Friday, February 27, 2015

হার্ট এটাকের লক্ষন সমূহ


হার্ট এটাকের লক্ষন সমূহঃ

১। বুকে ব্যাথা, অস্বস্তি, চাপ অথবা হাত ব্যাথা, বুকের পাঁজরের হাড্ডিতে ব্যাথা অনুভব করা।
২। পশ্চাতে, চোয়ালে, গলা অথবা হাতের দিকে অস্বস্তি বেড়ে চলে।
৩। অতিরিক্ত ঘাম, বমি বমি ভাব, বমি হওয়া, ঝিমুনি।
৪। অতিরিক্ত দুর্বলতা, দুশ্চিন্তা, শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা।
৫। বেশ দ্রুত অথবা অস্বাভাবিক হৃদকম্পন।

হার্ট এটাকের সময় উপসর্গ গুলো ৩০ মিনিট বা তার বেশি সময় স্থায়ী হয়। এ সময় বিশ্রামের সাথে সাথে জিহ্বার নিচে নাইট্রোগ্লিসারিন প্রয়োগ করতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে রোগীর কোনো লক্ষন ছাড়াই হার্ট এটাক হতে পারে বিশেষ করে ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে এমনটা হয়। এটাকে silent" myocardial infarction বলে।

সূত্রঃ ওয়েব এম ডি।

★★ হার্ট অ্যাটাক কিভাবে হয়

★★ হার্ট এটাক হলে তৎক্ষণাৎ কি করবেন

tags: হার্ট এটাক, হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ব্লক, হার্টের রোগ, হার্ট এটাকের লক্ষন, হার্ট এটাকের সময় কি সমস্যা হয়, heart attack, heart disease, heart problem, heart block, symptom of heart attack, heart attack hole ki shomossha hoy, heart attack er lokkhon, ki kore bujhbo heart attack hoeche

Saturday, February 21, 2015

হার্ট অ্যাটাক কিভাবে হয়

সারা বিশ্বে হার্ট এটাকে প্রচুর রোগী মৃত্যুবরণ করছে। বাংলাদেশে ও এর প্রকোপ কম নয়।
হৃদযন্ত্রের পেশী তে অক্সিজেন বাহিত রক্ত স্বাভাবিক নিয়মে পরিবাহিত হলে হার্ট তার নিজস্ব গতিতে কাজ করে। করোনারি আর্টেরি হার্টে জটিল উপায়ে রক্ত সরবরাহ করে। করোনারি ধমনী রোগাক্রান্ত হলে ধমনী সংকোচিত হয়। ফলে স্বাভাবিক রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়। চর্বি, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন ও প্রদাহী কোষ ধমনীতে এক ধরনের প্লাক বা ফলক সৃষ্টি করে যা কিনা বিভিন্ন আকারের হয়ে থাকে। জমাকৃত প্লাকগুলো বাইরে থেকে শক্ত প্রকৃতির হলেও ভিতরে নরম থাকে। শিরার ভিতরের প্লাক গুলো শক্ত হয়ে গেলে রক্ত জমাট বাধে। অক্সিজেনের অভাব তৈরী হয় এবং ক্ষনিকের মধ্যেই হার্টের পেশী দুর্বল হয়ে যায়। কোষগুলো মরে যায় এবং স্থায়ী সময়ের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর এভাবেই হার্ট এটাক হয়।

সূত্রঃ ওয়েব এম ডি

★★ হার্ট এটাকের লক্ষন সমূহ

★★ হার্ট এটাক হলে তৎক্ষণাৎ কি করবেন

tags: হার্ট এটাক, হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ব্লক, হার্ট এটাক কি, কেনো হয়, heart attack ki, keno hoy, heart er rog, heart block keno hoy

Saturday, February 14, 2015

প্রচন্ড মাথাব্যাথা এবং মাইগ্রেন হলে কি করবেন


মাথায় রক্ত চলাচলের তারতম্যের কারণে মাইগ্রেন হয়ে থাকে। কিছু কিছু বিষয় মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়িয়ে দেয়। যেমন চকলেট, পনির, কফি ইত্যাদি বেশি বেশি খাওয়া, জন্মবিরতিকরণ ওষুধ সেবন, টেনশন করা, ভ্রমনে, নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম ইত্যাদি।

