস
ফুসফুস: ব্রনকিওলাইটিস, নিউমোনিয়া
মুখগহ্বর: টনসিলাইটিস, দাঁতের ফোড়া
স্নায়ুতন্ত্র: মেনিনজাইটিস
অন্যান্য: আন্ত্রিক অসুখ, অ্যাপেন্ডিসাইটিস, মূত্রতন্ত্রের সংক্রমণ, গিঁটের সংক্রমণ, রক্তে ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি, টিকাদান-পরবর্তী জ্বর, ভাইরাসজনিত অসুখ—চিকেন পক্স, হাম, ক্যানসার ইত্যাদি।

জ্বর হলে যা জানা জরুরি
-শিশুর জ্বর কত দিন ধরে, কত মাত্রায়-তা খেয়াল রাখুন ও চিকিৎসককে অবহিত করুন।
-জ্বরের সঙ্গে র্যাশ, বমি, ডায়রিয়া, পেটব্যথা, প্রস্রাবে সমস্যা, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট আছে কি না, তাও জানান।
-বাড়িতে বা আপনজনদের মধ্যে অন্য কেউ অসুস্থ কি না, সেই তথ্যও গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
-এ পর্যন্ত শিশুর কী কী টিকা সম্পন্ন হয়েছে এবং বাড়িতে কী কী ওষুধ সেবন করানো হয়েছে তা জানাতে ভুলবেন না।
-ঘরে পোষা প্রাণী আছে কি না, নিকট অতীতে কোথায় শিশুকে নিয়ে বেড়াতে যাওয়া হয়েছে (যেমন পাহাড়ি এলাকায়) এসব তথ্যও জানা দরকার।
-শিশু ছোটবেলা থেকেই কোনো অসুখে আক্রান্ত কি না, যেমন: হাঁপানি, অ্যালার্জি, জন্মগত হৃদ্রোগ—তা অবশ্যই জানাবেন।

জ্বর নিয়ে ভয় নেই
জ্বরের ব্যবস্থাপনা মূলত: দুই ধরনের। প্রথমত: জ্বর নিয়ন্ত্রণ এবং দ্বিতীয়ত জ্বরের কারণ নির্ণয় করে কার্যকর চিকিৎসা। সাধারণভাবে জ্বর ক্ষতিকর কিছু নয় বরং এটি সংক্রমণ বা প্রদাহের বিরুদ্ধে শরীরের প্রথম প্রতিরোধ।
জ্বর নিয়ন্ত্রণে অ্যাসিটোমিনোফেন (প্যারাসিটামল) বা আইবুফ্রোপেন কার্যকর। শিশু বয়সে জ্বর নিবারণে কখনো অ্যাসপিরিন ব্যবহার করতে নেই। স্পঞ্জিং বা বার্থিং (উষ্ণ জলে) উপশমে সাহায্য করে, তবে বরফ জল বা অ্যালকোহলে বাথ অপকারী। জ্বরের শিশুকে বেশি অসুস্থ মনে হলে, বিশেষত: ২৮ দিনের কম বয়সী জ্বরে ভোগা সব শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া ভালো।

সূত্রঃ প্রথম আলো

search tags: শিশুর জ্বর, shishur jor hole ki koronio, shishur jor beshi hole ki korbo, bacchader jor kivabe valo kora jay, shishur jorer karon, lokkhon, shishur jorer oushudh, shishur jor e ki oshudh khaoabo, shishur jorer medicine

গরমে হিট স্ট্রোক হলে করনীয়


মানুষের শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে তৈরি একধরনের জটিলতার নাম হিট স্ট্রোক। মানবদেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট। এটি ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটের চেয়ে বেশি হলেই হিট স্ট্রোক হতে পারে। এ সমস্যায় তাৎক্ষণিক চিকিৎসা না পেলে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

কারণ: হিট স্ট্রোকের প্রধান কারণ পানিশূন্যতা। প্রচণ্ড গরমে দেহে পানির পরিমাণ কমে যেতে পারে। এ ধরনের পানিশূন্যতা এড়াতে সতর্কতা প্রয়োজন। অতিরিক্ত গরমের সময় ভারী শারীরিক পরিশ্রমের কাজ না করাই উচিত।

