পেট্রোল বোমা কি :
পেট্রোল বোমা কে মটলভ ককটেল কিংবা শুধু মটলভ বলা হয়। এটি একটি বিস্ফোরক মরনাস্র। দুষ্কৃতকারীরা এই বোমা ছুড়ে দিয়ে তড়িত অগ্নিকান্ড ঘটিয়ে প্রান নাশ করে। পেট্রোল বোমার প্রধান উপাদানই হচ্ছে পেট্রোল। কাঁচের বোতলে পেট্রোল ভরে তার উপরে কার্বন ডি সালফাইড বা সাদা ফসফরাস এবং সালফারের স্তর রেখে পেট্রোল বোমা তৈরী করা হয়। বোতল ফাটলে পেট্রোল আর সালফার বাতাসের সংস্পর্শে বিক্রিয়া করে এবং বাতাসে ব্যাপক চাপ আর তাপ উতপন্ন করে। অক্সিজেনের সংস্পর্শে তরল পেট্রোলে আগুন ধরে যায় এবং আগুনের লেলিহান শিখা ছুটে যায় চারপাশে।
বর্তমানে পেট্রোল ও ককটেল বোমার আগ্রাসনে আমরা দৈনিক ভীতসন্ত্রস্ত জীবন কাটাচ্ছি এবং অজস্র জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি দেখতে পাচ্ছি। আমরা এতটাই আতংকিত যে বাইরে যখন বের হই ঘরে সুস্থ ভাবে ফিরে আসতে পারবো কিনা তা নিয়ে সন্দিগ্ধ।
আমাদের দেশে রাজনীতির উথালপাতাল গরম পরিস্থিতিতে বরাবর ই জনসাধারনের জীবন বিপন্ন হচ্ছে। এ দেশে বোমাবাজি কখনো বন্ধ হবে কি না তা জানি না। সেহেতু আমাদের নিরাপত্তার কথা ভাবতে হবে। যতটুকু সম্ভব নিজেকে এবং অন্যদেরকে বাঁচাতে চেস্টা করতে হবে।
পেট্রোল বোমার নাশকতায় বিশেষ সতর্কতা :
বোমা যখন বিস্ফোরিত হবে তখন নিশ্চই আমরা অগ্রীম পুর্বাভাস পাবো না। যেহেতু বোমাবহনকারীর প্রধান লক্ষবস্তু পাবলিক পরিবহণ তথা গাড়ি, ট্রেইন, বাস ইত্যাদি। সেহেতু বিস্ফোরণ কালে আমরা হয়তো গাড়িতে ঘুমিয়ে থাকবো নয়তো গাড়ি ড্রাইভ করবো। আমাদের কিচ্ছু করার থাকবে না পুড়ে অংগার হওয়া ছাড়া।
তাই বলে কি কিছুই করার নেই ? এভাবেই দুঃসহ দিনাতিপাত করতে হবে ? এভাবেই পুড়ে অংগার হতে হবে ?