মাইগ্রেনের লক্ষন সমূহ :
মাথাব্যথা ও বমি ভাব এ রোগের অন্যতম লক্ষণ। মাথাব্যথা শুরুর আগে হাই তোলা, কাজে মনোযোগ নষ্ট হয়ে যাওয়া, বিরক্তিবোধ করা ইত্যাদি উপসর্গ গুলো  দেখা দিতে পারে। মাথার যেকোনো অংশ থেকে ব্যথা শুরু হয়ে যায়় এবং পরে পুরো মাথায় ব্যাথা ছড়িয়ে পড়ে। চোখের পেছনের দিকে ব্যথা হতে পারে। বমি হয় বা বমি ভাব থাকে। এ ছাড়া ক্লাসিক্যাল মাইগ্রেন হলে দেখতে সমস্যা হয়—যেমন চোখের উপর উজ্জ্বল আলোর অনুভূতি, হঠাৎ অন্ধকার হয়ে দেখা, দৃষ্টিসীমানা সরু হয়ে আসা অথবা যেকোনো এক সাইড অদৃশ্য হয়ে যাওয়া ইত্যাদি উপসর্গ হতে পারে। প্রায় ২০ মিনিট স্থায়ী এসব উপসর্গের পর বমি বমি ভাব এবং মাথাব্যথা শুরু হয়, যা সাধারণত মাথার এক পাশে হয়। দৃষ্টির সমস্যা এক ঘণ্টার অধিক স্থায়ী হলে ধরে নিতে হবে, এটি মাইগ্রেন নয়।

মাইগ্রেন হলে করণীয :
যেসব রোগীর মাইগ্রেন আছে, তাদের ভালো ঘুম নিশ্চিত করা উচিত। প্রতিদিন কমপক্ষে আট ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন।

যেসব খাবার খেলে ব্যথা শুরু হতে পারে :
কফি, চকলেট, পনির, আইসক্রিম, অ্যালকোহল এইসব বাদ দিতে হবে। বেশি সময় না খেয়ে থাকবেন না। জন্মবিরতিকরণ ওষুধ সেবন না করাই ভালো। প্রয়োজনে অন্য কোনো পদ্ধতি বেছে নেওয়া যেতে পারে। পরিশ্রম, মানসিক চাপ এবং দীর্ঘ ভ্রমণ বর্জনের মাধ্যমে মাইগ্রেন অনেকাংশে কমিয়ে আনা যায়।

মাইগ্রেনের চিকিৎসা :
মাইগ্রেনের প্রকোপ কমানোর, মাথাব্যথা ও বমি ভাব উপশমের জন্য কিছু কার্যকরী ওষুধ রয়েছে, যেগুলো চিকিৎসকের পরামর্শে গ্রহন করা উচিত। সবচেয়ে বড় কথা হল, পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে অনেক ক্ষেত্রেই বারবার মাইগ্রেনের আক্রমণ হতে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। অবশ্যই মনে রাখবেন, সব মাথাব্যথাই মাইগ্রেন নয়; দৃষ্টিস্বল্পতা, উচ্চ রক্তচাপ, সাইনোসাইটিস, দাঁতের সমস্যা, মস্তিষ্কের টিউমার ও রক্তক্ষরণসহ নানারকম কারণে মাথাব্যথা হতে পারে। বারবার বা দীর্ঘমেয়াদি মাথাব্যথায় না বুঝে নিজে নিজে ওষুধ খাবেন না। এই সব সমস্যা সমাধানের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড হসপিটাল

tags: মাইগ্রেন, মাইগ্রেইন, মাথাব্যাথা, হেডেক, migraine, maigrane, headache, matha betha komanor upay, mathabetha hole ki korbo, mathabethar oushudh, how to relief  headache, how to stop migrane