লক্ষণ: শরীরের তাপমাত্রা অসহনীয় অবস্থায় চলে গেলে যেসব জটিলতা দেখা যায়, সেগুলোই হিট স্ট্রোকের লক্ষণ। যেমন মাথা ঝিম ঝিম করা, বমি করা, অবসাদ ও দুর্বলতা, মাথাব্যথা, মাংসপেশির খিঁচুনি, চোখে ঝাপসা দেখা। এ ছাড়া সে সময় ঘামের অনুপস্থিতি, চামড়া খসখসে ও লাল হয়ে যাওয়া, হৃৎস্পন্দন বৃদ্ধি, শ্বাসকষ্ট, মাতালের মতো আচরণ, দৃষ্টিবিভ্রম বা হ্যালুসিনেশন, বিভ্রান্তি, অশান্তি, খিঁচুনি ইত্যাদি লক্ষণও দেখা যায়।

যারা আক্রান্ত হয়: ছোট শিশু, বয়স্ক মানুষ, ব্যায়ামবিদ বা দিনমজুরদের হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি খুবই বেশি। শিশুদের ক্ষেত্রে এটি খুবই ভয়াবহ। কারণ, তাদের শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণ করার ব্যবস্থা পরিপক্ব নয়।

প্রাথমিক চিকিৎসা: হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে তাকে ছায়ায় নিতে হবে। শরীরের ভারী কাপড় খুলে নিয়ে ঠান্ডা পানি ঢালতে হবে। সম্ভব হলে রোগীকে ফ্যানের নিচে বা শীতাতপনিয়ন্ত্রিত (এসি) কক্ষে নিতে হবে। রোগীর বগল ও ঊরুর ভাঁজে বরফ দেওয়া যেতে পারে। থার্মোমিটার দিয়ে রোগীর শরীরের তাপমাত্রা মেপে দেখতে হবে। ১০১-১০২ ডিগ্রি ফারেনহাইটে নেমে না আসা পর্যন্ত তাকে ঠান্ডা দেওয়া অব্যাহত রাখতে হবে।

হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে করণীয়: গরমের সময় শরীরকে পানিশূন্য হতে দেওয়া যাবে না। শরীরে পানির পরিমাণ স্বাভাবিক রাখতে প্রচুর পানি, ডাবের পানি, ওরালস্যালাইন পান করতে হবে। বেশি গরমের সময় ব্যায়াম বা ভারী কায়িক পরিশ্রম বর্জন করুন। গরমে বাইরে বের হলে সাদা বা হালকা রঙের কাপড় পরতে হবে। ঘামের সঙ্গে শরীরের লবণ বেরিয়ে যায়, তাই দুর্বল লাগলে খাবার স্যালাইন পান করতে হবে।

সূত্রঃ প্রথম আলো

search tags: হিট স্ট্রোক হলে করনীয়, heat stroke e koronio, heat sroke keno hoy, heat sroke theke bachar upay, hit stroke hole ki korbo, gorome oggyan hole ki koronio, heat stroke er lokkhon, heat stroke rog, heat stroke rog e koronio, heat stroke er karon, hit stroke er chikitsha

Tuesday, June 16, 2015

হাতে ঝিঁ ঝিঁ হলে কি করবেন


কবজি থেকে শুরু করে পুরো হাতটা ঝিঁঝি ধরে বা অনুভূতিশূন্য হয়ে যায়। কখনো কামড়ায় বা ব্যথা করে। আঙুল নাড়াচাড়া করতেও কষ্ট হতে পারে; বিশেষ করে রাতের বেলা বা ঘুম থেকে ওঠার পর। এই সমস্যার নাম কারপাল টানেল সিনড্রোম বা সংক্ষেপে সিটিএস।
আমাদের হাতের পাতার ঠিক শুরুতে কবজির কাছে চামড়ার নিচ দিয়ে চলে গেছে একটা টানেল। এর ভেতর দিয়ে বিভিন্ন স্নায়ু ও শিরার প্রবাহ। এটিরই নাম কারপাল টানেল। কোনো কারণে এই টানেলের ওপর চাপ পড়লে সংশ্লিষ্ট স্নায়ুকোষগুলোর ওপরও চাপ পড়ে। তারই পরিণামে হাত ঝিঁঝি করে বা অস্বাভাবিক অনুভূতি শুরু হয়।