আমরা কয়েকটি বিষয় নিয়ে সজাগ থাকলে এর অনেকটাই প্রতিরোধ করা সম্ভব।
১) এই উত্তাল পরিস্থিতিতে যদি পারেন বাস কিংবা পাবলিক যানবাহনে উঠবেন না। আর জীবিকার তাগিদে না উঠেই বা কি করবেন। বাসে উঠলে আপনার আশপাশের জানালা গুলো বন্ধ করে দিন। যাতে বাইরে থেকে কেউ বোমা ছুড়তে না পারে। অন্যদের জানালাগুলো ও বন্ধ করে দিন।
২) বাসের গেইট টি যাতে লক করে দেয় সে ব্যাপারে হেল্পারকে অবহিত করুন।
৩) ড্রাইভার যাতে এখানে ওখানে গাড়ি না থামায় সেই ব্যাপারে সজাগ থাকুন।
৪) বাসে চড়ে ঘুমিয়ে যাবেন না। কষ্ট করে হলেও জেগে থাকুন। মোবাইলের হেড ফোনে গান শুনা কিংবা কথা বলা থেকে বিরত থাকুন।
৫) হেল্পারের উচিত প্রতি যাত্রীর ব্যাগ তল্লাসি করে বাসে উঠানো। এই ব্যাপারটি হেল্পারকে অবহিত করুন। গাড়িতে কোনো প্রকার দাহ্য পদার্থ থাকলে ক্ষতির পরিমান দ্বিগুণ হতে পারে।
৬) ট্রেন কিংবা লঞ্চে উঠে সিট, কেবিন ইত্যাদি চেক করে নিবেন।
৭) বোমা হামলার শিকার হলে যদি পারেন হুড়োহুড়ি করে নামার জন্যে দরজার দিকে না দৌড়ে জানালা দিয়ে বের হতে চেস্টা করুন যদিও এটা কম বিপজ্জনক নয়। তবুও জীবন বাঁচলেই হয়।
৮) গায়ে আগুন লেগে গেলে মাটিতে গড়াগড়ি করাটা সবচেয়ে উত্তম। পানিতে ডুব দেয়ার জন্য দৌড়াতে গেলে বাতাসের অক্সিজেনের সংস্পর্শে দাবদাহ বেড়ে যাবে। পাশের লোকদের উচিত হবে কোনো মোটা কাপড় দিয়ে আক্রান্ত ব্যাক্তিকে যথাসম্ভব ঢেকে দেয়া। আক্রান্ত ব্যাক্তিকে যতদ্রুত সম্ভব নিকটস্থ চিকিতসা কেন্দ্রে কিংবা বার্ন ইউনিটে নিয়ে যান।
৯) নাশকতার গন্ধ পেলে নাশকতাকারীকে ধরে ফেলুন। প্রহার করুন। পুলিশের সাহায্য নিন।
tags: পেট্রোল বোমা, পেট্রোল বোমায় সতর্কতা, ককটেল বোমা, petrol bomb, petrol boma theke bachar upay
পেট্রোল বোমা কে মটলভ ককটেল কিংবা শুধু মটলভ বলা হয়। এটি একটি বিস্ফোরক মরনাস্র। দুষ্কৃতকারীরা এই বোমা ছুড়ে দিয়ে তড়িত অগ্নিকান্ড ঘটিয়ে প্রান নাশ করে। পেট্রোল বোমার প্রধান উপাদানই হচ্ছে পেট্রোল। কাঁচের বোতলে পেট্রোল ভরে তার উপরে কার্বন ডি সালফাইড বা সাদা ফসফরাস এবং সালফারের স্তর রেখে পেট্রোল বোমা তৈরী করা হয়। বোতল ফাটলে পেট্রোল আর সালফার বাতাসের সংস্পর্শে বিক্রিয়া করে এবং বাতাসে ব্যাপক চাপ আর তাপ উতপন্ন করে। অক্সিজেনের সংস্পর্শে তরল পেট্রোলে আগুন ধরে যায় এবং আগুনের লেলিহান শিখা ছুটে যায় চারপাশে।
বর্তমানে পেট্রোল ও ককটেল বোমার আগ্রাসনে আমরা দৈনিক ভীতসন্ত্রস্ত জীবন কাটাচ্ছি এবং অজস্র জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি দেখতে পাচ্ছি। আমরা এতটাই আতংকিত যে বাইরে যখন বের হই ঘরে সুস্থ ভাবে ফিরে আসতে পারবো কিনা তা নিয়ে সন্দিগ্ধ।
আমাদের দেশে রাজনীতির উথালপাতাল গরম পরিস্থিতিতে বরাবর ই জনসাধারনের জীবন বিপন্ন হচ্ছে। এ দেশে বোমাবাজি কখনো বন্ধ হবে কি না তা জানি না। সেহেতু আমাদের নিরাপত্তার কথা ভাবতে হবে। যতটুকু সম্ভব নিজেকে এবং অন্যদেরকে বাঁচাতে চেস্টা করতে হবে।
পেট্রোল বোমার নাশকতায় বিশেষ সতর্কতা :
বোমা যখন বিস্ফোরিত হবে তখন নিশ্চই আমরা অগ্রীম পুর্বাভাস পাবো না। যেহেতু বোমাবহনকারীর প্রধান লক্ষবস্তু পাবলিক পরিবহণ তথা গাড়ি, ট্রেইন, বাস ইত্যাদি। সেহেতু বিস্ফোরণ কালে আমরা হয়তো গাড়িতে ঘুমিয়ে থাকবো নয়তো গাড়ি ড্রাইভ করবো। আমাদের কিচ্ছু করার থাকবে না পুড়ে অংগার হওয়া ছাড়া।
তাই বলে কি কিছুই করার নেই ? এভাবেই দুঃসহ দিনাতিপাত করতে হবে ? এভাবেই পুড়ে অংগার হতে হবে ?