ভরা পেট খেলেও ওজন বাড়বে না, যদি




ওজন কমানোর জন্য অনেকেই আধপেটা খেয়ে থাকেন । আবার একদম না খেয়েই কেউ কেউ কাজে-কর্মে বিজি থাকার চেষ্টা করেন। দীর্ঘ সময় না খাওয়ার কারনে মেজাজটাও খিটখিটে হয়ে যায়। কাজে-কর্মেও গতি আসে না । কিন্তু সত্যি বলতে কী, পেট ভরে খেয়েও কিন্তু ওজন কমিয়ে ফেলা যায়। তবে আপনার খাবারটা খেতে হবে হিসাব করে, ক্যালরি মেপে। আর যদি লোভে পড়ে খানিকটা মসলাদার খাবার খেয়েই ফেলেন, সেটারও বন্দোবস্ত আছে।
ঢাকার বারডেম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র পুষ্টিবিদ শামছুন্নাহার নাহিদের কাছ হতেই তথ্যটা যাচাই করে নেওয়া যাক। তিনি বলেন, ‘১০০ ক্যালরি শক্তির জন্য কমপক্ষে ২০ মিনিট দ্রুত (ঘাম ঝরিয়ে) হাঁটতে হবে। এভাবেই অতিরিক্ত খাবারের ক্যালরি পরিশ্রম করে বার্ন করে ফেলতে হয়।’ তিনি বলেন, যেইসব খাবারে ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে সেসবের খাবারের কথা।
সকালের নাস্তায় খিচুড়ি, ভাত, লুচি, পরোটা, পনির, রুটিসহ তেল-মসলার খাবার খেলে ওজন বেড়ে যাবে। অন্যদিকে হাতে তৈরি রুটি, পাউরুটি, কম তেলে রান্না করা সবজি—এগুলো ওজন বাড়াবে না। ডিম খেতে চাইলে সিদ্ধ করে খান। ভাজি, অমলেট কিংবা পোচ করে খাবেন না।
দুপুরের খাবারে পরিমাণমতো ভাত, রুটি, অল্প তেলে রান্না করা নুডলস খেলে ওজন বাড়বে না। অন্যদিকে পোলাও, তেহারি, বিরিয়ানি, ফ্রায়েড রাইস খেলে ওজন বাড়াবে। এছাড়াও দুপুরে খেতে পারেন রান্না করা সবজি কিংবা ভর্তা। অন্যদিকে ভাজা সবজি আপনার ওজন বাড়িয়ে দেবে। প্রিয় খাবার ফ্রায়েড চিকেন কিংবা রোস্টে ওজন বাড়াবে—তবে অল্প তেল-মসলায় রান্না করা মাংস খেতে পারেন নিশ্চিন্তে।
ভুনা ও চর্বিযুক্ত মাংসও ওজন বাড়ানোর হারকে বাড়ায়। বিকেলের নাশতায় খেতে পারেন ক্লিয়ার স্যুপ জাতীয় খাবার। থাই স্যুপ বা ক্রিম স্যুপে ওজন বেড়ে যায় দ্রুত। খেতে পারেন তন্দুরি অথবা গ্রিলড খাবার—এসবে ওজন বাড়বে না। আর অন্যদিকে পিৎজা, কাবাব, চিকেন ফ্রাই, স্যান্ডইউচ, বার্গার, কেক, পেস্ট্রি, মিষ্টিজাতীয় খাবার ওজন বাড়িয়ে দেয়।
রাতের খাবারে সবজি খাওয়ার পাশাপাশি মাছের ঝোল খেতে পারেন, তবে মাছ ভাজা নয়। তেলে ভাজা মাছ আপনার ওজন বাড়িয়ে দেবে। শামছুন্নাহার নাহিদ বারবারই একটি কথার উপর জোর দিলেন, ‘একবারে বেশি খাওয়া নয়, অল্প করে বেশিবার খান, ওজন শরীরের নিয়ন্ত্রনে থাকবে।’ বললেন, ‘প্রতি বেলা খাবার শেষে খানিকটা টকদই খেতে পারেন, এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে।’
সকাল, দুপুর, সন্ধ্যা কিংবা রাতের খাবারের বাইরে চাইলে খেতে পারেন মুড়ি, চিড়া, সেদ্ধ ছোলা অথবা শুধু সালাদ। খাওয়া শেষে যাদের কোমলপানীয় পান করার অভ্যাস, এই সময় তাঁরা ডায়েট পানীয়তে অভ্যস্ত হোন। সবচেয়ে ভালো হয় ফলের রস পান করে তৃষ্ণা মেটাতে পারলে, তবে ফল টক হতে হবে। কারণ মিষ্টি ফলও ওজন বাড়িয়ে দেয়।

tags: ওজন কমানোর উপায়, কি কি খাবারে ওজন কমে, ojon komabo kivabe, shorirer ozon komanor upay, upai, how to control body weight, chikon hobar upay