কী হয় সিটিএস হলে?
কারপাল টানেল সিনড্রোম হলে হাত ও হাতের আঙুলগুলো অবশ হয়ে আসে বা অস্বস্তি হয়। বুড়ো আঙুল, মধ্যমা ও তর্জনীতে সমস্যা হয় বেশি, আর সাধারণত কনিষ্ঠ আঙুল ভালোই থাকে। কোনো কিছু ধরে কাজ করার সময়, যেমন ফোনে কথা বলা বা গাড়ির স্টিয়ারিং ধরে রাখার সময় হাত দুটো অবশ হয়ে আসে বা ঝিঁঝি ধরে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রাতে ঘুম ভেঙে যায় হাতের ওই অস্বস্তির কারণে। কখনো কখনো হাত দিয়ে কিছু ধরে রাখার সামর্থ্যও দুর্বল হয়ে পড়ে এবং হাত থেকে জিনিসপত্র পড়ে যায়।

কারণ:
কারপাল টানেলের ভেতর দিয়ে যেসব জিনিস প্রবাহিত হয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো মিডিয়ান নার্ভ, যা হাতের আঙুলের পেশি ও ত্বকের সংবেদনশীলতা নিয়ন্ত্রণ করে। কোনো কারণে কারপাল টানেলের ভেতর এই মিডিয়ান নার্ভের ওপর চাপ পড়ার কারণেই সব সমস্যার শুরু, যা নারীদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায়। গর্ভাবস্থায় ত্বকের নিচে বা কলার ফাঁকে পানি জমলে কারপাল টানেল সরু হয়ে যায় এবং ¯স্নায়ুর ওপর চাপ পড়ে। একই ব্যাপার ঘটে কিডনি বা থাইরয়েডের সমস্যায়ও। স্থূলতা, ডায়াবেটিস, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস ইত্যাদি ঝুঁকি বাড়ায়। কবজিতে আঘাতজনিত কারণেও হতে পারে এ সমস্যা।

করণীয়:
চিকিৎসক হাতের পেশি ও স্নায়ুগুলো পরীক্ষা করে বেশ খানিকটা আঁচ করতে পারবেন সমস্যা সম্পর্কে। ঝুঁকিগুলোও নির্ণয় করা দরকার। প্রয়োজনে হাতের এক্স-রে, নার্ভ কনডাকশন স্টাডি বা ইলেকট্রোমায়েলোগ্রামও করা লাগতে পারে। চিকিৎসা হিসেবে ব্যথানাশক, ¯স্নায়ুরোগের ওষুধ বা স্টেরয়েড ইনজেকশন ব্যবহার করা হয়। সমস্যা দূর না হলে শল্যচিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে।

সূত্রঃ প্রথম আলো

tags: হাতে ঝিঝি হলে কি করবো, হাত ঝিন ঝিন করলে কি করবো, hath e jhi jhi hole ki korbo, hat narte na parle ki korbo, hat e jhinjhini hole ki korbo, hath e jhi jhi hoy keno

চোখ ওঠার কারণ ও প্রতিকার


চোখ উঠেছে এমন কারও চোখের দিকে তাকালে নাকি চোখ ওঠে! না, ব্যাপারটা মোটেও তা নয়। আসলে চোখ ওঠা বা কনজাংটিভাইটিস হয় জীবাণু সংক্রমণের জন্য অথবা পরিবেশের বিভিন্ন উপাদানের প্রতি অ্যালার্জির কারণে। চোখের সাদা অংশের সামনে এবং চোখের পাতার ভেতরের দিকটায় যে স্বচ্ছ পর্দাটি থাকে, তার নাম কনজাংটিভা। আর এই কনজাংটিভার প্রদাহ হলেই তাকে বলা হয় কনজাংটিভাইটিস।

চোখ উঠলে কী হয়?
চোখ ওঠা মানে কিন্তু চোখ তুলে ফেলা নয়। কনজাংটিভাইটিস রোগকে চলতি ভাষায় চোখ ওঠা বলা হয়। এতে আক্রান্ত ব্যক্তির চোখ লাল হয়ে যায়, চোখ থেকে পানি পড়ে, চোখে অস্বস্তি বা চুলকানি হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে চোখে ব্যথা হতে পারে এবং চোখের পাতা ফুলেও যেতে পারে।

কেন চোখ ওঠে?
নির্দিষ্ট কোনো পদার্থের কারণে, যেমন চিংড়ি, গরুর মাংস, বেগুন, মিষ্টিকুমড়া খেলে অথবা ফুলের রেণু, ধুলা, ধোঁয়া বা পোকামাকড়ের পাখার সংস্পর্শে এলেই যদি কনজাংটিভাইটিস হয় এবং এমনটা বারবার হতেই থাকে, সে ক্ষেত্রে বুঝতে হবে ওই নির্দিষ্ট বস্তুর প্রতি অ্যালার্জির কারণে এ রোগ হচ্ছে। একই কারণে একই সঙ্গে শ্বাসকষ্ট বা ত্বকে অ্যালার্জিও হতে পারে। তাই এ সমস্যা প্রতিরোধে অবশ্যই ওই নির্দিষ্ট বস্তু এড়িয়ে চলতে হবে।