আমরা কয়েকটি বিষয় নিয়ে সজাগ থাকলে এর অনেকটাই প্রতিরোধ করা সম্ভব।
১) এই উত্তাল পরিস্থিতিতে যদি পারেন বাস কিংবা পাবলিক যানবাহনে উঠবেন না। আর জীবিকার তাগিদে না উঠেই বা কি করবেন। বাসে উঠলে আপনার আশপাশের জানালা গুলো বন্ধ করে দিন। যাতে বাইরে থেকে কেউ বোমা ছুড়তে না পারে। অন্যদের জানালাগুলো ও বন্ধ করে দিন।
২) বাসের গেইট টি যাতে লক করে দেয় সে ব্যাপারে হেল্পারকে অবহিত করুন।
৩) ড্রাইভার যাতে এখানে ওখানে গাড়ি না থামায় সেই ব্যাপারে সজাগ থাকুন।
৪) বাসে চড়ে ঘুমিয়ে যাবেন না। কষ্ট করে হলেও জেগে থাকুন। মোবাইলের হেড ফোনে গান শুনা কিংবা কথা বলা থেকে বিরত থাকুন।
৫) হেল্পারের উচিত প্রতি যাত্রীর ব্যাগ তল্লাসি করে বাসে উঠানো। এই ব্যাপারটি হেল্পারকে অবহিত করুন। গাড়িতে কোনো প্রকার দাহ্য পদার্থ থাকলে ক্ষতির পরিমান দ্বিগুণ হতে পারে।
৬) ট্রেন কিংবা লঞ্চে উঠে সিট, কেবিন ইত্যাদি চেক করে নিবেন।
৭) বোমা হামলার শিকার হলে যদি পারেন হুড়োহুড়ি করে নামার জন্যে দরজার দিকে না দৌড়ে জানালা দিয়ে বের হতে চেস্টা করুন যদিও এটা কম বিপজ্জনক নয়। তবুও জীবন বাঁচলেই হয়।
৮) গায়ে আগুন লেগে গেলে মাটিতে গড়াগড়ি করাটা সবচেয়ে উত্তম। পানিতে ডুব দেয়ার জন্য দৌড়াতে গেলে বাতাসের অক্সিজেনের সংস্পর্শে দাবদাহ বেড়ে যাবে। পাশের লোকদের উচিত হবে কোনো মোটা কাপড় দিয়ে আক্রান্ত ব্যাক্তিকে যথাসম্ভব ঢেকে দেয়া। আক্রান্ত ব্যাক্তিকে যতদ্রুত সম্ভব নিকটস্থ চিকিতসা কেন্দ্রে কিংবা বার্ন ইউনিটে নিয়ে যান।
৯) নাশকতার গন্ধ পেলে নাশকতাকারীকে ধরে ফেলুন। প্রহার করুন। পুলিশের সাহায্য নিন।
tags: পেট্রোল বোমা, পেট্রোল বোমায় সতর্কতা, ককটেল বোমা, petrol bomb, petrol boma theke bachar upay
No comments:
Post a Comment