Friday, February 6, 2015

ত্বক পরিচর্যায় কি ধরনের ফেসিয়াল মাস্ক ব্যাবহার করবেন




মুখমন্ডলে উপটান কিংবা বিভিন্ন রকমের প্যাক তো লাগানো হচ্ছেই। ফেস মাস্কও এখন অনেকে ব্যবহার করছেন। বড় কসমেটিক্সের দোকানগুলোতে নানা রকম মাস্ক পাওয়া যাচ্ছে। এই মাস্ক নির্দিষ্ট সময় পর উঠিয়ে ফেললেই পাবেন টানটান, সজীব ত্বক।

ত্বক পরিচর্যায় ফেসিয়াল মাস্কের ব্যবহার বর্তমানে মোটামুটি সবার প্রিয়। তাৎক্ষণিকভাবে টানটান আর ক্লীন ত্বক পেতে মাস্কের বিকল্প নাই।

প্রত্যেকের ই কি ফেসিয়াল মাস্ক ব্যবহার করা উচিত? অবশ্যই। ফেসিয়াল মাস্ক প্রত্যেকের জন্যই, শুধু আপনাকে আপনার ত্বক উপযোগী মাস্কটি সিলেক্ট করে নিতে হবে। সঠিক মাস্ক ব্যবহারে আপনার ত্বকের ময়েশ্চারিটির বেলেন্স নিয়ন্ত্রিত থাকতে পারে। এ ছাড়া ত্বকের তেলতেলে ভাব নিয়ন্ত্রণ, লোমকূপের মুখ পরিষ্কার অবস্থায় থাকা, ত্বকের ব্রাইটনেস ধরে রাখা এবং সানবার্ন কমানো ইত্যাদি ফলও পাবেন ফেসিয়াল মাস্কের ব্যবহারে।
বাজারে বিভিন্ন প্রকারের মাস্ক পাওয়া যায় যেমন ক্লে-বেজড মাস্ক, পেপার মাস্ক, পিল-অফ মাস্ক, এক্সফোলিয়েটিং মাস্ক ইত্যাদি। এগুলোর মধ্যে থাকে আবার নানান গুণের সমাহার এবং ত্বক অনুযায়ী প্রকারভেদ।

ক্লে-বেজড ফেসিয়াল মাস্ক : ক্লে-বেজড ফেসিয়াল মাস্কগুলো ত্বক পরিষ্কার করা, তৈলাক্ত ভাব কমিয়ে আনা, ত্বকের টানটান ভাব ধরে রাখা ও দৃশ্যমান পোরস কমিয়ে আনার জন্য বেশ উপকারী। সাধারণ ত্বক থেকে তৈলাক্ত ত্বকের জন্য এগুলো বেশ কার্যকরী কিন্তু শুষ্ক ত্বকে ক্লে-বেজড মাস্ক শুষ্কতা আরও বাড়িয়ে দেয়।

পেপার বা শিটমাস্ক : পেপার বা শিট মাস্কগুলো ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখার জন্য অধিক কার্যকরী। এই মাস্ক ত্বকের রোদে পোড়া ভাব কমায় এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে।

পিল-অব মাস্ক: পিল-অব মাস্ক সাধারণত তাড়াতাড়ি ত্বক পরিষ্কারের জন্য উপযোগী।

এক্সফোলিয়েটিং মাস্ক: এক্সফোলিয়েটিং মাস্ক ত্বকের ব্লাড সার্কুলেশন বাড়ায়, ডেড সেল, ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডস দূর করে ত্বককে গভীরভাবে পরিষ্কার করে দেয়।

