ওজন কমানোর জন্য অনেকেই আধপেটা খেয়ে থাকেন । আবার একদম না খেয়েই কেউ কেউ কাজে-কর্মে বিজি থাকার চেষ্টা করেন। দীর্ঘ সময় না খাওয়ার কারনে মেজাজটাও খিটখিটে হয়ে যায়। কাজে-কর্মেও গতি আসে না । কিন্তু সত্যি বলতে কী, পেট ভরে খেয়েও কিন্তু ওজন কমিয়ে ফেলা যায়। তবে আপনার খাবারটা খেতে হবে হিসাব করে, ক্যালরি মেপে। আর যদি লোভে পড়ে খানিকটা মসলাদার খাবার খেয়েই ফেলেন, সেটারও বন্দোবস্ত আছে।
ঢাকার বারডেম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র পুষ্টিবিদ শামছুন্নাহার নাহিদের কাছ হতেই তথ্যটা যাচাই করে নেওয়া যাক। তিনি বলেন, ‘১০০ ক্যালরি শক্তির জন্য কমপক্ষে ২০ মিনিট দ্রুত (ঘাম ঝরিয়ে) হাঁটতে হবে। এভাবেই অতিরিক্ত খাবারের ক্যালরি পরিশ্রম করে বার্ন করে ফেলতে হয়।’ তিনি বলেন, যেইসব খাবারে ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে সেসবের খাবারের কথা।
সকালের নাস্তায় খিচুড়ি, ভাত, লুচি, পরোটা, পনির, রুটিসহ তেল-মসলার খাবার খেলে ওজন বেড়ে যাবে। অন্যদিকে হাতে তৈরি রুটি, পাউরুটি, কম তেলে রান্না করা সবজি—এগুলো ওজন বাড়াবে না। ডিম খেতে চাইলে সিদ্ধ করে খান। ভাজি, অমলেট কিংবা পোচ করে খাবেন না।
দুপুরের খাবারে পরিমাণমতো ভাত, রুটি, অল্প তেলে রান্না করা নুডলস খেলে ওজন বাড়বে না। অন্যদিকে পোলাও, তেহারি, বিরিয়ানি, ফ্রায়েড রাইস খেলে ওজন বাড়াবে। এছাড়াও দুপুরে খেতে পারেন রান্না করা সবজি কিংবা ভর্তা। অন্যদিকে ভাজা সবজি আপনার ওজন বাড়িয়ে দেবে। প্রিয় খাবার ফ্রায়েড চিকেন কিংবা রোস্টে ওজন বাড়াবে—তবে অল্প তেল-মসলায় রান্না করা মাংস খেতে পারেন নিশ্চিন্তে।
ভুনা ও চর্বিযুক্ত মাংসও ওজন বাড়ানোর হারকে বাড়ায়। বিকেলের নাশতায় খেতে পারেন ক্লিয়ার স্যুপ জাতীয় খাবার। থাই স্যুপ বা ক্রিম স্যুপে ওজন বেড়ে যায় দ্রুত। খেতে পারেন তন্দুরি অথবা গ্রিলড খাবার—এসবে ওজন বাড়বে না। আর অন্যদিকে পিৎজা, কাবাব, চিকেন ফ্রাই, স্যান্ডইউচ, বার্গার, কেক, পেস্ট্রি, মিষ্টিজাতীয় খাবার ওজন বাড়িয়ে দেয়।
রাতের খাবারে সবজি খাওয়ার পাশাপাশি মাছের ঝোল খেতে পারেন, তবে মাছ ভাজা নয়। তেলে ভাজা মাছ আপনার ওজন বাড়িয়ে দেবে। শামছুন্নাহার নাহিদ বারবারই একটি কথার উপর জোর দিলেন, ‘একবারে বেশি খাওয়া নয়, অল্প করে বেশিবার খান, ওজন শরীরের নিয়ন্ত্রনে থাকবে।’ বললেন, ‘প্রতি বেলা খাবার শেষে খানিকটা টকদই খেতে পারেন, এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে।’
সকাল, দুপুর, সন্ধ্যা কিংবা রাতের খাবারের বাইরে চাইলে খেতে পারেন মুড়ি, চিড়া, সেদ্ধ ছোলা অথবা শুধু সালাদ। খাওয়া শেষে যাদের কোমলপানীয় পান করার অভ্যাস, এই সময় তাঁরা ডায়েট পানীয়তে অভ্যস্ত হোন। সবচেয়ে ভালো হয় ফলের রস পান করে তৃষ্ণা মেটাতে পারলে, তবে ফল টক হতে হবে। কারণ মিষ্টি ফলও ওজন বাড়িয়ে দেয়।
tags: ওজন কমানোর উপায়, কি কি খাবারে ওজন কমে, ojon komabo kivabe, shorirer ozon komanor upay, upai, how to control body weight, chikon hobar upay
No comments:
Post a Comment