এ সমস্যায় করণীয়

কুসুম গরম পানি দিয়ে চোখ পরিষ্কার করতে হবে বারবার। অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ প্রয়োজন হতে পারে। তবে এসব ড্রপ অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করা উচিত। এই জীবাণু দ্রুত সংক্রমিত হয়, তাই আক্রান্ত ব্যক্তির উচিত ভিড় এড়িয়ে চলা।

বাতাসের মাধ্যমে বা চোখের দিকে তাকালেই জীবাণু অন্যদের আক্রমণ করে, ব্যাপারটা এমন নয়। আসলে আক্রান্ত ব্যক্তি চোখে হাত লাগানোর পর সেই হাত দিয়ে অন্য জিনিস, যেমন দরজার হাতল, ফোন, রুমাল, তোয়ালে ইত্যাদি স্পর্শ করলে অন্যরা সেটা থেকেই সংক্রমিত হন। কনজাংটিভাইটিস প্রতিরোধে বাইরে থেকে ফিরে চোখ ও চোখের পাতা পরিষ্কার খাবার পানি দিয়ে ধুয়ে নেওয়া উচিত। আক্রান্ত ব্যক্তির জিনিসপত্র আলাদা রাখতে হবে। বেশির ভাগ চোখ ওঠা স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ চিকিৎসায় সেরে যায়।

সূত্রঃ প্রথম আলো


search tags: চোখ উঠলে কি করবো, চোখ উঠার ওষুধ, chokh uthle ki korbo, chokh loua roger somadhan, chokh othar oushudh, cokh utha theke muktir upay

ধুমপানে শিশুর মারাত্মক ক্ষতি

tags: ধুমপানে শিশুর কি ক্ষতি হয়, cigarette er dhoay shishur ki khoti hoy, smoking e shishur khoti, dhumpane shishur khoti hoy kivabe
শিশুটি আপনমনে খেলা করছে বাড়িতে। পরম নির্ভরতার সঙ্গে কাছে রয়েছেন বাবা। কিন্তু তিনি টিভি দেখতে দেখতে ধূমপান করছেন। কিন্তু জানেন কি, এই প্রিয় বাবাই সবচেয়ে বড় ক্ষতি করছেন নিজের সন্তানের? অনেকেই শিশুদের সামনে ধূমপান করেন। শিশুর জন্য এই পরোক্ষ ধূমপান মারাত্মক ক্ষতি ও হুমকির কারণ হতে পারে।
পরোক্ষ ধূমপানের ফলে শিশুর ধমনির ক্ষতি হতে পারে। এতে পরিণত বয়সে তাদের হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। শিশুরা এমনিতে দ্রুত শ্বাস নেয়, তা ছাড়া তাদের শ্বাসতন্ত্রও অপরিণত। তাই সিগারেটের ধোঁয়া সহজেই শিশুদের শ্বাসতন্ত্রে প্রবেশ করে সমূহ ক্ষতি করে। পরোক্ষ ধূমপানের কারণে শিশুর নিউমোনিয়া, ব্রংকিওলাইটিস, ব্রংকাইটিস, হাঁপানি ইত্যাদি রোগ হয়।
পরোক্ষ ধূমপানের শিকার মানুষের শরীরের শ্বেত রক্তকণিকা ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। ফলে শিশু অল্পতেই রোগাক্রান্ত হয়। যুক্তরাজ্যে প্রতিবছর পরোক্ষ ধূমপানের কারণে ১৭ হাজার শিশু বিভিন্ন রোগে হাসপাতালে ভর্তি হয়। এ ছাড়া মধ্যকর্ণের প্রদাহ, বধিরতা, মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, ঝিমুনি, অস্থিরতাও হতে পারে। শিশুর স্বাভাবিক বেড়ে ওঠা ও মানসিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয় সিগারেটের ধোঁয়ায়। যুক্তরাষ্ট্রে এক গবেষণায় দেখা যায়, যেসব শিশু গণিত ও যুক্তিবিদ্যায় কম পারদর্শী, তাদের বেশির ভাগেরই মা-বাবা ধূমপায়ী। এরা শিক্ষক ও সহপাঠীর সঙ্গে সঠিক আচরণ করতেও শেখে না।
গর্ভাবস্থায় মা ধূমপান করলে সন্তানের মারাত্মক ক্ষতি হয়। কারণ, গর্ভস্থ সন্তানের শরীরে যে রক্ত বাহিত হয়, তার অক্সিজেন ধারণক্ষমতা কমিয়ে দেয় তামাকের কার্বন মনোক্সাইড। নিকোটিন গর্ভফুলের রক্ত সরবরাহ হ্রাস করে। ফলে মায়ের শরীর থেকে পর্যাপ্ত পুষ্টি গর্ভস্থ সন্তানের শরীরে যেতে পারে না, তাই শিশুর বৃদ্ধিও ব্যাহত হয়। এ ছাড়া ধূমপানের কারণে গর্ভপাত কিংবা অপরিণত শিশু জন্মাতে পারে। এই অপরিণত শিশুরা আবার সংক্রমণ বা অন্য কোনো কারণে মৃত্যুর ঝুঁকির মধ্যে থাকে।
গবেষণায় আরও দেখা যায়, পরিবারে বাবা, বড় ভাই বা অন্য কেউ ধূমপান করলে শিশুরা সহজেই আকৃষ্ট হয়। তাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভেবে সময় এসেছে সচেতন হওয়ার। প্রকাশ্য স্থানে এবং বাড়িতে—সব জায়গায়ই ধূমপান বর্জন করুন।