স্লিপিং মাস্ক: ইদানীং স্লিপিং মাস্ক নামক এক ধরনের  ক্রিম মাস্কও বেশ পরিচিত। স্লিপিং মাস্ক অন্যান্য মাস্কের চেয়ে একটু আলাদা। এটি কিছুটা নাইট ক্রিমের পরিপূরক হিসেবে কাজ করে থাকে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এটি ব্যবহার করতে হয়।

মাস্ক ব্যবহারের আগে নিজের ত্বকের ধরন বুঝে নিন। যেকোনো মাস্ক ব্যবহারের আগে ত্বক ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। যদি সম্ভব হয়, তবে মাস্কের আগে ত্বকে একটু স্টিম দিয়ে নিতে পারেন। প্রত্যেকটা ধরনের মাস্কেই সময় উল্লেখ থাকে, অর্থাৎ কতক্ষণ লাগিয়ে রাখতে হবে, তা লিখা থাকে। ব্যবহারের সময় সেটা অনুসরণ করুন। যখন ক্লে মাস্ক ব্যবহার করবেন কখনোই তা ত্বকে পুরোপুরি শুকোবেন না, হালকা শুকালেই ধুয়ে ফেলুন। পেপার মাস্ক অধিক সময় ব্যবহার করলে উপকার বেশি হয় এমন ধারণা ভুল। মাস্ক ব্যবহারের পর কুসুম কুসুম গরম পানি দিয়ে আলতো হাতে ত্বক পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে ফেলুন। ত্বকে ব্রণের মতো সমস্যা থাকলে ফেসিয়াল মাস্ক ব্যবহারে সতর্ক হোন। পেপার মাস্ক  আপনি প্রতিদিনই ব্যবহার করতে পারবেন কিন্তু অন্যান্য মাস্ক সপ্তাহে দুইবারের বেশি ব্যবহার করা ভাল না।
যদি আপনার ত্বক পরিচর্যার রুটিনে ফেসিয়াল মাস্ক না থাকে, তবে এখন ই শুরু করে দিতে পারেন। মাস্কের ব্যবহার আপনার ত্বকে চমতকার দৃশ্যমান পরিবর্তন এনে দেবে।

tags: ফেসিয়াল মাস্ক, ফেইস মাস্ক, face mask, facial mask, kon face mask valo

পেট্রোল বোমা থেকে বাঁচার উপায়

পেট্রোল বোমা কি :



পেট্রোল বোমা কে মটলভ ককটেল কিংবা শুধু মটলভ বলা হয়। এটি একটি বিস্ফোরক মরনাস্র। দুষ্কৃতকারীরা এই বোমা ছুড়ে দিয়ে তড়িত অগ্নিকান্ড ঘটিয়ে প্রান নাশ করে। পেট্রোল বোমার প্রধান উপাদানই হচ্ছে পেট্রোল। কাঁচের বোতলে পেট্রোল ভরে তার উপরে কার্বন ডি সালফাইড বা সাদা ফসফরাস এবং সালফারের স্তর রেখে পেট্রোল বোমা তৈরী করা হয়। বোতল ফাটলে পেট্রোল আর সালফার বাতাসের সংস্পর্শে বিক্রিয়া করে এবং বাতাসে ব্যাপক চাপ আর তাপ উতপন্ন করে। অক্সিজেনের সংস্পর্শে তরল পেট্রোলে আগুন ধরে যায় এবং আগুনের লেলিহান শিখা ছুটে যায় চারপাশে।
বর্তমানে পেট্রোল ও ককটেল বোমার আগ্রাসনে আমরা দৈনিক ভীতসন্ত্রস্ত জীবন কাটাচ্ছি এবং অজস্র জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি দেখতে পাচ্ছি। আমরা এতটাই আতংকিত যে বাইরে যখন বের হই ঘরে সুস্থ ভাবে ফিরে আসতে পারবো কিনা তা নিয়ে সন্দিগ্ধ।

আমাদের দেশে রাজনীতির উথালপাতাল গরম পরিস্থিতিতে বরাবর ই জনসাধারনের জীবন বিপন্ন হচ্ছে। এ দেশে বোমাবাজি কখনো বন্ধ হবে কি না তা জানি না। সেহেতু আমাদের নিরাপত্তার কথা ভাবতে হবে। যতটুকু সম্ভব নিজেকে এবং অন্যদেরকে বাঁচাতে চেস্টা করতে হবে।

