মাথার চুল ঝরে যাওয়া আজকাল সবার ই একটি কমন সমস্যা। সকলেই প্রত্যাশা করে মাথা ভরা ঝাকড়া চুলের। মেয়েরা তো চুলের জন্য পারলে সব কিছুই করে। কিন্তু চুল পড়া বন্ধ হয় না। মাথায় আংগুল দিয়ে হাত বুলালে কিংবা চিরুনি দিয়ে আঁচড়ালে চুল উঠে আসে। কারো কারো মাথা টাক কিংবা টাক হওয়ার পথে। কয়েকটি পদক্ষেপ নিলে আশা করি সমস্যাটা কমে যাবে।
১। পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহন করুনঃ পুস্টিকর খাবার খান। এর সাথে সাথে মাথা এবং চুলের সুরক্ষার জন্য পুষ্টিবর্ধক সাপ্লিমেন্ট নিতে পারেন। পুস্টিকর খাবারের উপাদান সমূহ হচ্ছে-
(ক) ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডঃ ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড মাথার চামড়ার স্তর এবং চুলের গোড়াকে পরিপুষ্ট করে। এই এসিড চুলকে নমনীয় করে যাতে চুল ভেংগে না যায়।
(খ) জিংকঃ মাথার সুস্থ ত্বকের জন্য জিংক দরকারি উপাদান। চুলের গোড়ায় অবস্থিত তৈল নিঃসারক গ্রন্থিকে হরমোন উতপাদনের মাধ্যমে চুলে প্রান দান করে। অতিরিক্ত জিংক গ্রহন করলেও সমস্যা আছে। এতে অতিরিক্ত টেস্টস্টেরন নিঃসৃত হয়ে চুল পড়া বেড়ে যায়। তাই পরিমান মত জিংক গ্রহন করতে হবে। দিনে ১১ মিলিগ্রাম।
(গ) প্রোটিনঃ পরিমানের চেয়ে কম প্রোটিন যুক্ত খাবার গ্রহন করলে চুল দূর্বল ও বিবর্ণ হয়ে যায়। শাকসবজি খেলে প্রোটিনের অভাব দূর হয়।
(ঘ) এছাড়া আয়রন, ভিটামিন এ এবং সি, ম্যাগনেসিয়াম, সেলেনিয়াম চুলের পুস্টির জন্য প্রয়োজনীয়।
২। কার্যকরী তেলের ব্যবহারঃ এসেন্সিয়াল তেল যেমন তিলের তেল, বাদামের তেল, ল্যাভেন্ডারের তেল কয়েক ফোটা মাথায় দিয়ে মেসেজ করলে মাথার ত্বকে রক্তসঞ্চালন বাড়ে। ফলে চুলের গোড়া শক্ত হয়।
৩। গরম তেলের ব্যবহারঃ যেকোনো প্রাকৃতিক তেল যেমন নারিকেল তেল, সূর্যমুখী তেল, অলিভ ওয়েল, ইতাদি তেল মাথায় ব্যাবহার করতে পারেন। হালকা গরম করে তেল মাথায় দিয়ে রাখতে পারেন। মাথায় শাওয়ার ক্যাপ পরে নিলে ভালো হয়। পরে শ্যাম্পু করে নিবেন।
৪। চুলে হিট না দেওয়াঃ আমাদের অনেকে বিশেষ করে মেয়েরা চুল তাড়াতাড়ি শুকানোর জন্য চুলে হিট দেয়। চুল কার্লি করার জন্য কিংবা সোজা করার জন্য হেয়ার ড্রায়ার ব্যাবহার করলে চুলের মধ্যকার প্রোটিন দূর্বল হয়ে যায়। ফলে চুল পড়ে যায় এবং ভেংগে যায়। ইলেক্ট্রনিক ড্রায়ার দিয়ে চুল না শুকিয়ে স্বাভাবিক ভাবে চুল শুকিয়ে নিন।
৫। চুলে ঘন ঘন রঙ না করাঃ দেড় দুই মাস পরপর চুল কালার করুন প্রয়োজন হলে। সব চুল গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত কালার না করে আংশিক চুল কালার করুন যাতে অন্তত পাকা চুলগুলো ঢেকে যায়। তবে চুলে কালার না করাটাই শ্রেয়।
৬। চুলের স্টাইল সংশোধন করাঃ মেয়েরা ক্লিপ অথবা ইলাস্টিক দিয়ে বেশ শক্ত করে চুল বেঁধে রাখে। এতে করে চুল উঠে যায়। একটু ছেড়ে ছেড়ে চুল বাধুন। ওয়াইন্ডিং রোলার ব্যাবহার করতে পারেন।
৭। নিয়মিত চুল ধোয়াঃ নিয়মিত চুল ধুলে স্কাল্প পরস্কার হয়, খুশকি দূর হয়, কোনোরকম ইনফেকশন হয় না। চুল ধোয়ার জন্য কোমল শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। বাজারের রংগচংগা শ্যাম্পুর চেয়ে ক্লিনিকাল শ্যাম্পু ব্যাবহার করা উত্তম।
৮। ভেজা চুল আঁচড়াবেন নাঃ ভেজা চুল আঁচড়ালে চিরুনির সাথে চুল উঠে আসে। যদি ভেজা চুল আঁচড়াতেই হয় তাহলে ফাঁকা দাতওয়ালা চিরুনি ব্যবহার করুন। চুল জঁট বাধা অবস্থায় থাকলে ব্রাশ কিংবা চিরুনি দিয়ে চুল না আঁচড়িয়ে আংগুল দিয়ে চুলের জঁট খুলুন। তারপর আঁচড়ান।
সূত্রঃ
med-health.net
tags: চুল পড়া বন্ধ, চুল পড়া রোধ, কিভাবে চুল পড়া বন্ধ করবো, চুল পড়লে কি করবো, চুল উঠে গেলে কি করবো, চুল পড়া বন্ধের টিপস, কি করলে চুল পড়বে না, চুল পড়ে কেনো, চুল পড়া বন্ধ করার উপায়, chul pora bondho, kivabe chul pora bondho korbo, chul porle ki korbo, chul uthe gele ki korbo, chul pora bondher tips, ki korle chul porbena, chul pore keno, chul pora bondho korar upay
Amer prochur chul porche ki korle notun chul gojabe
ReplyDeleteGood
ReplyDeletearticle