সূত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো

ধুমপান ছাড়তে পারছেন না !


ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার ১০ বছর পর ফুসফুস ক্যানসারের ঝুঁকি আগের তুলনায় অর্ধেকে নেমে আসে। এক বছর পরই কমে যায় হৃদ্রোগের ঝুঁকি। পাঁচ বছরের মাথায় মুখ, গলা ও খাদ্যনালির ক্যানসারের ঝুঁকি অর্ধেক হয়ে যায়। তাই আপনি ধূমপায়ী হলে, এখনো সময় আছে পুরোপুরি তা বর্জন করার। কিন্তু কীভাবে কাজটা করবেন?
১ প্রথমে সিদ্ধান্ত নিন কেন আপনি ধূমপান ছাড়ছেন? একটা তালিকা তৈরি করুন—এই অভ্যাসের জন্য আপনার কী কী ক্ষতি হচ্ছে। এই তালিকায় রোগবালাই ছাড়া আরও বিষয় রাখতে পারেন। যেমন: সন্তানের পরোক্ষ ক্ষতি, আর্থিক ক্ষতি, প্রিয়জনের বিরক্তি ইত্যাদি।
২ ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার পর কিছু সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। একে বলে উইথড্রয়াল সিনড্রোম। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ নিন।
৩ সিগারেট ছাড়ার জন্য আগে থেকে প্রস্তুতি ও সিদ্ধান্ত নিয়ে একটি শুভদিন বেছে নিতে পারেন। যেমন: জন্মদিন বা বিবাহবার্ষিকী বা সন্তানের জন্মদিন।
৪ ধূমপান ছাড়ার পর হাত ও মন ব্যস্ত রাখার অন্য উপায় খুঁজে বের করুন। অবসরে বা অফিসে বসে পপকর্ন, বাদাম, চুইংগাম বা চানাচুর চিবোতে পারেন। হাঁটা বা ব্যায়াম বা সপ্তাহে কয়েক দিন জিম বা সাঁতার কাটতে পারেন। বারান্দা বা ছাদে বাগান করতে শুরু করে দিন।
৫ সিগারেটের কথা মনে করিয়ে দেয় এমন সব কিছু, যেমন: অ্যাশট্রে, লাইটার, দেশলাই ইত্যাদি ফেলে দিন। সিগারেটের গন্ধ আছে এমন পুরোনো বিছানার চাদর, তোয়ালে, জামা-কাপড় ধুতে দিন। আপনজনদের সময় দিন, বেড়াতে যান, আড্ডা দিন। নতুন জীবন উপভোগ করতে শুরু করুন।

সূত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো

tags: ধুমপান ছাড়ার উপায়, কিভাবে ধুমপান ছাড়বো, ধুমপান করলে কি কি ক্ষতি হয়, ধুমপানে স্বাস্থের সমস্যা, dhumpan, smoking charar upay, cigarette charar upay, smoking charbo kivabe, smoking e shasther shomossha