পেট্রোল বোমার নাশকতায় বিশেষ সতর্কতা :
বোমা যখন বিস্ফোরিত হবে তখন নিশ্চই আমরা অগ্রীম পুর্বাভাস পাবো না। যেহেতু বোমাবহনকারীর প্রধান লক্ষবস্তু পাবলিক পরিবহণ তথা গাড়ি, ট্রেইন, বাস ইত্যাদি। সেহেতু বিস্ফোরণ কালে আমরা হয়তো গাড়িতে ঘুমিয়ে থাকবো নয়তো গাড়ি ড্রাইভ করবো। আমাদের কিচ্ছু করার থাকবে না পুড়ে অংগার হওয়া ছাড়া।

তাই বলে কি কিছুই করার নেই ? এভাবেই দুঃসহ  দিনাতিপাত করতে হবে ? এভাবেই পুড়ে অংগার হতে হবে ?

আমরা কয়েকটি বিষয় নিয়ে সজাগ থাকলে এর অনেকটাই প্রতিরোধ করা সম্ভব।

 ১) এই উত্তাল পরিস্থিতিতে যদি পারেন বাস কিংবা পাবলিক যানবাহনে উঠবেন না। আর জীবিকার তাগিদে না উঠেই বা কি করবেন। বাসে উঠলে আপনার আশপাশের জানালা গুলো বন্ধ করে দিন। যাতে বাইরে থেকে কেউ বোমা ছুড়তে না পারে। অন্যদের জানালাগুলো ও বন্ধ করে দিন।
২) বাসের গেইট টি যাতে লক করে দেয় সে ব্যাপারে হেল্পারকে অবহিত করুন।
৩) ড্রাইভার যাতে এখানে ওখানে গাড়ি না থামায় সেই ব্যাপারে সজাগ থাকুন।
৪) বাসে চড়ে ঘুমিয়ে যাবেন না। কষ্ট করে হলেও জেগে থাকুন। মোবাইলের হেড ফোনে গান শুনা কিংবা কথা বলা থেকে বিরত থাকুন।
৫) হেল্পারের উচিত প্রতি যাত্রীর ব্যাগ তল্লাসি করে বাসে উঠানো। এই ব্যাপারটি হেল্পারকে অবহিত করুন। গাড়িতে কোনো প্রকার দাহ্য পদার্থ থাকলে ক্ষতির পরিমান দ্বিগুণ হতে পারে।
৬) ট্রেন কিংবা লঞ্চে উঠে সিট, কেবিন ইত্যাদি চেক করে নিবেন।
৭) বোমা হামলার শিকার হলে যদি পারেন হুড়োহুড়ি করে নামার জন্যে দরজার দিকে না দৌড়ে জানালা দিয়ে বের হতে চেস্টা করুন যদিও এটা কম বিপজ্জনক নয়। তবুও জীবন বাঁচলেই হয়।
৮) গায়ে আগুন লেগে গেলে মাটিতে গড়াগড়ি করাটা সবচেয়ে উত্তম। পানিতে ডুব দেয়ার জন্য দৌড়াতে গেলে বাতাসের অক্সিজেনের সংস্পর্শে দাবদাহ বেড়ে যাবে। পাশের লোকদের উচিত হবে কোনো মোটা কাপড় দিয়ে আক্রান্ত ব্যাক্তিকে যথাসম্ভব ঢেকে দেয়া। আক্রান্ত ব্যাক্তিকে যতদ্রুত সম্ভব নিকটস্থ চিকিতসা কেন্দ্রে কিংবা বার্ন ইউনিটে নিয়ে যান।

৯) নাশকতার গন্ধ পেলে নাশকতাকারীকে ধরে ফেলুন। প্রহার করুন। পুলিশের সাহায্য নিন।

tags: পেট্রোল বোমা, পেট্রোল বোমায় সতর্কতা, ককটেল বোমা, petrol bomb, petrol boma theke bachar upay