কে না চায় চুল সিল্কি, উজ্জ্বল, পরিপুষ্ট হয়ে বেড়ে উঠুক ! চুল মানুষের সৌন্দর্যের একটি অন্যতম ভিত। তাই চুলের পরিচর্যা করা উচিত। চুল বৃদ্ধির হার জেনেটিক ম্যাটারের উপর নির্ভর করে। প্রতি মাসে আধা ইঞ্চি হতে এক ইঞ্চি করে চুল বেড়ে উঠে। চুলের পরিচর্যা করলে পরিপুষ্ট ও মোটা হয়ে চুল বেড়ে উঠে। আপনি যদি আপনার দীর্ঘ ও সুন্দর চুল প্রত্যাশা করেন তাহলে নিচের টিপস গুলো অনুসরন করতে পারেন।
১। অনেক সময় চুলের আগা ফেটে যায়। এই সমস্যা থেকে উত্তরনের জন্য হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। কার্যকরী হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করলে আপনার চুল দ্রুত বেড়ে উঠার সাথে সাথে উজ্জ্বল, কোমল, এবং আরো আকর্ষণীয় হবে। একটি ডিমের কুসুমের সাথে এক চা চামচ ভার্জিন অলিভ অয়েল মিশিয়ে চুলে ব্যাবহার করতে পারেন। অথবা নারিকেল তেল, মিষ্টি বাদামজাত তেল এবং মধু মিশিয়ে সামান্য গরম করে চুলে লাগিয়ে নিতে পারেন। মাথায় লাগানোর পর শাওয়ার ক্যাপ অথবা তোয়ালে দিয়ে মাথা ঢেকে নিন। আধাঘন্টা পর চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার কিংবা মাসে দুইবার করে এই পরিচর্যা চালিয়ে যান। এজাতীয় প্রাকৃতিক চুল পরিচর্যায় আপনার চুল দ্রুত বেড়ে উঠবে। সাথে সাথে লাবন্যময়, চকচকে ও উজ্জল হয়ে উঠবে।
২। শুধুমাত্র বাহ্যিক পরিচর্যাই নয়, খাবার দাবারে ও মনোযোগ দিন। কি খাবেন ? অবশ্যই প্রোটিনযুক্ত খাবার। যেমন মাছ, মুরগী, লাল মাংস, ডিম, বাদাম ইত্যাদি। আপনার প্রতিদিনকার খাবারের তালিকায় এই উপাদান গুলো রাখলে আপনার চুল হবে সুস্বাস্থ্যময়।
৩। মাথায় তেল দেবার পর ফাঁকা দাঁতওয়ালা চিরুনি দিয়ে দুই মিনিট ধরে চুল আঁচড়াবেন। এতে করে চুলের সর্বাংশে তেল পৌছে যাবে। আর চিরুনি বা ব্রাশ দিয়ে আঁচড়ানোর ফলে একটা হালকা মেসেজ তো হয়েই যাচ্ছে। এতে করে আপনার মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে। চুলের সুরক্ষায় চুলের নিম্নাংশে যে ফলিকল গুলো আছে, রক্তসঞ্চালনের ফলে সেগুলোর চুল আঁকড়ে ধরার ক্ষমতা বাড়ে।
৪। শ্যাম্পু করার সময় ২-৩ মিনিট ধরে আংগুল দিয়ে কোমল ভাবে মাথায় চক্রাকারে মেসেজ করুন। চুল ধোয়াটা তো হলই সাথে ব্লাড ফ্লো ও বাড়লো।
৫। আরেকটি হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। পেঁয়াজের রস অথবা দুইটা আলু পিষা রসের সাথে এক টেবিলচামচ মধু ও একটা ডিম মিশান। এটাও কার্যকরী।
৬। চুলের কন্ডিশনার ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সতর্ক হোন। কন্ডিশনার ব্যবহার করার সময় চুলের গোড়ায় যেনো না লাগে সে দিকে লক্ষ রাখবেন। কারণ কিছু কিছু হেয়ার কন্ডিশনারে ওয়াক্স এবং সিলিকন জাতীয় তৈলাক্ত উপাদান থাকে। মাথাভর্তি হেয়ার কন্ডিশনার লাগালে স্কাল্প তৈলাক্ত হয়ে যায়। ফলে ত্বকে বাতাস পরিশোষনে বিঘ্ন ঘটে এবং চুলের গোড়া আবৃত হয়ে যায়। অতএব চুলের মূল ছেড়ে বাকি অংশে হেয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
৭। হাল্কা গরম করে মাথায় তেল দিবেন। এতে আপনি ভালো ফলাফল পাবেন।
৮। রাতে ঘুমানোর আগে ক্যাস্টর অয়েল চুলে মেখে মাথা আবৃত করে ঘুমিয়ে পড়ুন সারারাত ক্যাস্টর ওয়েল আপনার চুলকে পরিপুষ্ট করবে। সকালে কন্ডিশনার দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার কিংবা দুইবার এই পদ্ধতি চালিয়ে যান। কিছুদিন পর পার্থক্যটা নিজেই বুঝতে পারবেন।
সূত্রঃ
www.beautyandtips.com
tags: কিভাবে চুল তাড়াতাড়ি বাড়বে, চুল বড় করার উপায়, চুলের যত্নে কি করবো, কি ধরনের হেয়ার মাস্ক ভালো, চুলের জন্য কি তেল ভালো, kivabe chul taratari barbe, chul boro korar upay, culer jotne ki korbo,ki dhoroner hair mask valo, culer jonno ki tel valo
No comments:
Post a Comment