Friday, February 6, 2015

ত্বক পরিচর্যায় কি ধরনের ফেসিয়াল মাস্ক ব্যাবহার করবেন




মুখমন্ডলে উপটান কিংবা বিভিন্ন রকমের প্যাক তো লাগানো হচ্ছেই। ফেস মাস্কও এখন অনেকে ব্যবহার করছেন। বড় কসমেটিক্সের দোকানগুলোতে নানা রকম মাস্ক পাওয়া যাচ্ছে। এই মাস্ক নির্দিষ্ট সময় পর উঠিয়ে ফেললেই পাবেন টানটান, সজীব ত্বক।

ত্বক পরিচর্যায় ফেসিয়াল মাস্কের ব্যবহার বর্তমানে মোটামুটি সবার প্রিয়। তাৎক্ষণিকভাবে টানটান আর ক্লীন ত্বক পেতে মাস্কের বিকল্প নাই।

প্রত্যেকের ই কি ফেসিয়াল মাস্ক ব্যবহার করা উচিত? অবশ্যই। ফেসিয়াল মাস্ক প্রত্যেকের জন্যই, শুধু আপনাকে আপনার ত্বক উপযোগী মাস্কটি সিলেক্ট করে নিতে হবে। সঠিক মাস্ক ব্যবহারে আপনার ত্বকের ময়েশ্চারিটির বেলেন্স নিয়ন্ত্রিত থাকতে পারে। এ ছাড়া ত্বকের তেলতেলে ভাব নিয়ন্ত্রণ, লোমকূপের মুখ পরিষ্কার অবস্থায় থাকা, ত্বকের ব্রাইটনেস ধরে রাখা এবং সানবার্ন কমানো ইত্যাদি ফলও পাবেন ফেসিয়াল মাস্কের ব্যবহারে।
বাজারে বিভিন্ন প্রকারের মাস্ক পাওয়া যায় যেমন ক্লে-বেজড মাস্ক, পেপার মাস্ক, পিল-অফ মাস্ক, এক্সফোলিয়েটিং মাস্ক ইত্যাদি। এগুলোর মধ্যে থাকে আবার নানান গুণের সমাহার এবং ত্বক অনুযায়ী প্রকারভেদ।

ক্লে-বেজড ফেসিয়াল মাস্ক : ক্লে-বেজড ফেসিয়াল মাস্কগুলো ত্বক পরিষ্কার করা, তৈলাক্ত ভাব কমিয়ে আনা, ত্বকের টানটান ভাব ধরে রাখা ও দৃশ্যমান পোরস কমিয়ে আনার জন্য বেশ উপকারী। সাধারণ ত্বক থেকে তৈলাক্ত ত্বকের জন্য এগুলো বেশ কার্যকরী কিন্তু শুষ্ক ত্বকে ক্লে-বেজড মাস্ক শুষ্কতা আরও বাড়িয়ে দেয়।

পেপার বা শিটমাস্ক : পেপার বা শিট মাস্কগুলো ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখার জন্য অধিক কার্যকরী। এই মাস্ক ত্বকের রোদে পোড়া ভাব কমায় এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে।

পিল-অব মাস্ক: পিল-অব মাস্ক সাধারণত তাড়াতাড়ি ত্বক পরিষ্কারের জন্য উপযোগী।

এক্সফোলিয়েটিং মাস্ক: এক্সফোলিয়েটিং মাস্ক ত্বকের ব্লাড সার্কুলেশন বাড়ায়, ডেড সেল, ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডস দূর করে ত্বককে গভীরভাবে পরিষ্কার করে দেয়।

স্লিপিং মাস্ক: ইদানীং স্লিপিং মাস্ক নামক এক ধরনের  ক্রিম মাস্কও বেশ পরিচিত। স্লিপিং মাস্ক অন্যান্য মাস্কের চেয়ে একটু আলাদা। এটি কিছুটা নাইট ক্রিমের পরিপূরক হিসেবে কাজ করে থাকে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এটি ব্যবহার করতে হয়।

মাস্ক ব্যবহারের আগে নিজের ত্বকের ধরন বুঝে নিন। যেকোনো মাস্ক ব্যবহারের আগে ত্বক ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। যদি সম্ভব হয়, তবে মাস্কের আগে ত্বকে একটু স্টিম দিয়ে নিতে পারেন। প্রত্যেকটা ধরনের মাস্কেই সময় উল্লেখ থাকে, অর্থাৎ কতক্ষণ লাগিয়ে রাখতে হবে, তা লিখা থাকে। ব্যবহারের সময় সেটা অনুসরণ করুন। যখন ক্লে মাস্ক ব্যবহার করবেন কখনোই তা ত্বকে পুরোপুরি শুকোবেন না, হালকা শুকালেই ধুয়ে ফেলুন। পেপার মাস্ক অধিক সময় ব্যবহার করলে উপকার বেশি হয় এমন ধারণা ভুল। মাস্ক ব্যবহারের পর কুসুম কুসুম গরম পানি দিয়ে আলতো হাতে ত্বক পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে ফেলুন। ত্বকে ব্রণের মতো সমস্যা থাকলে ফেসিয়াল মাস্ক ব্যবহারে সতর্ক হোন। পেপার মাস্ক  আপনি প্রতিদিনই ব্যবহার করতে পারবেন কিন্তু অন্যান্য মাস্ক সপ্তাহে দুইবারের বেশি ব্যবহার করা ভাল না।
যদি আপনার ত্বক পরিচর্যার রুটিনে ফেসিয়াল মাস্ক না থাকে, তবে এখন ই শুরু করে দিতে পারেন। মাস্কের ব্যবহার আপনার ত্বকে চমতকার দৃশ্যমান পরিবর্তন এনে দেবে।

tags: ফেসিয়াল মাস্ক, ফেইস মাস্ক, face mask, facial mask, kon face mask valo

No comments:

Post a Comment